আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই ঘটনা মর্মান্তিক, অযথা গাইল পাইরেন্না

আমি দলে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল ভাই, কেমনে এত নিষ্ঠুর হইয়া গেলেন! গাঞ্জা খাইতে গেসে দেইখা, গণপিটুনিরে সমর্থন করতেসেন! কেউ আবার গ্রামবাসীরে বকতেসেন! আকিরো কুরাসাওয়া অনেক আগে একটা ছবি বানাইসিলেন। ছবির নাম সেভেন সামুরাই! ছবির মাইক্রো সামারি হইলো, জাপানের এক গ্রামে সবসময় ডাকাতে হামলা করতো। হামলা কইরা দরিদ্র গ্রামবাসীর চাষ করা ধান কাইটটা লইয়া যাইতো। গ্রামবাসী কি করে, ভাতের বিনিময়ে ভাড়া করলো সামুরাই। সামুরাইরা যুদ্ধ করলো।

জিতলো, গ্রামবাসী বাঁচলো। যুদ্ধে কয়েক ডাকাত জীবিত ধরা খাইলো। যোদ্ধা সামুরাইরা হাজার চেষ্টা কইরাও ওই ডাকাতগুলারে গ্রামবাসীর হাত থেইকা বাঁচাইতে পারলো না! ডাকাতগো ভয়ে যারা থরথর কইরা কাঁপত, তারাই ওই নিরস্ত্র ডাকাত গুলারে গৃহ-স্থলী ভোজালি দিয়া দিনে দুপুরে কাইটা ফালাইলো। তো, কুরাছাওয়া যা বুঝাইতে চাইছিলো মনে হয় তা হইলো, মানুষ বড় নিষ্ঠুর। ওই সহজ সরল চাষিরাও সুযোগ পাইলে খুন করতে পারে! সেই রকম আক্রান্ত, কিন্তু সতর্ক গ্রামবাসীর ক্ষোভের শিকার হইছে হতভাগা কিছু যুবক! খাইছে না হয় গাঞ্জা, করছে না হয় নেশা; ভুল কইরা করছে! একটাতো ফিরতো! একদিন বুঝতো।

বুইঝা ছাইড়া দিতো। বাপ মায়ের কথা ভাবতো। ফ্যামিলি চালাইতো। সেইটা-তো মরল! আপনারা বাপমাগুলারেও ছাড়লেন না! হয়তো তারা ভুল করছে, অতিরিক্ত লাই দিছে পোলাপাইনগুলারে, তাগো কেউ হয়তো বুঝেই নাই পোলায় এতো খারাপ হইয়া গেছে। হয়তো বুঝতো কয়েকদিন পরে।

ছেলেটারে ফিরায়া আনত! কেন খালি খালি গাইল পারেন? দোষ দেন! এই ঘটনা মর্মান্তিক; দুঃখের। শোক করেন। পণ্ডিতি কম করেন। সব বুইঝা ফালাইছেন, সমাজ উদ্ধারে নামছেন এই ভাব কইরা গাইল পাইরেন না। আমরা বুঝি, আপনেও ওই গ্রামবাসীদের একজন।

মরার পরও লাত্থি মারার ইচ্ছাটা দমাইতে পারতেসেন্না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।