আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জুলভার্নের জার্নি টু দি সেন্টার অব দি আর্থের বাংলাদেশী অনুকরনঃ জার্নি টু দি সেন্টার অফ দি গভরমেন্ট

যে মুখ নিয়ত পালায়......। । চিন্তিত ভঙ্গিতে বসে আছেন দেশের শ্রেষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক বিজ্ঞানী জোসেফ কুদ্দুস। তার হাতে ছোট একটি পুরাতন বই। নাম এডাম জব্বার একদা ভালোবাসিয়াছিল।

সস্তা প্রেমের উপন্য্যাস। কিন্তু এই বইটি ই আজ জোসেফ কুদ্দুসের কাছে গুরুত্বপুর্ন হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানী কুদ্দুস বইয়ের পাশে হিজিবিজি কীসব নকশা আকাঁ দেখে চিন্তিত। নকশার শেষ মাথায় লেখা আছে লাল কালিতে সেন্টার অফ দি গভরমেন্ট। কুদ্দুস মাথা চুলকাতে চুলকাতে তার ভাতিজা ম্যাক্স মহব্বত কে ডাক দেন।

ম্যাক্স তরুন পদার্থবিদ হিসেবে যথেষ্ট নাম কামিয়েছে। ম্যাক্স আসলে জোসেফ কুদ্দুস বলেন, ম্যাক্স তৈরী হয়ে নাও। আমরা অভিযানে বের হব। আমাদের অভিযানের নাম হবে, জার্নি টু দি সেন্টার অফ দি গভরমেন্ট। আমরা গভরমেন্টে কেন্দ্রে যাব এই বইয়ের সাহায্যে।

জোসেফ কুদ্দুস বইটা তুলে ধরলেন। ম্যাক্স চিন্তিত মুখে জানাল, কিন্তু গভরমেন্ট চালায় কারা আমরা জানিনা। হতে পারে তারা ভীনগ্রহবাসী বুদ্ধিমান প্রানী। তাদের বুদ্ধিমত্তা আমাদের চেয়ে নিশ্চয়ই বেশী হবে। তাদের সাথে লাগতে যাওয়া কি ঠিক হবে জোসেফ কুদ্দুস জবাব দেন, কিন্তু আমরা বিজ্ঞানী।

সত্য উদঘাটন ই আমাদের কাজ। বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সেই পরীক্ষার্থীর পায়ে কারা গুলি করে, কেন করে?কাদের ইশারায় সুগার ট্যাবলেট উধাও হয়ে যায়?কাদের জন্য শেয়ার মার্কেটে ধ্বস নামে এসব আমাদের জানতেই হবে। পরদিন জোসেফ কুদ্দুস আর ম্যাক্স মহব্বত এডাম জব্বার একদা ভালবাসিয়াছিল বইয়ের নকশা দেখে দেখে এগুতে থাকেন। তাদের ব্যাগে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি। বুদ্ধিমত্তা পরিমাপক নিনীষ স্কেলটাও নিয়েছেন জোসেফ কুদ্দুস।

অতিদ্রুত নগরীর প্রধান ফটকে স্বয়ংক্রিয় যানের মাধ্যমে পৌছে গেলেন তারা। তারপর নকশায় বর্নিত প্রধান ফটকের নিচের এক ছোট ছিদ্র দিয়ে ঢোকে পড়লেন। বিশাল এক সুড়ঙ্গের মধ্যে হাঠতে শুরু করলেন নকশা দেখে দেখে। অনেকক্ষন হাঠার পর হঠাত হলরুমের মত বড় এক কক্ষে এসে সুড়ঙ্গ টি শেষ হয়েছে। তারা এসে থামলেন এখানে।

রুমের মাঝখানে বিশাল টেবিল। টেবিল ঘিরে বসে আছেন বিশিষ্টজনরা। ঠান্ডা হাওয়া বইছে পুরোটা রুম জোরে। ম্যাক্সের এই ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগতেই মনে হল দেশের সাধারন জনগন গরমে কি কষ্ঠ টাই না পায়! টেবিলের মাঝখানে সিংহাসনের মত চেয়ারে বসে আছেন একজন। তার পাশে বসে আছেন তেজী মতন এক মহিলা।

উনি ই চিতকার করে বললেন, তোরা এখানে কেন বুরবাক?ইস্টুপিডের দল? থতমত খেয়ে জোসেফ কুদ্দুস জবাব দেন, ম্যাডাম দেখেন আমরা বিজ্ঞানী। আমরা শুধু তথ্য নিতে এসেছি। জানার অধিকার তো সবারই আছে। আমাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য নাই। খামস বেত্তমিজ!চিতকার করে উঠেন সিংহাসনে বসা মহিলা।

তিনি বাজঁখাই গলায় বলেন, তোদের পায়ে গুল্লি করা হবে! গুল্লি হবে গুল্লি! ইয়া ঢিসুয়্যা ঢিসুয়্যা! জোসেফ কুদ্দুস আর ম্যাক্স মহব্বত একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ী করেন। এক টাকওয়ালা লোক এই সময়ে বলে উঠেন, ম্যাডাম আমার একটা রিকোয়েস্ট। মহাবিশ্বে এখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এই সময়ে এ দুটোকে অযথা বেশী গুলি করার কারন দেখছি না। দুটা দুটা চারটাই এনাফ।

কারন বেশী গুলি মানেই তো বেশী টাকা লস। বেশী টাকা লস মানে শেয়ার বাজারে ধ্বস! সবাই সমস্বরে বলেন, ঠিক ঠিক! ঢিসুয়্যা ঢিসুয়্যা! ম্যাক্স শংকিত মুখে চাচা জোসেফের দিকে তাকায়। আমতা আমতা করে বলে, এখন কি হবে আংকেল?আমরা কি এদের হাত পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করব?শুনেছি প্রাচীনকালে ক্ষমাশীল রষ্ট্রপতির বাস ছিল এখানে? জোসেফ কুদ্দুস বিমর্ষ মুখে জবাব দেন, কিছুই হবে না ম্যাক্স। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা আমাদের জন্য নয়। আর এখানে যারা আছে এরা আমাদের কোন কথাই শুনবে না।

কারন বিচার বুদ্ধির জন্য বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন। কিন্তু এই দেখ নিনীষ স্কেলে এদের সবারই বুদ্ধিমত্তা শুন্যের নিচে। জোসেফ কুদ্দুস নিনীষ স্কেলটা তুলে ধরলেন। দেখা গেল এদের সবারই বুদ্ধিমত্তা শুন্য থেকে কিছুটা কম। (আমার দেশের ফান ম্যাগাজিন ভীমরুল পূর্ব প্রকাশিত) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।