আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘পাকিস্তান বাহিনীর ডেথ স্কোয়াডের মুখপত্র ছিল সংগ্রাম’ ও আলবদর একটি ক্রিমিনাল সংগঠন, শেষদিন পর্যন্ত পাকিস্তানীদের কাজ করেছে।

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। ‘পাকিস্তান বাহিনীর ডেথ স্কোয়াডের মুখপত্র ছিল সংগ্রাম’ মানবতা-বিরোধী অপরাধের মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মামলায় রায় ঘোষণার ট্রাইব্যুনাল তার পর্যবেক্ষণে আরও বলেছেন, একাত্তরে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে সেখানে দৈনিক সংগ্রাম জামায়াতের মুখপত্র হিসেবে কাজ করেছে এবং এই অপরাধের উস্কানি দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাই করেনি, তারা পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী বাহিনী আল-বদর, রাজাকার ও শান্তি কমিটি গঠন করে নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে। আল-বদর বাহিনী পাকিস্তান বাহিনীর ডেথ স্কোয়াড হিসেবে গণহত্যা পরিচালনা করেছে। আর এর মুখপত্র হিসেবে ‘সংগ্রাম’ কাজ করেছে।

এই বাহিনীর বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান ছিলেন কামারুজ্জামান। Click This Link আলবদর একটি ক্রিমিনাল সংগঠন, শেষদিন পর্যন্ত পাকিস্তানীদের কাজ করেছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মামলার রায় ঘোষনার সময় ট্রাইব্যুনাল তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামরিক জান্তাকে সমর্থন করে। তাদের সহায়তার জন্য অন্যান্য ধর্মান্ধ দল নিয়ে প্রথমত গঠন করে শান্তি কমিটি। পরবর্তী সময়ে সশস্ত্র বাহিনী রাজাকার ও আলবদর গঠন করে এবং সরকারী স্বীকৃতি আদায় করে। যুদ্ধকে ধর্মযুদ্ধ হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে উগ্র ধর্মীয় উন্মাদানা সৃষ্টির চেষ্টা করে।

আর এর আড়ালে সৈন্যদের সহায়তায় চালায় নির্বিচারে গণহত্যা লুটপাট, নারী নির্যাতন, অপহরণ ও চাদা আদায় । সর্বশেষ জাতির বিবেক বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়। আলবদর একটি ক্রিমিনাল সংগঠন। জামায়াত স্বাধীনতাবিরাধী কাজ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাক সেনাদের সঙ্গে থেকে সব কাজ করেছে।

তাদেরই সৃষ্ট আলবদর বাহিনী। আলবদররা ছিল মেধাসম্পন্ন সশস্ত্র রাজনৈতিক ক্যাডার। ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতৃবৃন্দ এ বাহিনী গঠন করে। কেন্দীয়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নিয়ন্ত্রণে এ বাহিনী পরিচালিত হতো। পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে. সাংগঠনিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন স্তরবিন্যাসে বিরাজমান বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে অপরাধের দায় নিরূপণ বিষয়ে এটি একটি প্রতিষ্ঠিত নীতিÑ‘অধীনস্থদের দ্বারা অপরাধের দায় উর্ধতন অবস্থানে যিনি বিরাজ করেন, তার ওপর গিয়ে সরাসরি বর্তায়।

এ প্রতিষ্ঠিত ধারণা এবং মূলনীতি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর ধারা ৪(২)-এ উল্লেখ করা হয়েছে। গণহত্যা, গণহত্যা সংঘটনে ষড়যন্ত্র, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও হত্যা, ব্যাপক নির্যাতনযজ্ঞ, দেশত্যাগে বাধ্য করা, নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্মগত ও রাজনৈতিক কারণে ক্রমাগত নির্যাতনের সুপিরিয়র হিসেবে সব অপরাধের একক ও যৌথ দায় কামারুজ্জামানের ওপর বর্তায়। আসামি কামারুজ্জামান ’৭১-এ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘের সভাপতি এবং আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে উর্ধতন অবস্থানে থাকা অবস্থায় ব্যক্তিগতভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর ধারা ৩(২) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য একাধিক অপরাধ সংঘটন করেছেন। কামারুজ্জামানের রায়ের এই পর্যবেক্ষণের পর দেশের বিশিষ্ট আইনজ্ঞরা বলছেন, এই পর্যবেক্ষণের পর এখন অপর দুই আলবদর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদের বিচার প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে গেল। কারণ আলবদর হিসেবে এই দুই নেতা আরও শীর্ষ অবস্থানে ছিল।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.