আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রেফতারের পর পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন অ্যাড. এমইউ আহমদ

পুলিশের অমানবিক নির্যাতনে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এমইউ আহমদকে। হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল শফি মজুমদার জানিয়েছেন, তার জীবন এখন সঙ্কটাপন্ন। তিনি হাইরিস্ক পেশেন্ট। ৭২ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। সন্ধ্যার পর তার শরীরের রক্তচাপ আরও কমে যায়।

এমইউ আহমদের স্ত্রী বলেন, ডিবি পুলিশের নির্যাতনেই তার স্বামীর এ অবস্থা হয়েছে। তার স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় গভীর রাতে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্বামীর এই বিপদাপন্ন অবস্থায় অসহায় স্ত্রী কাঁদছেন। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এমইউ আহমদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি গতরাতে তাকে দেখতে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যান। এক বিবৃতিতে বেগম জিয়া বলেন, অ্যাডভোকেট এমইউ আহমদের কিছু হলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। বুধবার রাত দেড়টায় সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ এমইউ আহমদকে তার সেগুন বাগিচার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময়ই তাকে কিলঘুষি মারা হয়। তছনছ করা হয় পুরো বাসা।

গ্রেফতারের পর কিলঘুষি মেরে গাড়িতে ওঠায় ডিবি পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় রমনায় ডিবি অফিসে। সেখানে তাকে আরও নির্যাতন চালানো হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা জানান, নির্যাতনের একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভোরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ডিবি পুলিশ নিয়ে যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তাররা অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তবে ডিবি পুলিশের এডিসি মেহেদি হাসান সাংবাদিকদের জানান, অ্যাডভোকেট এমইউ আহমদকে নির্যাতন করা হয়নি। পুলিশ আটক করে গাড়িতে তোলার পরই তিনি জানান, তার বুকে ব্যথা হচ্ছে। গত ২ আগস্ট বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্রের আদালতে ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনীর বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলায় আদেশ দেয়ার সময় বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম নিয়ে কটাক্ষ করা হয়।

বেগম জিয়া সম্পর্কে কটাক্ষ করে আদেশে বক্তব্য দেয়ায় প্রতিবাদ জানান উপস্থিত আইনজীবীরা। এতে সরকার সমর্থক আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরের আইনজীবীরা বাধা দেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিবি পুলিশ তাদের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় শুধু বিরোধী দলের সমর্থক আইনজীবীদের আসামি করা হয়।

দু’দল আইনজীবীর হাতাহাতির ঘটনায় আসামি করা হয় একপক্ষের বিরুদ্ধে। পুলিশের দায়ের করা এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হলেন অ্যাডভোকেট এমইউ আহমদ। পুলিশের দায়ের করা এই মামলার আসামি হিসেবে বুধবার রাত দেড়টায় ডিবি পুলিশ ১১৬, সেগুন বাগিচার ইস্টার্ন হোম অ্যাপার্টমেন্টের ছয়তলা বাসা থেকে এমইউ আহমদকে গ্রেফতার করে। তার স্ত্রী সেলিনা আহমদ সাংবাদিকদের জানান, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পুলিশ তাদের বাসায় অভিযান চালায়। পুলিশ পরিচয় পাওয়ার পর দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সাদা পোশাক এবং পোশাকধারী ১৫-২০ জন হুড়মুড় করে ঘরে প্রবেশ করে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তারা এ সময় ঘরের আসবাবপত্র ও আলমারি তছনছ করেন। বাসার অন্য সদস্যদেরও লাঞ্ছিত করেন। এদিকে হাসপাতাল থেকে ভোর ৬টায় টেলিফোনে এমইউ আহমদের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানানো হয়। সেখানে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, ৬টার কিছুক্ষণ আগে পুলিশ অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

তিনি হাসপাতালের সিসিইউ-১ ওয়ার্ডে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রয়েছেন। তার চারপাশে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের (এনআইসিভিডি) ইউনিট-১৩-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. সিদ্দিকুর রহমান আমার দেশকে জানান, তাকে অজ্ঞান অবস্থায় এনআইসিভিডিতে ভর্তি করা হয়। তিনি অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন বা মারাত্মক হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত। বর্তমানে তাকে ১২ নম্বর সিসিইউতে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এমইউ আহমদের শারীরিক অবস্থা অস্থিতিশীল হওয়ায় ৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাবে না বলে জানান ডা. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে জীবন রক্ষাকারী থ্রোম্বোলাইটিক চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন আমার দেশকে জানান, যে মামলায় এমইউ আহমদকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন ছিল। হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।

সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবীর অবস্থা যদি এরকম হয়, সাধারণ মানুষ কীভাবে রয়েছে তাতেই অনুমান করা যায়। তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ আইন লঙ্ঘন করে গভীর রাতে তার বাসায় হামলা চালিয়েছে। গভীর রাতে কারও বাসায় তল্লাশি বা গ্রেফতার অভিযান চালানো সম্পূর্ণ বেআইনি। তিনি বলেন, তাকে ডিবি অফিসে চার ঘণ্টা রাখা হয়েছিল। সেখানেই তিনি অজ্ঞান হয়েছেন।

