আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রামে একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেফতারকৃত ৩ যুবলীগ ক্যাডার ৩ দিনের রিমান্ড

অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র একে-৪৭সহ চট্টগ্রামে গ্রেফতারকৃত চাঞ্চল্যকর আট হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাজ্জাদ বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মোহাম্মদ সারোয়ার এবং তার দুই সহযোগীকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আজিজুল হকের আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সেলিম। গ্রেফতারকৃত তিন সন্ত্রাসী নুরুন্নবী ওরফে ম্যাক্সন, মোহাম্মদ সারোয়ার এবং গিট্টু মানিক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের সহযোগী হিসেবে পরিচিত হলেও বুধবার বিকেলে পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেন, আমরা শিবির নাই, শিবিরকে আমরা ঘৃণা করি, আমরা যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা বলে, একে-৪৭সহ উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো তাদের নয় দাবি করে এসব অস্ত্র ফেনীর নব নির্বাচিত পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম হাজারী অস্ত্রগুলো তাদের কাছে রাখতে দিয়েছিল বলে তারা দাবি করেন। তারা পুলিশকে এও বলেছে, ফেনী আওয়ামী লীগের এক সময়ের গডফাদার জয়নাল হাজারীর সন্ত্রাসীদের ঘায়েল করতে নিজাম হাজারী অস্ত্রগুলো ব্যবহার করতো।

উল্লেখ্য মঙ্গলবার ভোরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার কসবা থানার বিশ্বরোড এলাকাস্থ সন্ত্রাসী ম্যাক্সনের শ্বশুর বাড়ী হতে উল্লেখিত ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক একটি একে-৪৭ রাইফেল, ২৭ রাউন্ড গুলি; একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান, ও দেশীয় তৈরি এলজি উদ্ধার করে। তবে এসব অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের বিষয়টি মঙ্গলবার দিনভর পুলিশ গোপন করে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ওসি এবং পাঁচলাইশ জোনের এসিকে বার বার ফোন করলে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তারা স্বীকার করেনি। পরে বুধবার বিকেলে সিএমপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান।

এদিকে সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের পর তাদের ক্রস ফায়ারে হত্যা করতে তাদের প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে ২৫ লাখ টাকা দেন। জুট আলম, তৌফিক এবং আলমগীর নামের যুবলীগের এই গ্রুপটির সাথে গ্রেফতারকৃদের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল বলে সূত্রটি জানান। পরে গ্রেফতারের বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিডিয়া কর্মীরা জানার কারণে ক্রসফায়ারে হত্যার পরিকল্পনাটি পুলিশ বাতিল করে সূত্র দাবি করেন। যার কারণে প্রথম দিন পুলিশ গ্রেফতারের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেন। আর দেশের আজকের বেশীর ভাগ মিডিয়াতে এদেরকে শিবির ক্যাডার বলে চালিয়ে দিয়েছে।

শুধুমাত্র আমারদেশ ..আমার দেম . ছাড়া কালের কন্ঠের লিংক:কালের কন্ঠ . ১ম আলোর লিংক: Click this link... কালের কন্ঠের আরেকটি রিপোট দেখুন শিবিরের সাজ্জাদের একে-৪৭ ব্যবহার করেছেন আওয়ামী লীগের নিজাম হাজারী! বহদ্দারহাট এইট মার্ডার মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ খানের একে-৪৭ রাইফেল ব্যবহার করেছেন ফেনীর পৌর মেয়র এবং আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম হাজারী। এমনকি দু'জনের মধ্যে এখনো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। দুবাইয়ে অবস্থানরত সাজ্জাদ খান প্রায়শ ফোনে আলাপ হয়। আর তাদের এই যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। একে-৪৭ রাইফেলসহ বায়েজীদ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত শিবির ক্যাডার মোহাম্মদ সারোয়ার ওরফে বাবলা (২৩), মোহাম্মদ নুরন্নবী ওরফে ম্যাঙ্ন (২৮) ও মোহাম্মদ মানিক ওরফে গিট্টু মানিক (২৫) পুলিশ এবং সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন বলে জানিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম হাজারী শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ খানের সাথে আগে পরিচয় থাকার কথা স্বীকার করলেও অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী নগরীর বায়েজীদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিন জনই গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে তারা এসব অস্ত্রের ব্যবহারকারী হিসেবে অনেকের নাম বলেছে। তাই তাদের দেয়া তথ্য পুলিশ যাছাই করে দেখছে।

' ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পৌর মেয়র নিজাম হাজারী গতকাল বুধবার দুপুরে এই প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ফেনীর পৌর নির্বাচনে কোনো অস্ত্রের ব্যবহার হয়নি। সারাদেশে যতগুলো পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল ফেনীতে। তাই শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ' গ্রেপ্তারকৃতরা দাবি করছে সাজ্জাদ খানের সাথে আপনার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে? প্রশ্নের জবাবে নিজাম হাজারী বলেন, 'আমি যখন গ্রেপ্তার হয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলাম তখন একই সেলে যুবলীগ নেতা মামুনুর রশীদ মামুন, শিবির নাসির, সাজ্জাদ খান, মেজর ইকবালও ছিল। একজন বন্দীর সাথে আরেকজন বন্দীর যেধরনের পরিচয় থাকে আমার সাথে সাজ্জাদ খানের সেই ধরনের পরিচয়।

আর সাজ্জাদ খান জামিনে মুক্তি পেয়ে বিদেশ চলে যাওয়ার পর তার সাথে আমার আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। ' গতকাল সকালে বায়েজীদ থানা কার্যালয়ে অফিসার ইনচার্জ একেএম মহিউদ্দিনের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারকৃত শিবির ক্যাডার সারোয়ার কালের কণ্ঠকে জানায়, গত দু'বছর ধরে তারা সাজ্জাদ খানের হয়ে কাজ করছে। সাজ্জাদ খানের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সাজ্জাদ খানের নির্দেশে তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে গুলি করে ও হামলা চালিয়ে আতংক সৃষ্টি করতো। এমনকি গ্রেপ্তারের একদিন আগেও সাজ্জাদ খান ফোন করে তাকে সাবধানে থাকতে বলেছিল।

গ্রেপ্তারকৃত নুরন্নবী ওরফে ম্যাঙ্ন জানায়, সাজ্জাদ খান তাদের জানিয়েছিল ফেনীর মেয়র নিজাম হাজারীর সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। কারণ সাজ্জাদ খান চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কারা গেটে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেই ব্যাপারে নিজাম হাজারী সহায়তা করেছিল। তারা যে কোনো কাজে নিজাম হাজারীর সহায়তা পাবে বলে আশ্বস্ত করেছিল সাজ্জাদ খান। আর এর সূত্র ধরে তারা ফেনীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিভিন্ন মিছিল সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। উদ্ধারকৃত একে-৪৭ রাইফেল সম্পর্কে সারোয়ার জানান, ফেনী পৌর নির্বাচনের আগে নিজাম হাজারীর ক্যাডাররা এই একে-৪৭ রাইফেলটি তাদের কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছিল।

নির্বাচন শেষে গত দু'মাস আগে সাজ্জাদের নির্দেশে তারা অস্ত্রটি ফেরত এনেছে। ট্রাভেল ব্যাগে করে গিট্টু মানিক একে-৪৭ রাইফেলটি ফেনী থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে এসেছিল বলে তারা দাবি করে। অস্ত্রটি চট্টগ্রাম আনার পর এটি দিয়ে বেশ ক'বার গুলি করা হলেও কাউকে হত্যা করা হয়নি। ইহা ছাড়াও সব গুরো দৈনিক এব্যাপারে শিবিরকে ছড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করে ছিল। আপনার দৈনিক গুলোর প্রথম পাতায় তার সচিত্র সংবাদটি পাবেন।

এখন আমার প্রশ্ন জাতির বিবেকের কাছে এরা কি সংবাদিক নাকি অণ্য কিছু এদের কাজ কি????? এদের কাজ হল সত্য তুলে ধরে সমাজের দুনীর্তি, অপশাসন, সন্ত্রাস, মিথ্যা, প্রতারনা, ফ্যাসীবাদ, খুন ইত্যাদি অপরাধ তুলে ধরা এবং প্রতিবাদ করা । আর আজ এসব নামধারী সাংবাদিক এবং সংবাদমাধ্যম টাকার বিনিময়ে নিজেদের আদর্শ বিসর্জন দিয়ে নিজেকে উলঙ্গ করে দিয়েছে। তারা আজ অন্যায়ের বিরোদ্ধে কথা বলার কথা কিন্ত্ু তারা আজ অণ্যায়ের প্রশয় দাতা তারা আজ অন্যায় কারী। তারা সত্য প্রকাশ কারার কথা কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা আজ সত্য চাপা দিচ্ছে। তারা আজ মিথ্যাকে সত্য বলার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

এরা কি সাংবাদিক এরা কি সমাজের আয়না??????????????????????????? জাতীর বিবেককে প্রশ্ন?????????????? এদের কি এমন চরিত্র হওয়া উচিৎ?????? ধিক এদের মত কুলাঙ্গার দের যারা টাকার বিনিময়ে নিজেদের আদর্শ বিসর্জন দিয়ে নিজেকে উলঙ্গ করে দিয়েছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.