আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবনের প্রথম রিভিউ লিখলাম @18 অলটাইম দৌড়ের উপর টেলিফিল্ম এর রিভিউ

কি লিকব বুঝিনা । তিনটা ফাজিল টাইপের বন্ধু ইমরান (তৌসিফ) , বাপ্পী (মিশু) , ও নিয়াজ(এই পুলার নাম মনে হয় কীর্তি) । - কিছুই তাদের কাছে কোনো সময় সিরিয়াস হয় না । একসাথে থাকে । বাপ্পী ধবধবা সাদা হইলেও সে সারাদিন বিউটি টিপস বা উজ্জ্বল ফর্সা হওয়ার নানা কিছু আবিষ্কারে মত্য থাকে ।

ইমরান জিনি সারাদিন ফেসবুকে চটর পটর করেন এবং ফেসবুকেই পরিচিত অরনী নামের এক লন্ডনি সিলেটি মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাইতেসেন । আর নিয়াজ ব্যাটা আস্ত একটা হাড়-মাংশ কিপটা । একদিন কি হইসে ইমড়ান যিনি "আহমি ঠূমাখে খূভ love খড়ি" (আমি তোমাকে খুব love করি) এই টাইপ কথা অরনিকে বলতে চাইতেসিলেন কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে অরনি তাকে ফোন করে জানালো তার মা খুব অসুস্থ এবং তাকে লন্ডন যেতে হবে ২ দিন পরেই। আমি বাবা সিলেটে জন্মের পর থেকেই সিলেটে থাকতেসি খাইতেসি আমারো অনেক লন্ডনি আত্মীয় আত্মীয়া (♥ )আছে কিন্তু এখন পর্যন্ত মা লন্ডনে আর সে দেশে ফেসবুকাইতেসে এইরকম কাউকে দেখি নাই । যাউজ্ঞা ।

তো ছেকা খাইয়া ইমরান বাবাজি তো ভিষন ফেডাপ বা সিরিয়াস বা যাই বলেন । এখন তার এমন বন্ধুরা যারা কিছুই কোনো সময় সিরিয়াস নেন না তারা তাকে সিলেট নিয়ে গিয়ে অরনির সাথে ফিক্স করে দেওয়ার প্ল্যান করলেন । কিন্তু পরের দিন টিকেটের ব্যবস্থা না হওয়ায়, বাপ্পীর মাথায় প্ল্যান আসে তারা বাসভর্তী বরযাত্রীর সাথে যাবে। এই যুগে বাসে বরযাত্রী ভাপ্তেই Odd লাগে । বাসে হাতে গুনা ১০-১২জন বরযাত্রীর মাঝে কেউই তাদের প্রথম প্রথম চিনতে পারলো না ।

যাই হউক একটু পরে হলেও চেনার পরে তাদের বাস থেকে নামতে হল । ধপাস করে খুব রাত হয়ে গেলো । রাতে ইন্ডিয়ান ইস্টাইলে তারা একটা ঢাবা খুজে পেলেন । যদিও এখন পর্যন্ত এইরকম খোলা আকাশের নিচের হোটেল আমি দেখিনু বাপু । খাওয়ার পর তারা এক মহিলা (মম) কে দেখলেন কাদছেন ।

তার কাছে গিয়ে জানতে পারলেন তার হাজবেন্ডের (ইরেশ জাকের) সাথে ঝগড়া হয়ে যাওয়ায় তিনি গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন কিন্তু এখন আবার হাজবেন্ডের জন্য পিনিক আসছে । ইমরান তাকে তার হাজবেন্ডকে ফোন করতে তার মোবাইলটা দিয়ে সাহায্য করে । পরে ঐ ভদ্দর মহিলা তাদের লিফট দেন । কিন্তু ভদ্দর মহিলা যে একজন ঢূষঢাষ হাইজেকার এটা মহিলার চেহারায় তাদের মালুম পরছিলো না । প্যান্ট শার্ট টাকা পয়শা মুপাইল সব হাইজ্যাক করার পর তাদের কাছে আর কিছু নাই ।

