আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষাভবনে ঘুষখোর ধরলেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী

জীবন যেখানে যেমন সাদা বা কালো কখনো রঙিন.... তবুও তো আশা থাকে অশেষ যতই না জরা আসে শেষ......... শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষাভবনে এক আকস্মিক পরিদর্শনে একজন শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছেন। মনিরুল ইসলামকে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির রানী নীহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষাভবনে আকস্মিক পরিদর্শনে যান। তিনি সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা বিভিন্ন কক্ষে ঘুরে ঘুরে কার্যক্রম দেখেন, এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময়ে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসা অনেক শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

তাদের সমস্যা, অভিযোগ ও পরামর্শ শুনেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) আসা শতাধিক শিক্ষক ও অন্য দর্শনার্থীদের সঙ্গে মন্ত্রী কথা বলেন। এর মধ্যে একজন শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সাথে নিয়ে সরাসরি কোড পরিবর্তন শাখার মনিরুলের সামনে হাজির হন। সামনাসামনি কথা বলে ঘুষের অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নোমান উর রশীদ, পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মনিরুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির রানী নীহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তের জন্য মঙ্গলবার মাউশির পরিচালককে (মাধ্যমিক) আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই জন হলেন, উপ-পরিচালক (বিশেষ) ও সহকারী পরিচালক (আইন)। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এর আগে মন্ত্রী নাহিদ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বর নাগাদ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইতিবাচক ইমেজ নিশ্চিত করতে হবে।

অভিযোগ পেলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। শিক্ষাভবনে কোনো অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ ও শিক্ষক-ভোগান্তিকারী থাকতে পারবে না। ’ শিক্ষামন্ত্রী অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কোনো কোনো কাজে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেককে সতর্ক করে দেন। তিনি মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন এবং মাউশির সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ অধিদপ্তর সম্পর্কে আমি আর কোনো অভিযোগ শুনতে চাই না। এখন থেকে শিক্ষক ও সেবাগ্রহণকারীদের কাছে মাউশির ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা ও প্রশংসা শুনতে চাই। মানুষ যেন মাউশিতে এসে সন্তুষ্ট হয়ে যায়। তারা যেন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজ, আচরণ, সততা ও দক্ষতায় পরিবর্তন দেখতে পান এবং তারা যেন বলেন, মাউশিতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পরিবর্তন আনতে হবে।

নতুন ভাবমূর্র্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা মাউশির খারাপ ভাবমূর্তি সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে একটি মানসম্মত শিক্ষক ও শিক্ষাবান্ধব ভাবমূর্তি গড়ে তোলার জন্য সব কর্মকর্তা-কর্মচারিকে কাজ করতে হবে। View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।