আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"সবুজবাগ বালুর মাঠ ধ্বংসের পায়তারাঃজনকন্ঠের হলুদ সাংবাদিকতা"

শুরুর কথাঃ এ এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। তবে মুক্ত বাতাসের জন্য খোলা মাঠের অভাব আছে। ঢাকা নগরী এখন দিন দিন অভিশপ্ত হয়ে উঠছে অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে। আমরা অনেক পরিশ্রমে সবুজে সবুজে সাজিয়েছি এই মাঠ। শুধু প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেব বলে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এলাকার প্রয়োজনে আমরা জীবন দেব। ' কথাগুলো বলছিলেন বাসাবোর মায়াকানন এলাকার ষাটোর্ধ্ব রাজিয়া বেগম। তার মতো এমন অনেকের একই অভিমত। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছয়টি মহাবিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন বাসাবো বালুর মাঠের এক একর জমিকে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করে।

কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি, তারা মাঠ সংকোচন করে কোনো স্থাপনা চান না। মাঠ রক্ষায় তারা সরকারের সহযোগিতা চান। সূত্র জানায়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১২ একর খাস ডোবা ভরাট করে ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এই মাঠ নির্মাণ করে। নিচে প্যানারমায় সবুজবাগ বালুর মাঠের ফটোগ্রাফ দেয়া হল - ২০১০ সালে সরকার এই মাঠের এক পাশে একটি ডাকঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এলাকাবাসীর আন্দোলনের মুখে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

এর আগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখানে একটি অস্থায়ী বাজার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পরিবেশ-সচেতন এলাকাবাসীর আন্দোলনে গত সপ্তাহে ঢাকা সিটি করপোরেশন তা ভেঙে ফেলে। তবে চারপাশে দখলের কারণে ১২ একর মাঠ এখন পরিণত হয়েছে ৯ একরে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাসাবোতে এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এখানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩০টি।

এই অনুসন্ধান ও ম্যাপ আকারে ব্যানারে ছেপে প্রকাশের কাজ করে শপথ ফাউন্ডেশন - ম্যাপের মধ্যে স্কুল গুলোর অবস্থান নির্দেশিত করে দেয়া হয়, স্কুল গুলোর এলাকার নাম ও হোল্ডিং নাম্বার সহ প্রকাশ করা হয় । অন্যান্য আরও সংগঠনের ব্যানার শমুহঃ এলাকাবাসী জানায়, বাসাবো এলাকার তিনটি ওয়ার্ড ও দুটি ইউনিয়নের চার লাখ বাসিন্দার নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা এই মাঠ। বছরের বিভিন্ন সময় সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান পালনসহ দুর্গাপূজা, সরস্বতী পূজা ও ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি পাঁচটি ফুটবল দল, কয়েকটি ক্রিকেট দল, আটটি শরীরচর্চার সংগঠন এখানে অনুশীলন করে। এলাকার বিভিন্ন বয়সী নারী ও ডায়াবেটিক রোগীরা এখানে হাঁটতে আসেন।

স্থানীয় ক্লাব কদমতলা সংসদের সদস্য আহাদ আলী সরদার ও অন্তু বড়ুয়া জানান, এখানে মাঠটি হওয়ায় যুবক শ্রেণী পাড়ার অলিগলিতে আড্ডা দেয় না। এদিকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার মোশারফ হোসেন মঞ্জুকে আহ্বায়ক ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার গোলাম হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের বালুর মাঠ রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপরের ছবিতে প্রথমে ২৮নং ওয়ার্ড কমিশনার মঞ্জু সাহেব ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে উন্মুক্ত স্থানের দাবির কথা জানাচ্ছেন , এবং ২৭নং ওয়ার্ড কমিশনার গোলাম হোসাইন মিডিয়াকে উন্মুক্ত স্থানের দাবির কথা বলছেন । ১১টি স্কুল ও ছয়টি কলেজ বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশিদের কাছে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জায়গা নির্ধারণের মালিক গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও ঢাকার জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন এ জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে বলেই সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলে তো এলাকাবাসীরই লাভ। ~~ লিখা সংগৃহীত - বাংলাদেশ প্রতিদিন, ফটো কৃতজ্ঞতা শপথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রতিদিন লিঙ্ক দেয়া হল ঃ- বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত খবর বালুরমাঠ উন্মুক্ত রাখতে পরিবেশবাদি সংগঠন পবা,বাপা এর একাত্ততা ..... বালুর মাঠ দখল এর বিরুদ্দে ATN কে কথা বলছেন আতিক ভাই এবং অন্যান্য...... এসব কিছুর পরেও জনকণ্ঠের প্রকাশ নিন্মরুপঃ- বিভাষ বাড়ৈ ॥ এবার ভূমিদস্যুদের কবলে পড়েছে সবুজবাগ থানার বাসাবোর সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জায়গা। সংশিস্নষ্ট মন্ত্রণালয় এমনকি স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সরকারী জায়গা বুঝিয়ে দিলেও বাধার মুখে পড়েছে ঐ এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত একটি সরকারী স্কুল ও একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ। জানা গেছে, রেলওয়ের জমিতে (বাসাবো বালুর মাঠ) একটি স্কুল ও একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য গত ২৭ জুন শিৰা মন্ত্রণালয়কে জায়গার দখলদারিত্ব বুঝিয়ে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

