আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাংসদ গোলাম মাওলা পেটালেন দুই সাংবাদিককে

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন ইনডিপেন্ডেন্টের দুই সাংবাদিক আওয়ামী লীগের সাংসদ গোলাম মাওলা রনির মারধরের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত দুই সাংবাদিক হলেন ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের অপরাধবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘তালাশ’-এর প্রতিবেদক ইমতিয়াজ মমিন ও ক্যামেরাম্যান মোহসিন মুকুল। মোহসিন মুকুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে প্রথম আলো ডটকমকে দেওয়া সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিনের ভাষ্য, ন্যাম ভবনে সাংসদদের জন্য বরাদ্দ করা ফ্ল্যাটে কারা থাকেন, তা নিয়ে ‘তালাশ’ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করছে।

দেখা গেছে, ন্যাম ভবনের ২ নম্বর ফ্ল্যাটে সাংসদ গোলাম মাওলার জন্য বরাদ্দ করা বাসায় তাঁর গাড়িচালক সপরিবারে বাস করছেন। এ বিষয়ে গত বুধবার (১৭ জুলাই) গোলাম মাওলার বক্তব্য জানতে তাঁরা তোপখানা রোডে মেহেরবা প্লাজার দশম তলায় তাঁর কার্যালয়ে যান। কিন্তু সারা দিন বসে থাকার পরও গোলাম মাওলার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন দাবি করেন, ন্যাম ভবন ছাড়াও পটুয়াখালীর আরেকটি ঘটনা নিয়েও তাঁরা তদন্ত করছেন। একটি সূত্রের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, পটুয়াখালীর ওই ঘটনায় একটি দরপত্রের বিষয়ে সমঝোতা করতে গোলাম মাওলার কাছে দুই কোটি টাকা নিয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তা গেছেন।

এ খবর সংগ্রহ করতে দুপুর পৌনে একটার দিকে মেহেরবা প্লাজায় গোলাম মাওলার কার্যালয়ে ক্যামেরা নিয়ে প্রস্তুত থাকেন তাঁরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোলাম মাওলা কার্যালয় থেকে বের হয়ে তাঁদের দুজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে গোলাম মাওলার সহযোগী কর্মকর্তারাও তাঁদের মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁদের ক্যামেরা ভেঙে যায়।
মারধরের ঘটনার পর অন্য সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে যান।

সেখানে সাংসদ গোলাম মাওলার সঙ্গে সাংবাদিকদের কয়েক দফা বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর গোলাম মাওলা সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। আহত সাংবাদিকদের চিকিত্সার খরচ এবং ক্যামেরা ভেঙে যাওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও সাংসদ জানান। তবে তিনি কোনো হামলা করেননি বলে দাবি করেন। দুঃখ প্রকাশ করা এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে গোলাম মাওলা বলেন, ‘কার্যালয়ের সামনে ঘটেছে, তাই দুঃখ প্রকাশ করছি।

’ মারধরের সঙ্গে কারা জড়িত, জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, এ ঘটনায় ওই ভবনের অন্য লোকজন জড়িত।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘টেলিফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত মোমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। ’ এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়েছে। তাই পুলিশের আর কিছু করার নেই বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে আহত দুই সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন ও মোহসিন মুকুল বলেন, তাঁরা এই মীমাংসা মানেন না।

তাঁরা আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।