আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের 'সহকারি পরিচালক' পদের আজ অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হোক

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে। -------হাসান হাফিজ আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের 'সহকারি পরিচালক' পদের লিখিত পরীক্ষা ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। গ্যালারি ৭-এ আমার আসন ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর একব্যক্তি আমার একটু সামনের এক পরীক্ষার্থীকে কিছু বললেন। তার কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তি ওই পরীক্ষার্থীকে(যার রোল নং-৮০৯) একটি কাগজ দিয়ে যায়।

সামনের অন্য এক পরীক্ষার্থী দেখলেন, ওটা একটা প্রশ্ন যার উল্টা পিঠে উত্তর লিখা এবং ওই পরীক্ষার্থী সেটা দেখে দেখে লিখছে। তিনি এ ব্যাপারে পরিদর্শকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। পরিদর্শক কোন ব্যবস্হা নেননি। এদিকে ওই ব্যক্তি অন্য এক পরীক্ষার্থীকে সিট পরিবর্তন করে যাকে উত্তর লিখে দিয়েছে তার পাশে এনে বসাল। এবার আমরা সবাই দাড়িয়ে এর প্রতিবাদ করলে একজন পরিদর্শক উত্তর লিখিত কাগজটি নিয়ে যায়।

আমরা তাকে বহিষ্কার করার দাবি জানাই। ইতোমধ্যে ওই ব্যক্তি কক্ষ ত্যাগ করে চলে যায়। এরপর পরিদর্শক ওই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেয়া থেকে বিরত রাখেন। আমরা ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে পরিদর্শকগণ বলেন-তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন পরিচালক। আর উত্তরপত্র!!!!!!!!! কতগুলো সাদা কাগজ স্টাপল করে দেয়া হয়েছে, চিরকুটের মতো একটি কাগজে নাম রোল লিখে খাতার উপরে স্টাপল করা ছিল--যা খুলে অন্য খাতায় লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

আর পরীক্ষা হয়েছে ৬০ নম্বরের বাকী ৪০ মৌখিক। এখানেও দুনীর্তির সুযোগ আছে। তাই শুরু হয় তুমুল আন্দোলন। ভাইস প্রিন্সিপাল এসে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন। কিন্তু আমরা এতে আশ্বস্ত হতে পারিনি।

সিদ্ধান্ত হয় উত্তরপত্র জমা না দেয়ার। অনেকে মোবাইল ফোন অন করে মিডিয়ায় খবর দেয়। আমরা পরীক্ষার হল ত্যাগ করে প্রিন্সিপালের রুমের কাছে এসে জড়ো হই । কিছুক্ষণ পরে ETV সাংবাদিক গাড়ি নিয়ে হাজির হয়। ETV'র কাছে সকল ঘটনা বর্ণনা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী ।

এরই মধ্যে পুলিশের লোকজন আসে। তারা ভাইস প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ETV'র কাছে পুলিশ কর্মকর্তা মি. মিজান Interview দেন এবং আমাদেরকে ঢাকা কলেজ ত্যাগ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে গিয়ে এর প্রতিবাদ করার পরামর্শ দেয়। এরপর আসে TV চ্যানেল "সময়" এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ। সবার কাছে সকল ঘটনা বর্ণনা করে আমরা ঢাকা কলেজ ত্যাগ করে জুমআর নামাজে শরীক হই। আমাদের দাবিগুলো হল: ১.পরীক্ষা বাতিল করা ২.ওই ব্যক্তির (পরিচালক)-এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্হা নিতে হবে।

৩.নতুনভাবে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে উত্তরপত্র তৈরি করে নতুনভাবে পরীক্ষা গ্রহন করতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.