আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বউকে বিশ্বাস করে গোপন কথা বলতে নেই...

আমি অতি সাধারন.... প্রকৃতগত ভাবেই অধিকাংশ মেয়েরা গোপন কথা হজম করতে পারেন না (নিজস্ব মত)। সেক্ষেত্রে পুরুষদের একটু বাড়তি সতর্ক অবলম্বন করতে হয়। নয়তো সকল সংবাদ চিচিংফাক হতে বাধ্য। ঐ যে একটা জনপ্রিয় গল্প মনে আছে না...একদা দুই বন্ধু নির্জনে ভ্রমনে এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে হত্যার উপক্রম হলে অন্য বন্ধু বৃষ্টিতে পানিতে সৃষ্ট বুদবুদকে সাক্ষি রেখেছিল। ঘটনক্রমে খুনি বন্ধুটি যখন এক বৃষ্টিরদিনে তার বউয়ের সাথে গল্প করার সময় বৃষ্টির পানিতে বুদবুদ দেখে হেসে উঠে।

পরে বউয়ের পিরাপিরিতে খুনের ঘটনা বলতে বাধ্য হয় এবং বউকে অনুরোধ করে যেন এই ঘটনা কাউকে না বলে, বললে পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যাবে,তার ফাসি হয়ে যাবে। বউ কিরা-কসম কেটে স্বামীকে আশ্ব্যস্ত করে কাউকে বলবে না। কিন্তু বিধি বাম পরের দিনই তার এক প্রিয় বান্ধবীর কাছে খুনের ঘটনা শেয়ার করে...এভাবে এক কান দু কান হয়ে পুলিশ পর্যন্ত ঘটনা গিয়ে পৌছে অতপর তার ফাসি হয়। তাই সাধু সাবধান হয়ে যান বউয়ের কাছে একান্ত গোপন কিছু প্রকাশ করার আগে। খবরদার বউয়ের সাথে শখের বসেও পূর্ব প্রেমের কথার ঠোঁটেও আনবেন না।

জীবনে কোনদিন কোন মেয়েকে ভাল লেগেছিল তাও না। বউয়ের চাইতে আপনার শালিকে দেখতে সুন্দরী মনে হয় ভুলেও যেন বলবেন না। আর যারা নিত্যান্তই রিস্ক নিয়ে বউয়ের সাথে এসব বলতে যান তার আগে একখন্ড পিটকয়লার আগুনখন্ড হাতের তালুতে রেখে তা আপনার সহ্যে ক্ষমতার মধ্যে আনার চেষ্টা করুন। সফল হলে বলতে পারেন। এখন আসা যাক আমার কাল্পনিক ঘটনায়।

গতকাল স্বপ্নকুটির ভাই যে ঘটনার অবতারনা করেছেন তা তার স্বপ্নে পাওয়া শতভাগ সত্য ঘটনা। ঘটনা ফাস হবার পরথেকে বউডারে লইয়া বেজায় বিপদে আছি। হের পেডে কোন কতাই অজম অয় না। তাই বউডারে শিক্ষা দিবার লাইগ্গা একটা ফন্দি পাতছিলাম যা আফনাগো লগে শেয়ার করতাম মনচাইতাছে। ডিম পাড়ার গল্পটা এভাবে সম্প্রচার হবার পর আমার বোধগম্য হলো তাকে এই ব্যাপারে একটা শিক্ষা দেওয়ার যাতে বাকী জীবনটা শান্তিতে থাকতে পারি।

প্রিয় বন্ধু শিয়াল পন্ডিতের সাত তোলা বুদ্ধি থেকে কিছুটা ধার চাইলাম। স্বানন্দে রাজি হয়ে গেল প্রিয় বন্ধুটি। তাকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ দিয়ে কাজে নেমে পড়লাম। পরেরদিন রাতে, বউকে বললাম আস আজ পূর্নিমা রাতে আমরা দুইজন জেগে জেগে গল্প করবো। আর জানোতো পূর্নিমা রাতে চাঁদের মিষ্টি আলোর সাথে আমি রুটির বৃষ্টি নামাতে পারবো।

বউ অবাক হয়ে বলে এটা একদমই অসম্ভ্যব এটা হতেই পারে না। আমিও চ্যালেন্জ ছুড়ে দিয়ে বললাম তবে আজ রাতে তুমি আর আমি রুটি কুড়াতে পাশের ঝাউ বনে যাবে ঠিক আছে? ডাইনে মাথাটা কাত করে সম্মতি জানালো সোনাবউ। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শিয়াল পন্ডিত ঝাউ বনে রুটি ছিটিয়ে রাখে। রাত গভীর হলে বউকে নিয়ে ঝাউ বন থেকে রুটি কুড়িয়ে আনি। অতপর বউকে বলি আমার এই ক্ষমতার কথা প্লিজ কাউকে বলোনা।

