আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলেস্টোরেল কমাতে ৫ রসদ ...

স্বর্গের খোঁজে . . . . . কলেস্টোরেল নিয়ে আজকাল অনেকেই চিন্তিত। দেহে কলেস্টোরেলের মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে আছে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, স্ট্রোক এবং ধমনী সংক্রান্ত রোগ অন্যতম। কিন্তু দেহে কলেস্টোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলে এসব রোগ নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। আর কলেস্টোরেল নিয়ন্ত্রণের জন্য খুব বেশি কাঠ-খড়ও পোড়াতে হবে না।

দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ছোটখাটো পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বিভিন্ন রোগের হোতা কলেস্টেরেলকে। এজন্য আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় নিচের পাঁচটি রসদ নিয়মিত ব্যবহার করলেই, আর ভাবতে হবে না কলেস্টোরেল নিয়ে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন তাদের একটি প্রতিবেদনে এই পাঁচটি রসদ সর্ম্পকে জানিয়েছেন: ১. অলিভ ওয়েল সবার অতি পরিচিত অলিভ ওয়েল দেহকে সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে। এটা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে যেমন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে, তেমনি দেহের কলেস্টোরেলকে করে নিয়ন্ত্রণ। প্রতিদিনের খাবার তৈরির সময় তাই অলিভ ওয়েলকে একটু প্রাধান্য দিলেই অতিরিক্ত কলেস্টোরেল স্বাস্থ্যের আর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

২. রসুন আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রসুনের উপস্থিতি কমবেশি সবসময়ই থাকে। রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, দেহের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন, ধমনী সংক্রান্ত রোগের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কলেস্টোরেলও নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন দুই থেকে চার কোষ রসুন খেতে পারলে কলেস্টোরেল বাড়ার ভয় থাকবে না। ৩. চকলেট চকলেট কমায় কলেস্টোরেল। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে চকলেট গ্রহণ করলে কলেস্টেরেল থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

তবে এর জন্য বেছে নিতে হবে ডার্ক চকলেটের সঙ্গে স্ট্রবেরি যুক্ত করলেও মন্দ হয় না। ৪. চা ক্যান্সার প্রতিরোধে চা একটি অন্যতম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি চা দেহের কলেস্টোরেল কমাতেও সাহায্য করে। গবেষকরা জানিয়েছেন, নিয়মিত তিন সপ্তাহ ব্ল্যাক টি খেলে দেহে কলেস্টোরেল ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। ৫. শিম, মটরশুটি এবং বাদাম যাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন স্যুপ থাকে, তারা তাতে আধা কাপ শিম বা মটরশুটি যুক্ত করে দিলে তা হয়ে উঠবে আরো পুষ্টিকর।

এই সবজি দেহে ৮ ভাগ পর্যন্ত কলেস্টোরেল কমায় বলে জানিয়েছেন অ্যরিজোনার স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। এছাড়াও আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সপ্তাহে ছয়দিন যদি ১.৫ আউন্স করে আখরোট বা বাদাম খাওয়া যায় তবে এক মাসের মধ্যে ৫.৪ ভাগ পর্য়ন্ত কলেস্টোরেল কমতে পারে। এভাবেই দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এসব রসদের পরিমিত উপস্থিতি দেহে জন্য ক্ষতিকারক কলেস্টোরেলকে কমিয়ে সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.