আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজয়ীদের লেখা ইতিহাসে যারা ঘৃণিত, তাদের কিছু ভালো কাজ

হতেও পারে আজ পৃথিবীতে এমন ব্যাক্তি খুঁজে পাওয়া খুব কস্টকর হবে ,যারা হিটলার বা তার নাৎসি পার্টিকে ঘৃণা করেন না। ২য় বিশ্বযুদ্ধের কারন হিসেবে বেশীরভাগ মানুষই হিটলারকে দায়ী করবে। তবে আমার ব্যাক্তিগত মতামত হলো ২য় বিশ্বযুদ্ধের মূলকারণ ছিলো অসম ভার্সাই চুক্তি, মূলত ভার্সাই চুক্তির মধ্যেই রোপিত হয়েছিলো ২য় বিশ্বযুদ্ধের বীজ। পরাজিতদের কথা কেউ মনে রাখেনা , ভুলে যায় এবং সেই সাথে ভুলে যায় তাদের সব ভালো কাজের কথা। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো নাৎসিদের কিছু ভালো কাজ।

জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ : নাৎসি জার্মানরা সবসময়ই জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেতন ছিলো । তারাই প্রথম বৈজ্ঞানিক কাজে পশুহত্যা(vivisection) বন্ধ করেছিলো । গোয়েরিং ,হিমলার , এবং হিটলার নিজেও জৈববৈচিত্র সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন ধূমপান বিরোধী আন্দলোনঃ ১৯৩০ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ধূমপান বিরোধী আন্দোলন শুরু হলেও একমাত্র জার্মানিতেই এই আন্দোলন কিছুটা হলেও সফল হয়। নাৎসিরাই সর্বপ্রথম অফিস এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করেন। হিটলার যেখানে থাকতো সেখানে কেউ ধূমপান করতে পারতো না।

সমাজকল্যাণ এবং পারিবারিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি: এখন পর্যন্ত সবথেকে বড় জনকল্যাণ মূলক কাজ নাৎসিদের দ্বারাই পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিলো শীতকালীন ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী যেখানে উচ্চপদস্থ নাৎসি কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষরা পথে নেমে এসে দরিদ্র মানুষদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতো । এবং ঐতিহ্যগতভাবে পারিবারিক মূল্যবোধ রক্ষা করা ছিলো নাৎসিদের অন্যতম মূলনীতি। সড়ক পথ নির্মানঃ হাইওয়ে নির্মাণের মূল ধারনা কিন্তু জার্মানদের কাছ থেকে এসেছে , হিটলার অন্যতম স্বপ্ন ছিলো সমগ্র জার্মান জুড়ে সড়ক পথ নির্মাণ করা , যাতে সহজেই সব জায়গায় পৌঁছানো যায়। আধুনিক মোটরযানের পথিকৃতঃ মূলত নাৎসি জার্মানরাই ছিলো আধুনিক মোটরযানের পথিকৃৎ ।

হিটলারই সর্বপ্রথম এমন একটি গাড়ির পরিকল্পনা করেছিলেন যেখানে পরিবারের সবাই থাকতে পারে। যেই পরিকল্পনার ফসল ছিলো Volkswagen । আধুনিক রকেট বিজ্ঞানের জনক: নাৎসিরাই ছিলো আধুনিক রকেট জনক । ভন ব্রাউন নামের একজন নাৎসি বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম আধুনিক রকেট তৈরি করে । তার তৈরিকৃত v2 রকেটই ছিলো আধুনিক মিসাইলের দিকনির্দেশক।

ভন ব্রাউন ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে আমেরিকার হয়ে কাজ করেছিলেন এবং আমেরিকার মহাকাশ মিশনে ব্যবহৃত রকেটগুলোর মূল কারিগর তিনিই ছিলেন । এ পি জে আব্দুল কালাম (ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি) তার লেখে বই wings of fire এ পড়েছিলাম যে ভারতের হাতে বর্তমানে যেসব আধুনিক মিসাইল আছে যেমন অগ্নি ,ত্রিশুল ,পৃথ্বী ইত্যাদি মিসাইল তৈরীতেও ভন ব্রাউন সাহায্য করেছিলেন চলচিত্রে অবদানঃনাৎসি জার্মানরাই ছিলো আধুনিক চলচিত্রের পথিকৃৎ । চলচিত্রের জন্য ম্যাগনেটিক ট্যাপ রেকর্ডিং সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয় Leini Riefenstah (নিচের ছবি) এর পরিচালিত একটি প্রোপাগান্ডা চলচিত্র Triumph of the Will এ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদানঃ নাৎসিরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক আধুনিক ছিলো ,তারা অনেক গবেষণা করেছিলো যা প্রকাশ পায় নি কারন তাদের এই গবেষনা বেশীরভাগই চালিত হতো ইহুদী ক্যাম্প গুলোতে আরো কিছু জানতে নিচে রিফাত হোসেনের মন্তব্যে লিঙ্ক গুলো পড়তে পারেন এইরকম আরো অনেক কারন আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা , অন্তত এইসব কারনগুলোর জন্য হলেও হিটলারকে সবার শ্রদ্ধা করা উচিত । একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে এত দ্রুততার সাথে সুপার পাওয়ারে পরিনত করা একজন সাধারন নেতার পক্ষে সম্ভব না ।

আমি মনে করি আমাদের দেশের যে অবস্থা , হিটলারের মত একজন নেতা আমাদের খুব দরকার  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।