আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাওয়ায় চলছে বেপরোয়া চাঁদাবজী, নেই কোন প্রতিকার !!!!

মাওয়ায় চলছে বেপরোয়া চাঁদাবজী। ঘাট ইজারাদাররা যাত্রিদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা করে নিচ্ছে শুধু ঘাট দিয়ে লঞ্চে ওঠার জন্য আর হাতে ২ টাকার একটা টিকেট ধরিয়ে দিচ্ছে। অথচ প্রশাসন একদম নিরব, লঞ্চের ভাড়া ১০ টাকা থেকে ২৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। তার পর যদি কেউ সি-বোট/স্প্রীড বোটে পার হতে চায় তার কাছ থেকে ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়, যাত্রীর একটু ভীড় হলেই এরা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। তার পর মাইক্রো বাসে উঠার সময় এখানকার দালালদের জনপ্রতি ২০ টাকা দিয়ে গাড়ীতে উঠতে হয়।

এই দালালদের টাকা না দিয়ে গাড়ীতে উঠা সম্ভব না। তাদের এই বে পরোয়া চাদাবাজীতে আমারা অসহায় হয়ে যাচ্ছি । দেশের আইন প্রনয়ন নিয়ে হরতাল হয়, একদল আর এক দল তা নিয়ে ইস্যু তৈরী করে কিন্তু জনজীবনে আমরা আজ চরম অসহায় বোধ করছি। অথচ আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা কারো নেই । সরকারী দল আর বিরোধী দল এই দুই রাহুর গ্রাসের মুখে আমরা আজ কতটা অসহায় বোধ করছি তা বলে শেষ করা যাবেনা।

এই চাদাঁবাজীর পরিমান দিন দিন বেড়েই চলছে। পদ্মা সেতু হবার পর এই সব টাউট বাটপার যাতে পরবর্তী ১০ বছর বসে বসে খেতে পারে তার পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আমরা চাঁদাবাজীর শিকার হচ্ছি । মনে হয় আমরা হরিলুটের রাজ্যে বাস করছি । খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়াতপুর, সহ পুরো দক্ষিন অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ঘাট থেকে পার হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছায়। আমার বাড়ি মোংলায়, চাকরীর কারনে ঢাকায় থাকছি ।

মাসের মধ্যে দুই একবার বাড়ীতে যেতে হয়। ঢাকা থেকে সরাসরি মোংলায় ২ থেকে চারটি বাস /পরিবহন আছে যাতে অনেক সময় লাগে। তাই বাধ্য হয়ে সময় বাচানোর জন্য কয়েকটা বাস বদল করে, পদ্মা নদী পাড় হয়ে তার পর আবার দুইটা বাস বদল করে বাড়ি পৌছাতে হয়। আমরা এম্নিতেই আনেক পেরেশান হই পথের এই ক্লান্তিতে কিন্তু ইদানিং সবচাইতে বেশি হয়রানী হতে হয় মাওয়া/কাওড়াকান্দি দুইপাড়ের লোকজনদের দ্বারা । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।