সুতরাং ডিবি অফিসে কেন মানুষ অজ্ঞান হন সেটা আর কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তিনি জানান, ডিবি পুলিশ এখন তার স্ত্রীকে চাপ দিচ্ছে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে তাকে নিয়ে যেতে। স্ত্রীর সাদা কাগজে স্বাক্ষরের বিনিময়ে ডিবি পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে চাচ্ছে। এটাও রহস্যজনক। তিনি বলেন, আমাদের আইনজীবী আটক অবস্থায় ডিবির পুলিশের হেফাজতে রয়েছে, যেভাবে সুস্থ অবস্থায় তাকে ধরে নিয়েছিল সে অবস্থায় ফেরত চাই।

গতকাল দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সেক্রেটারি ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদলের নেতৃত্বে একদল সিনিয়র আইনজীবী হাসপাতালে এমইউ আহমদকে দেখতে যান। সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি বলেন, ডাক্তাররা তাদের জানিয়েছেন এমইউ আহমদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। এমইউ আহমদকে দেখে বেগম জিয়ার উদ্বেগ প্রকাশ : পুলিশের নির্যাতনে অজ্ঞান হওয়া আইনজীবী এমইউ আহমদকে দেখতে গত রাতে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যান বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ইফতার মাহফিল শেষে তিনি সরাসরি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যান। সেখানে তিনি এমইউ আহমদের সঙ্কটজনক অবস্থা জানতে পেরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং কর্তব্যরত ডাক্তারদের কাছে তার সর্বশেষ চিকিত্সা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, সেক্রেটারি ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমদ তালুকদার। খালেদা জিয়ার প্রতিবাদ : হাইকোর্টের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম ইউ আহমদকে গতরাতে সাহরির সময় ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার ও তার ওপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, অ্যাডভোকেট এম ইউ আহমদকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সেখানে তাকে চার ঘণ্টা আটকে রাখা হয় এবং আশঙ্কা করা হয় যে, তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। বেগম জিয়া বলেন, ডিবি কার্যালয়ে এম ইউ আহমদের শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটলে তাকে সেখান থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

বিএনপি চেয়ারপার্সন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকারকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে দমন করছে। এদের হাতে গণতন্ত্র কোনো দিনই সুরক্ষিত থাকেনি। এখন তাদের সারাদেশে আধিপত্য বিস্তার এবং দখলের ক্ষুধা তীব্র হয়ে উঠেছে। বেগম জিয়া বলেন, সরকার র্যাব ও পুলিশকে দলের অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার করার কারণেই দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। তিনি বলেন, একনায়কবাদী ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, সাংবাদিক কারোরই জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই।

বিএনপি চেয়ারপার্সন সরকারের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হাসপাতালে চিকিত্সাধীন গুরুতর অসুস্থ অ্যাডভোকেট এম ইউ আহমদের কোনো ক্ষতি হলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। বেগম জিয়া হাসপাতালে চিকিত্সাধীন এম ইউ আহমদের আশু সুস্থতা কামনা করেন। বিএনপির নিন্দা : হাইকোর্টে হট্টগোলের মামলার অভিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমইউ আহমদকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালানোয় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। গতকাল এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আইনজীবী এমইউ আহমদের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আইনজীবী আহমদকে বুধবার ভোররাতে তার সেগুন বাগিচার বাসা থেকে গ্রেফতারের পর ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।

এতে এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ বলছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে পরিবারের অভিযোগ, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। মির্জা আলমগীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী সরকার যেন আজ মধ্যযুগীয় হিংস্রতা ও প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে। জাতীয় সংসদ, আদালত ও সংবিধানকে অকার্যকর করে বিরোধী দল তথা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার একের পর এক হিংসাশ্রয়ী কার্যক্রম গ্রহণ করার পরও সরকারের তৃপ্তি মিটছে না।

তাই সংসদ সদস্য, সাংবাদিক এবং আইনজীবীদেরও দলীয় ক্যাডার দিয়ে সাজানো পুলিশ-র্যাবকে দিয়ে বীভত্স নির্যাতন করানো হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দিন দিন সরকারের রক্তপিপাসু আচরণে আজ আর কেউ আমরা নিরাপদ বোধ করছি না। মনে হয় সর্বক্ষণ একটা মৃত্যুদানব পেছন থেকে তাড়া করে ফিরছে। গোয়েন্দা পুলিশের এ ধরনের আচরণ কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ ধরনের মধ্যযুগীয় বর্বরতা অবিলম্বে বন্ধ না করলে রমজান মাসেই কঠোর কর্মসূচিতে নামতে বিএনপি বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি এমইউ আহমদের আশু সুস্থতা কামনা করেন। অপর এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এর আগে গ্রেফতারকৃত বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়াকে আদালত জামিন মঞ্জুর করা সত্ত্বেও নতুন করে মিথ্যা মামলায় রিমান্ড দেয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ ও নিন্দা জানান। সূত্র: আমারদেশ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.