আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবকয়টার গুষ্টি কিলাই

© এই ব্লগের কোন লেখা আংশিক বা সম্পূর্ণ আকারে লেখকের অনুমতি ব্যতীত অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। প্রথমে দুইটা গল্প শেয়ার করি, আমাদের দেশের "ক" নামক একটা কমার্স কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। প্রধান অতিথি হয়ে এসেছেন আমাদের দেশের "খ" মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী "গ"। বক্তৃতা দেয়ার এক পর্যায়ে উনি বলে উঠলেন, "আশা করি ভবিষ্যতে এইখান থেকে অনেক ডাক্তার-ইন্জ্ঞিনিয়ার বের হয়ে আসবে,বের হয়ে তারা দেশ ও দশের সেবা করবে। " সেই মন্ত্রী গেছেন আরেকটি অনুষ্ঠানে।

তাঁর গ্রামের বাড়ী "ঘ" তে। যথারীতি "ঙ" নামক একটি স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক বক্তৃতায় বলছেন,"মাননীয় মন্ত্রী,আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমাদেরকে সময় দেয়ায়। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে আপনার কাছে একটা বিনীত অনুরোধ করতে চাই। এই গ্রামের অনেক মধ্য বয়ষ্ক কিংবা বুড়ো মানুষ রয়েছেন যারা তাদের সময়ে পড়ালেকার ঠিক সুযোগটা পান নি,তাদের জন্য যদি এইখানে একটা নৈশ স্কুল গড়ে দি্তেন তাহলে গ্রামবাসী আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকতো।

" জবাবে মন্ত্রী নিজের ভাষণে বললেন,"আপনারা আমার কাছে ৫ টা,নাহয় ১০ টা স্কুলের জন্য আব্দার করতে পারতেন। কিন্তু ৯০০ টি স্কুল করে দেয়াটা একটু বেশি হয়ে গেলো না? এতো স্কুল করবেন কোথায়,জায়গা কই? যাইহোক আপনারা চিন্তা করবেন না। আমি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করবো যেনো আপনাদের চাওয়া পূরণ হয়। " কি? উপরের গল্প দুটি খুব বেশী বানোয়াট শুনালো? মনে হলো,জোর করে কাতুকুতু দিয়ে এমন রূপকথার গল্প না বানালেও চলতো। তাই না? আমাদের এক বানিজ্য মন্ত্রী একদা বলেছিলেন, "আল্লাহর মাল আল্লায় নিয়া গেছে, এখন কাইন্দা আর কি করবেন?" আর এখনকার বানিজ্য মন্ত্রী বলেন, একটু কম খেলেই দ্রব্যমূল্যের দাম কমে যাবে।

" যামু কই? যুগে যুগে আমাদের কপাল যে লাউ সেই কদু। আমরা যদি মানুষখেকো হইতাম তাহলে ফারুই্ক্কার মতো বেকুব শ্রেণীর একটা খাসি খাইয়া ১০০ জনের ক্ষুধা মিটাইতাম, আফসোস ব্রেনের যাবতীয় আইটেমগুলো বাদ পইড়া যাইতো। কারণ হের মইধ্যে তার ছিটেফোঁটাও নাই। বিএনপির হান্নান শাহ যথার্থই বলেছেন,"একবার উনার পাশে দাওয়াতে খেতে বসেছিলাম। মাশাল্লাহ উনি একাই তিনজনের খাবার খান"।

যার নামের শেষেই রয়েছে খান তিনি আজ আমাদের কম খেতে পরামর্শ দেন। যামু কই? আমার এক পরিচিত বড়ো ভাই আজকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, "বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুক "খান" সবাইরে কয় উপবাস যান, দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্ব গতির; তার ওয়ান এন্ড অনলি সমাধান। ভাইবা পাইতেসিনা,এই সমাধান দেওয়ার জন্য কেন জনগণের ট্যাকা খরচ কইরা তারে মন্ত্রীর সুযোগ সুবিধা দেওয়া হইতাসে। আমার ৬ বছরের কাজিনওতো তার থেকে ভাল সমাধান দিতে পারে। আসুন দেশের স্বার্থে আমার ৬ বছরের কাজিনরে মন্ত্রী বানাই।

সে অন্ততপক্ষে সে এই ধরণের ফাউল কথা বইলা মেজাজ গরম করবে না। " -----যথার্থই। আমাদের বানিজ্য মন্ত্রী কি জানেন না,আমরা নিন্ম-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অনেক আগে থেকেই কতো কম খাচ্ছি?? সেটা আমাদের সেই বেকুব মন্ত্রীর পরামর্শে নয়, বরং লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির যাঁতাকলে পড়েই। কই দাম তো কমছে না। কানে অনবরত বেজে যায়, প্রধানমন্ত্রী যখন সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন,"এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

" আর আমরা মধ্যবিত্তরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে থাকি, হাসিনা-খালেদা সব এক জিনিস। " ঠিক করেছি,নেক্সট টাইম নো আওয়ামী লীগ, নো বিএনপি। এদের কাউকে আর বিশ্বাস করি না। এরা আমাদের রক্ত শুষে খায়। হয় থার্ড পার্টিকে ভোট দিবো নাইলে ভোট দিতেই যাবো না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.