কিন্তু অবৈধভাবে দখলে নেয়া স্থানীয় কয়েক বিএনপি নেতা, ভূমিদসু্য, মাদক ব্যবসায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। আর এ অপকর্ম জায়েজ করতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ জনগণকে বলা হচ্ছে, স্কুল-কলেজ বানিয়ে পুরো মাঠ বন্ধ করে দেয়া হবে। এদিকে সরকারী স্কুল ও কলেজের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ভূমিদসু্যদের বিরম্নদ্ধে আন্দোলনে নামছেন এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা। এলাকায় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সংশিস্নষ্টরা। মঙ্গলবার সরকারের নির্ধারিত স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন ও সংশিস্নষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এই উদ্বেগজনক চিত্রই পাওয়া গেছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এই চক্রের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রাজধানীর ১১ স্কুল ও ৬ কলেজ স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মানিক চন্দ্র দে জনকণ্ঠকে বলেছেন, সংসদ সদস্য উপস্থিত থেকে প্রকল্পের অনুকূলে দুই একর জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন। এরমধ্যে রেলওয়ের মালিকানাধীন সবুজবাগ থানার রাজারবাগ মৌজায় (এলএকেএস নং-১৬/৫৯-৬০ এবং সিএস দাগ নং-২৬০) স্কুলের জন্য এক একর এবং গণপূর্ত অধিদফতরের মালিকানাধীন দৰিণ বাসাবো এলাকার রাজারবাগ মৌজায় (এলএকেস নং-৭৩/৫৬-৫৭, সিএস দাগ নং-২২০) কলেজ স্থাপনের জন্য এক একর জমি। এছাড়াও ঐ মাঠে আরও চার একরের বেশি খোলা জায়গা আছে। স্থানীয় এমপি প্রধানমন্ত্রীর এই অঙ্গীকার পূরণে সহায়তা করছেন। তারপরও অসাধু চক্র মানুষজনকে বলে ৰেপিয়ে তুলছে যে, এলাকায় খেলার মাঠ থাকবে না।

ছয় একরেই স্কুল কলেজের জন্য নিয়ে নেয়া হবে। এমন সব মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অত্যনত্ম জনগুরম্নত্বপূর্ণ এই কাজে সঙ্কট বাধানোর অপচেষ্টা চলছে। কিছু ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পরিবেশ ও খেলার মাঠ রৰার নামে সংগঠন করে প্রকল্পের কার্যক্রম বাধাগ্রসত্ম করেছে বলেও ৰোভ প্রকাশ করলেন প্রকল্প পরিচালক। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একানত্ম ইচ্ছায় 'ঢাকা মহানগরীতে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি মহাবিদ্যালয় (সরকারী) স্থাপন প্রকল্প' গ্রহণ করা হয়। শিৰা মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ সরকারী অথর্ায়নে ৪৩৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি বাসত্মবায়ন করছে।

এর প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে জুলাই ২০১০ থেকে জুন ২০১৪ পর্যনত্ম। কয়েকটি স্থানে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও ভূমিদসু্যদের প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ইতোমধ্যে রাজধানীর ১৫ স্থানে শিৰা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জমির দখল পেয়েছে প্রকল্পের কর্মকর্তারা। কিন্তু সবুজবাগ থানার বাসাবোর এ জমিতে প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কার্যক্রম শুরম্ন করতে পারছে না সংশিস্নষ্টরা। এ অবস্থায় উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে প্রকল্প পরিচালক শিৰা মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়ে শিৰা সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুল ও কলেজ স্থাপনের জন্য বাসাবো বালুর মাঠের দু'পাশে স্কুল ও কলেজের দু'টি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।

