আমার মাঝে আমি,নিজেকে বার বার খুজি । জয় হোক স্বপ্নের,সত্যি হোক জীবনের আশা । মানুষের মাঝে মানুষ,উড়ায় হৃদয়ের ফানুশ ।
রবি ঠাকুরের গল্পগুচ্ছের একটি কিংবদন্তি গন্প হল অতিথি। রবি ঠাকুর নিজেই যেমন কিংবদন্তি তার লিখা ছোট গল্পটিও কিংবদন্তি।
গল্পের নায়ক অর্থাত প্রধান চরিত্র তারাপদ। ব্রাক্ষ্মন পুত্র তারাপদের বয়স ১৬ বছর। বড় বড় চক্ষু এবং হাস্যময় ওষ্ঠধরের একটি সুললিত সৌকমার্য প্রকাশ পায়। লেখক তার দেহের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে যেয়ে বলেছেন,
কোন শিল্পী যেন বহু যত্নে নিখুঁত নিটোল করিয়া গরিয়া দিয়াছেন।
তারাপদের পিতা-মাতার আটটি ছেলে-মেয়ের মধ্যে তারাপদ চতুর্থ পুত্র।
তারাপদ শৈশবে পিতৃহীন হয়। মা, ভাই-বোন, এবং পাড়ার সকলের কাছে সে আদরের মানুষ। গ্রামের সকলের চোখের পুতুল। সকলের ভালবাসা, প্রেম পাওয়া সত্যেও সে বন্ধনহীন হতে চায়। তাই সে বাড়ি হতে পালায়।
বাড়ির বন্ধন সে ছিন্ন করে। প্রথমে সে এক যাত্রাদলের সাথে যোগ দেয়। তার প্রতিভা এবং নম্রতা দিয়ে সবার মন জয় করে সে আবারও হারিয়ে যায়। কোন জিনিসের প্রতি তার আগ্রহ স্থায়ী হয় না। প্রতিটি কাজের প্রতি ক্ষনস্থায়ী কাজে লাগে এবং সবকিছু জয় করার পর যখন কিছু আর বাকি থাকে না, তখন সে নতুনের দিকে হাত বাড়ায়।
এভাবে সে ১৬ বছরের মধ্যেই যাত্রাদল হতে পাঁচালি দল এবং সর্বশেষ জিমন্যাস্টিকে যোগ দেয়। তারাপদ সম্পর্কে রবি ঠাকুর বলেন,
ছেলেটি সম্পুর্ন নিজের ইচ্ছা অনুসারে কাজ করে অথচ এমন সহজে করে যে তাহাতে কোন প্রকার জেদ বা গো প্রকাশ পায় না।
সুর অথবা সঙ্গীতের প্রতি প্রবল ভালবাসায় মত্ত হওয়ার কারনে জিমন্যাস্টিকস হতে নন্দী গ্রামে যাত্রা করে সে।
নান্দী গ্রামে যাওয়ার পথে কাঠালিয়ার জমিদার মতিলাল বাবুর স্নেহ ও ভালবাসা পায় সে। তারাপদ কাঠালিয়ার মানুষের মন কয়েক দিনের মধ্যেই জয় করতে পারলেও জমিদারের মেয়ে চারুশশীর মন জয় করতে পারে না।
লেখক বলেন-
কিন্তু বালিকা অবস্থাতেও নারিদের অন্তর রহস্য করা সুকঠিন,চারুশশী তাঁহারই প্রমান দিল ।
চারুশশীর মন জয় করার জন্য ভবঘুরে তারাপদ থিতু হয় কাঠালিয়া গ্রামে। যাযাবর জীবনে তার প্রেম আসে। দেখতে দেখতে দুইটি বছর কেটে যায় তার। ইংরেজী শিক্ষাতে সে দক্ষ হয়ে ওঠে।
এদিকে ধীরে ধীরে চারুশশীর মনে আস্তানা গেড়ে বসে তারাপদ। লেখক বলেন -
তারাপদের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের জন্য তার আত্মীয় - স্বজন আসে। কোলকাতা থেকে কেনাকাটা হয়। কিন্তু মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় আকাশে উড়ে চলা তারাপদ এই বন্দিত্ব এবং বন্ধন ছিন্ন করে।
লেখক বলেন -
কিন্তু পরদিন তারাপদকে দেখা গেল না । স্নেহ প্রেম বন্ধুত্তের ষড়যন্ত্র তাহাকে চারিদিক থেকে ঘিরিবার পূর্বেই সমস্ত হৃদয়খানি চুরি করিয়া একদা বর্ষার মেঘচ্ছন্ন রাতে এই ব্রাহ্মণ বালক আসক্তি বিহিন উদাসীন জননী বিশ্বপৃথিবীর নিকট চলিয়া গিয়াছে ।
মুখবন্ধ- রিভিউটা ভাল হয়নি এটা আমি জানি । ছোট গল্পের রিভিউ করা আসলেয় অনেক কঠিন কাজ । লিখাটির কম্পুটার টাইপ করার জন্যে আমার বাল্য বন্ধু ফয়সাল কে ধন্যবাদ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।