আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদ ও ঈদের পবিত্রতা নিয়ে কিছু কথা

একটু সময় নিয়ে পড়ুন এভং ভেবে দেখুন... মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ। "ঈদ" শব্দের অর্থ "খুশি"। এই "খুশি" কেন এবং কিভাবে পালন করা উচিত তা একটু সংক্ষেপে আলোচনা করি। চাঁদ-রাতে (রমজানের শেষ তারিখ দিবাগত রাতে) মানুষের পূর্ণ ১ মাস সাওম সাধনার পুরস্কার এবং পাপ ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আল্লাহ ও তাঁর ফেরেস্তারা। সেই সুসংবাদের খুশিতে পরের দিনটি আমাদের জন্য খুশি ও আনন্দ বয়ে আনে।

আর কুরবানীর ঈদে হজ্জ ও কুরবানীর দ্বারা আমরা আল্লাহকে খুশি করতে পেরেছি, এই আশায় আমরা দিনটি আনন্দের সাথে পালন করি। দুই ঈদেই আমরা আনন্দ করি, কিছু আমোদ-ফূর্তি করি। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই এই আনন্দ অন্ততপক্ষে এমনকিছু কাজকে বুঝায় না যা "কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত"-- এটা আমরা সবাই বুঝি। এখন একটু বাস্তবতার দিকে তাকাই... কেউ smoke করে, drink করে কিংবা আরও কোন বদঅভ্যাস; জিজ্ঞাসা করলে বলে "আমি regular করি না, ঐতো ঈদে একটু করি। কেউ কেউ হয়ত বলবেন "ঈদে-চাঁদে" বলতে Occasionally বুঝানো হয়।

কিন্তু আমার নিজের দেখা ঘটনা, বন্ধ-বান্ধব কয়েকজন একত্রিত হয়ে ঈদের দিন রাতেই গাঁজা-মদ্যাপানে লিপ্ত হয়। একদিন এক ছেলেকে দেখলাম স্বর্ণের চেইন পরে আছে, বলল "আমি জানি, ছেলেদের স্বর্ণ পরা হারাম। আজকে ঈদের দিন, তাই পরলাম। " তাহলে ঈদের দিনটা কী সবার সব "কু-অভ্যাস" চরিতার্থ করার জন্য বেছে নেয়া একটি দিন!! নাউ-যুবিল্লাহ... দিনটির যথাযথ মর্যাদা রক্ষায় এতটুকু সচেতনতা কী আমরা মুসলমানরা দেখাতে পারি না...?? আনন্দ-উল্লাস করার জন্য কী এ গর্হিত কাজগুলো ছাড়া আর কিছু নেই? শান্ত মনে একবার ভেবে দেখুন। শেষে একটা কথাই বলব, যাদের এ কাজগুলো না করলে চলেই না তারা যেন অন্তত ঈদের (১+৩) ৪টি দিন এড়িয়ে চলেন।

ধন্যবাদ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।