আর আশপাশের বাড়িঘরের বিভিন্ন দেয়াল ও ল্যাম্পপোস্টে পরিবেশ ও খেলার মাঠ রৰার বিভিন্ন সেস্নাগানসংবলিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন কিছু সংগঠনের ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উদয়ন সংসদ, বাসাবো মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ কমিটি, শপথ ফাউন্ডেশন, সবুজ বলয় মাঠ রৰা কমিটি, ভোরের হাসি সংঘ অন্যতম। তবে ভোরের হাসি সংঘ ছাড়া এলাকায় অন্যান্য সংগঠনের নেতাকমর্ীদের হদিস পাওয়া যায়নি। কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সন্ত্রাসী পালাক্রমে সারাদিন মাঠ পাহারা দেয়। মাঠের বিভিন্ন পাশে বসানো হয়েছে অবৈধ কাঁচাবাজার, গাড়ির গ্যারেজ, চা-পানের দোকান।

এগুলো থেকে স্থানীয় মসত্মানরা নিয়মিত মাসোহারা আদায় করে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করলেন। ভোরের হাসি নামের সংগঠনটির কয়েকজন বললেন, খেলার মাঠ ধ্বংস, মুক্ত বায়ু সেবনের পথ বন্ধ করে এখানে কোন শিৰা প্রতিষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। এরপরও প্রশাসনের কেউ যদি এখানে কোন কিছু করতে আসে তাহলে যে কোন অনাকাঙ্ৰিত পরিস্থিতির জন্য তারা দায়ী থাকবে। আমরা মাঠ ছাড়ব না। এদিকে ২৮ নং ওয়ার্ড (বাসাবো, মাদারটেক) আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান ফরিদ বলেছেন, বাসাবো বালুর মাঠে ৯ একর জমি আছে।

এরমধ্যে মাত্র ২ একর জমিতে স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। স্কুল ও কলেজের নিজস্ব মাঠ ছাড়াও বাকি জমিতে ১টি পাবলিক মাঠ ও পুকুর থাকবে। তাই এলাকাবাসীর সুবিধার্থে আমরা যে কোন মূল্যে সরকারী স্কুল ও কলেজ স্থাপন করব। যারা স্কুল-কলেজের বিরম্নদ্ধে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে তাদের প্রতিহত করা হবে। স্কুল-কলেজের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু ব্যক্তি যারা রাতভর নেশা করে সকালে বালুর মাঠে মর্নিংওয়াকের নামে মাতলামি করে তারা এখন 'মাঠ বাঁচাও' আন্দোলনে নেমেছে।

এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি। তারা মাঠ দখল করে পস্নট ভাগাভাগি করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করতে চায়। তার এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল এলাকার সাধারণ মানুষের কথায় সরকারের এ সংক্রানত্ম নথিতেও। জানা গেছে, স্কুল ও কলেজ স্থাপনের (মাঠ ও পুকুরসহ ৯ একর) জায়গাটিতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বালি ফেলা হয়। তখন সবুজ বেষ্টনী, খেলার মাঠ, পার্কের জন্যই ভরাট কাজ করা হয়েছিল।

পরবতর্ীতে হাসপাতাল নির্মাণের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জায়গাটি পুরো ভরাট করে স্থানীয় কয়েক বিএনপি-জামায়াতপন্থী ব্যক্তি প্রায় ৪ একর জমি পস্নট ভাগাভাগি করে নেন। তখন নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকায় তারা পুরো জায়গা দখলে নিতে পারেননি। এখন সরকার এই পতিত জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ায় বিএনপি-জামায়াতের ঐ ব্যক্তিরা বিরোধিতা করছেন। লিঙ্ক দেয়া হলঃ- জনকণ্ঠের হলুদ সাংবাদিকতা !!!! উপরের প্রকাশিত খবরের কিছু শব্দ, বাক্য তুলে ধরা দরকার ঃ- অবৈধভাবে দখলে নেয়া স্থানীয় কয়েক বিএনপি নেতা! ভূমিদসু্য!! মাদক ব্যবসায়ী!! অপকর্ম জায়েজ করতে মিথ্যা তথ্য!! প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সন্ত্রাসী পালাক্রমে সারাদিন মাঠ পাহারা দেয়া!! রাতভর নেশা করে সকালে বালুর মাঠে মর্নিংওয়াকের নামে মাতলামি করে তারা এখন 'মাঠ বাঁচাও' আন্দোলনে নেমেছে!! বিএনপি-জামায়াতের ঐ ব্যক্তিরা বিরোধিতা করছেন!! কতোটা বিব্রান্তি মূলক খবর প্রকাশ !!!!!!!!!!!! প্রথমত, ২৮ নাম্বার ওয়ার্ড কমিশনার মঞ্জু সাহেব আওয়ামীলীগ সমর্থিত বেক্তি , যিনি মাঠ রক্ষা কমিটির আহবায়ক! ২৭নাম্বার ওয়ার্ড কমিশনার গোলাম হোসাইন বিএনপি সমর্থিত ব্যক্তি যিনি মাঠ রক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক!!! তাহলে এটি প্রমাণিত কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি স্বার্থ আন্দোলন নয় এটি। দিতিয়ত, রাতভর নেশা করে সকালে বালুর মাঠে মর্নিংওয়াকের নামে মাতলামি করে ! কথাটার মধ্যেই ঘাপলা।