আবারো বউ ডাইনে মাথা কাত করে সম্মতি জানায়। কিছুক্ষন পর শিয়াল পন্ডিত আমার সামনে পরে যায় বউকে বললাম ঐ যে আমার চির শত্রু শিয়াল পন্ডিত তাকে আজ এই নিরালায় খুন করে শত্রুতার প্রতিশোধ নিব। যেই বলা সেই কাজ হাতের মধ্যে থাক ছুঁড়ি দিয়ে শিয়াল পন্ডিতের পেটে আঘাত করতেই পেট ফেটে রক্ত বেড়িয়ে আসল। (যা ছিল সাজানো নাটক, পেট থেকে সিনেমায় ব্যবহৃত রক্তসদৃশ রং)। বউকে বললাম তুমি ঘরে যাও লাশটাকে ঘরের পেছনে কলা বাগানে পুতে আসি।

আর বউকে বললাম খবরদার আজকের এই দুই ঘটনা যেন কেউ না জানে। বউ মাথাটা ডাইনে কাত করে কিরা-কসম কেটে কাউকে বলবেনা বলে আস্ব্যস্থ করে। কিন্তু বিধি বাম পরের দিনই তার প্রিয় বান্ধবী...অতপর এভাবে ছড়াতে ছড়াতে পুলিশ পর্যন্ত গড়ালো। পুলিশ আসলে তাকে বিনীত করে বলি স্যার আমার বউ মানসিক রোগী কখন কি বলে ঠিক নেই। এইতো সেদিন বউ সবার কাছে বলে বেড়ালো আমি নাকি প্রতিরাতে একটা করে ডিম পাড়ি।

আপনিই বলুন মানুষ কখনো মুরগীর ডিম পারতে পারে। পুলিশ বাবু মাথা দুলালো, "তা ঠিক তা ঠিক"। বাজখাইয়ের মতো বউ আমার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে পুলিশ বাবুকে বলল,"ঠিক আছে মানুষ না হয় ডিম পারতে পারে না কিন্তু বন্ধুকেতো খুন করতে পারে, কি পারে না?" পুলিশ বাবু এবারো মাথা দুলালো, "তা ঠিক তা ঠিক"। এবার আমি শান্ত গলায় বললাম পুলিশবাবু আমার বউটার মাথা ইদানিং বেশি খারাপ বেশি মাত্রায় আবোল তাবোল বকছে। আমি কেন আমার বন্ধুকে খুন করতে যাবো।

আর আমি নিশ্চিত তাকে যদি বলেন কখন খুন করেছি তখনো সে আবোল তাবোল বকবে। বউতো এবার আরো রাগান্বিত হয়ে বলল,"কি মনে নাই ঐ দিন পূর্নিমা রাতে তুমি রুটির বৃষ্টি হলে তা কুড়াতে গিয়েছিলাম এবং রুটি কুড়িয়ে ফেরার পথে তুমি তোমার বন্ধুকে খুন করলে"। বিষন্য হয়ে পুলিশ বাবুকে বললাম,"প্লিজ আমার স্ত্রীকে পাগলে ডাক্তার দেখাতে হবে দয়া করে অনুমতি দিন। পুলিশ বাবু তা অনুমতি দেবার প্রাক্কালে। বউ ক্ষিপ্র হয়ে পুলিশের হাত ধরে ঘরের পেছনে করব দেখাতে নিয়ে যায় চাক্ষুস প্রমানের জন্য।

হায় বিধি বাম সেখানে কিছুই খুঁজে পেল না। অতপর তাকে কিছুদিন পাবনা ভর্তি করে দিয়ে আসলাম। এতে বউয়ের তার ভুল বুঝতে পারে...এবং আমার কাছে ক্ষমা চায় ও ভবিষ্যতে ভালো হয়ে চলার প্রতিজ্ঞা করে। কি আর করা প্রিয় বউটির জন্য আমারও তখন হৃদয়ে রক্তক্ষরন হচ্ছিল। নিয়ে আসলাম ও অবাক হলাম সে এখন গোপন কথা তো দূরের কথা শপিংযে যাবার কথাও বলে না।

(শতভাগ কাল্পনিক, কেউ বাস্তব মনে করলে তা কাকতাতালীয় মাত্র) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.