আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের মিডিয়া লুল! অরুন চৌধুরীর যৌন হয়রানি, কেন মিডিয়া খবরটি দেয়নি?

মানুষে মানুষে সমানাধিকারে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের হাতেগোনা কয়েকজন সাংবাদিক বাদ দিলে বাকি সব কোন না কোনভাবে অসাধু। লুচ্চামিতো আছেই। এরা রাজনীতিবীদদের বিরুদ্ধে, আমলাদের বিরুদ্ধে, শিক্ষক-চিকিৎসক-আইনজীবী, শিল্পী সবার বিরুদ্ধে নিউজ করে কিন্তু নিজেরা যখন অধিকতর ন্যাক্কারজনক কর্মে লিপ্ত থাকে তখন নিউজ হয় না। দেশের সবার হিসাব জনগণকে জানাতে উদগ্রীব থাকেন কিন্তু নিজেরা কত টাকা বেতন পান আর কত টাকা খরচের জীবন-যাপন করেন তা জনগণকে জানান না। সম্প্রতি অরুণ চৌধুরী নামের একটি উৎকৃষ্ট জাতের শুয়োর গোপন ক্যামেরায় ধরা খেয়ে নিজের ভণ্ডামি প্রকাশ করেছেন।

যদিও তার বেশ্যা স্ত্রী (স্বামী-কে কচি মেয়ে সাপ্লাই দিতে সচেষ্ট বলে মনে হয়) স্বামীর এহন অপকর্মে তার পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন! অরুণের এই করুণ জীবন মিডিয়া লুকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেও পারছে না মূলত ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মুক্ত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর কারণে। আজকের আমাদের সময়ে জনৈক জব্বার হোসেনের একটি লেখা বেশ প্রাসঙ্গিক হওয়ায় হুবহু তুলে দিলাম। জব্বার হোসেন: কয়েকটি দৈনিক এবং সাপ্তাহিকের সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এই লেখাটি প্রকাশ করার জন্যে। তাদের কেউই রাজি হননি; কারণ আমি একজন সম্পাদকের যৌন হয়রানির বিষয়ে লিখতে চেয়েছি। আমার মনে হয়েছে, এ ধরনের ঘটনা মিডিয়া সম্পর্কে লোকের মনোজগতে একটি নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করবে।

মিডিয়ার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার জন্য বরং আমাদেরই প্রতিবাদ করা উচিত। অরুন চৌধুরী। একইসঙ্গে নাট্যকার, নাট্যনির্মাতা। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, আনন্দধারা। অরুন চৌধুরী যখন তার অফিসকক্ষে মডেল বা উঠতি নায়িকা জাতীয় কোনও মেয়েকে যৌনহয়রানি করেন তখন তা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার।

হতাশা এবং লজ্জার! এই গোপন ভিডিও সাধারণের মনে মিডিয়া সম্পর্কে নেতিবাচক ইমেজ ও আতঙ্ক তৈরি করবে। লোকে ভাববেÑ তবে কি এখানে ‘এই’ হয়! যে প্রচলিত বাজে ধারণাগুলো রয়েছে মিডিয়া সম্পর্কে, একজন সম্পাদকের এমন ভিডিও! এই ধারণাগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে আরও বেশি সহায়তা কি করে না? তার ব্যক্তিগত লাম্পট্যের একক দায় কেন সমগ্র মিডিয়া নেবে? কিন্তু হায়! আমাদের মিডিয়া প্রচণ্ড ‘পুরুষ’। সকল পুরুষতান্ত্রিক আচরণে ঠাসা মিডিয়া। যখন কোনও মেয়ে ভিকটিম হয়, যখন তার অন্তরঙ্গ, ব্যক্তিগত আবেগের দৃশ্য কেউ বাজারে প্রকাশ করে, তখন মিডিয়া সেই খবর প্রচারে, প্রসারে ‘গাজী গাজী’ বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। খবরের শিরোনাম হয় প্রভা, চৈতি।

‘এবার উপস্থাপিকা চৈতির নগ্ন ভিডিও’Ñ এমন শিরোনামে খবর প্রকাশ করতেও আমাদের বাধে না। এনামুল করিম নির্ঝরের মতো খ্যাতিমান স্থপতি, জনপ্রিয় নির্মাতার স্পষ্ট চেহারা দেখা যাওয়ার পরও চৈতির নামটি একা আসে মিডিয়ায়। নির্ঝররা আসে না খবরে, পত্রিকায়। কেননা নির্ঝররা পুরুষ, তাদের পুঁজি আছে, আছে অনেক ক্ষমতাবান সম্পাদক, সাংবাদিক বন্ধু। চৈতি, প্রভারা হারিয়ে যায়, রাজিব, নির্ঝরদের কিছুই হয় না! বরং নির্ঝরদের বিয়ের খবর মিডিয়া গুরুত্ব দিয়ে, বক্স করে ছাপে।

অরুন চৌধুরীর ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে। এই লেখাটি লেখার অন্তত সাতদিন আগে আনন্দধারা সম্পাদক অরুন চৌধুরীর যৌনহয়রানির ভিডিওটি প্রকাশিত হয়। মোবাইলে, ই-মেইলে তা ছড়িয়ে পড়ে দেশ থেকে দেশের বাইরে। অথচ নিশ্চুপ মিডিয়া, নীরব মিডিয়া। যেন কেউ কিছু জানে না! তবুও মিডিয়াওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ, তারা দায়সারা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অরুন চৌধুরীর চাকরি থেকে অব্যাহতির খবরটি নিশ্চিত করেছে।

যদিও কারণটি প্রকাশ করেনি। করলে তাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, উদারতা আরও বেশি প্রকাশ পেত। অরুন চৌধুরীর মতো আরও অনেকেই গোপন যৌনহয়রানি করা থেকে বিরত থাকতÑ নিদেন পক্ষে অফিস কক্ষে! আমাদের পুরুষ মিডিয়া মানুষ হোক। মানবিক হোক। উদার হোক।

অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ করুক। সম্পাদক, অ-সম্পাদক সকলের যৌনহয়রানির বিরুদ্ধে দাঁড়াক। অত্যাচারীর পাশে না দাঁড়িয়ে, দাঁড়াক অত্যাচারিতের পাশে। তবেই গণমাধ্যম গণমানুষের হবে, নইলে নয়, কখনোই নয়, কোনও দিনও নয়! ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.