রাতভর নেশা করে সকালে ঘুম থেকে উঠে কি করে ???? শক্তি খরচ করে মর্নিংওয়াক করে কি করে ???? এটিও প্রমানিত - প্রকাশিত খবর মিথ্যা ! ত্রিতিয়ত, ভূমিদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ী! ভূমিদস্যু কখনও খেলার মাঠ চেয়েছে, উন্মুক্ত স্থানে মুক্ত বাতাস সেবনের জন্য আন্দোলন করছে!!!! সাবাস হে কাল্পনিক ভূমিদস্যু ও কাল্পনিক মাদক ব্যবসায়ী!!!! প্রশ্ন , এই ভূমিদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে বীর মুক্তি যোদ্ধা আহাদ সরদার কি আছেন ?? উত্তর না । এভাবে একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা এবং এখনকার যুদ্ধপরাধিদের বিচারের দাবিতে যারা সোচ্চার তাদেরকে নিয়ে এইই কুৎসা রটানো !!!!!!!! উপরের ছবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাদ সরদার আবেগ জড়িত কণ্ঠে নতুন প্রজন্মের জন্য একটা খোলা জায়গার দাবি করছেন। সাথে আছেন তার সহযোগী হানিফ শহিদ। শপথ ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম কাছ থেকে জানার কারনে তাদের কথা উল্লেখ করতাই হচ্ছে - নতুন প্রজন্ম যেন আমাদের গর্ব ১৯৫২ , ১৯৭১ কে যেন ভাল করে জানতে পারে , সেজন্য তারা মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে আয়োজন করে আড্ডার আসর । এই প্রজন্ম বলতে শুধু তারা নিজেরাই না , স্কুলের বাচ্চা এমনকি পথকলিদেরকেও এই সুযোগ থেকে বঞ্ছিত করছে না ।

উপরের ছবিতে শপথের আহবানে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারাল কে এম শাফিউল্লাহ (সেক্টর কমান্ডার, সেক্টর৩) এবং মেজর রাফিকুল ইসলাম (সেক্টর কমান্ডার, সেক্টর১) সাথে নতুন প্রজন্ম উপরের ছবিতে পথকলিদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে শিক্ষা সফরে শপথ, এবং আকস্মিক ভাবে ডঃ মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল স্যার এর আগমনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর ফটো সেশান। উপরের ছবিতে বীর বিক্রম শাহজাহান সিদ্দিকি তার পদক দেখিয়ে দেশের কাজের প্রতি উৎসাহিত করছেন শপথ সদস্যদের । উপরের ছবিতে ১৪ই ডিসেম্বর এর দল এর সাথে শপথ বন্ধুরা একাত্ততা প্রকাশ করে রাতে রাজপথে হেতে শহিদ মিনারে গিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিছার দাবি করে । দুনিয়া কাঁপানো ২১ মিনিটে শপথ বন্ধুরা শুদ্ধ বাংলা চর্চার দাবি নিয়ে মিছিল করতে করতে শহিদ মিনারে যায় । পথশিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শপথ নতুন প্রজন্মের সুরক্ষা সুশিক্ষার জন্য অতন্ত্র প্রহরি শপথ ত্রাণ কার্যক্রমে শপথ নিন্মে গণমাধ্যমে শপথের কিছুকথা --- ATN এ ছোটদের প্রোগ্রাম নীলগিরিতে শপথের কিছু উপস্থাপন সবুজবাগ বালুর মাঠকে মাঠের মত থাকতে দেয়ার আন্দোলনে কারা আছেন তা পরিষ্কার ।

তাই বিভান্ত না হয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ এই স্থানকে উন্মুক্ত স্থান হিসেবে ঘোষণা করে স্বাধীনতার পক্ষের জনমতকে আরও সুদৃঢ় করতে অনুরধ করছি । । শুভকাল কাল বৈশাখ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।