রাস্তায় হাটতে হাটতে এক এনজিও তাদের শীত বস্ত্র দান করে গেলো । কিন্তু লিফট চাইতে গেলে কিসের হিন্দি চুলের রুল দেখায় তারা চম্পট মেরে দিলো । কিছুক্ষন পর তারা পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে হাজতও সফর করে । সকালে ছাড়া পাওয়ার পর । তাদের দেখা হল ক্রাইম রিপোর্টার ফারুক আহমেদের সাথে ।

তার কাছে এলাকার কেউই টাকা চায় না । তিনি ইমরান, বাপ্পী ও নিয়াজের বেপক সাহায্য করলেন । টিকিট, খাবার দাবার এমনকি কাপড় চোপড়েরও ব্যবস্থা করলেন । রাস্তায় যদি তাদের টাকার দরকার পড়ে । বার করলেন এক হাজার টাকার একটা ঝকঝকে নোট ।

নিয়াজ সেই টাকায় হাত দিতে না দিতেই ফারুক আহমেদ দিলেন নিয়াজের হাতে কামড় । ক্লিয়ার হয়ে গেলো তার কাছ থেকে কেউ টাকা নেয় না কেন । ব্যাটা আস্ত একটা শ্যাকল পাগলা । শুরু হয়ে গেলো অলটাইম দৌড়ের উপর ট্যাগলাইনটির বাস্তবিক বাস্তবতা অর্থাৎ ফারুক আহমেদ ছুটলেন তিন বন্ধুকে কামড়াতে । সাথে সাথে বাজলো সুশীল সমাজ দ্বারা আন্ডারেটেড গায়ক শরীফুদ্দীনের লাল গোলাপী গানের অসাধারন একটা কাভার ।

কিন্তু দৌড়ার সময় ক্যামেরার অসাধারণ কাজ দেখানোর জন্য পরিচালক শুরু করেন ভাড়ের উপর ভাড় ফেলার একটার পর আরেকটা সিন । পরে তারা এক টমেটো ট্রান্সপোর্টের গাড়ীতে লিফট পেলেন । বেজে উঠলো এই শহর শিরোনামের আরেকটি অসাধারন গান । অতঃপর তারা পৌছুলেন অরনীর বাসায় । এত তারাতারী অরনীর বাসা তারা কিভাবে খোঁজে পেলেন এইটার উত্তর গুগলেও হয়তো খোঁজে পাওয়া যাবে না ।

কলিং ব্যাল দেওয়ার পর দর্জা খুললেন অরনীর আন্টি । কিন্তু অরনী বাসায় নেই । আন্টি ফোন করে জানলেন অরনীর এক বান্ধবীর একসিডেন্ট হয়েছে সে আসতে দেরী হবে । কিন্তু এত কাঠখোর পোহানোর পর ইমরানের স্বপ্ন কন্যা অরনীর বাসায় এসে তার ঘুমিয়ে পড়াটা হজম হয়নি । যাই হোউক তারা পরেরদিন আবার অরনীর বাসায় গিয়ে অরনীর আন্টির সাথে কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে ইমরান খেলোওওও বিশাল এক ধাক্কা ।

ফেসবুকে, ফোনে অরনী নামের মেয়ের সাথে সে কথা বলতো সে আসলে এই ৬০ বছরের বৃদ্ধা । এরপর......................................................... গল্প শেষ at18 alltime দৌড়ের উপর টেলিফিল্মটির কিছু ভালো-খারাপ দিক ভালো পরিচালনা করেছেন কিন্তু তারাহুরা না করলে আরও ভালো হত ময়না পাখিটাকে ছাদে নিয়ে যাব খ্যাত আদনান সবার অভিনয় সুপার হইসে মিউজিক তো স্পিচলেস ছিল ক্যামেরা ওয়ার্ক বাংলা টেলিফিল্মকে অন্য লেভেলে নিয়ে গেছে । গল্পে সব কিছু যেন তারাতারী ঘটতে লাগলো, দুনিয়া এত সস্তা না । গল্পে টুইস্ট ছিল কিন্তু গল্পটা আহামরী কিছু ছিল না । তাই কি দেখলাম এইটা ভাবতে ভাবতে ঘুমায় পড়সি ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.