আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরই নাম দেশপ্রেম!!!!!

You can't buy love on eBay. আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছেন উনার মতো দেশপ্রেমিক নাকি কারো পক্ষে হওয়া সম্ভব না। এর পর থেকে আমি কঠিন ধান্ধার মধ্যে আছি। আমি এখনও সেই ধান্ধা থেকে বের হতে পারিনি। বিরোধী দল না হয় অনেক কিছু্র বিরোধীতা করে বিরোধীতার খাতিরে, কিন্তু ইদানিং এমন অনেক কিছু ঘটছে যা একজন সচেতন মানুষ যার কোন ক্ষমতার লোভ নাই তার পক্ষেও সহজে বুঝা সম্ভব যে এগুলো কোন দেশপ্রেমিক মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিদেশী প্রভুদের খুশী করার জন্য।

মার্কিন প্রতিষ্ঠান কনোকোফিলিপসের সাথে বঙ্গোপসাগরে দুটি ব্লক থেকে গ্যাস উত্তোলনের যে চুক্তিটি করা হয়েছে সেটা কোন ভাবেই দেশপ্রেমের নিদর্শন বহন করে না। সবাই এটা স্বীকার করে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি থাকা ঠিক না। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আদালতও এটাকে বাতিল করেছে (যদিও এটা নিয়ে বিতর্ক আছে)। কিন্তু তারপরও সেই আদালতেই আবার বলেছে যে আগামী দুটি নির্বাচন এর অধীনে হতে পারে। আদালতের কাছেও এই বোধদয় হয়েছিল যে আমাদের গণতন্ত্র এখনও সেইরকম কোন শক্তিশালী কাঠামোতে দাড়াতে পারেনি এবং দেশের অধিকাংশ জনগণ এখনও এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।

শুধুমাত্র কট্টুর সরকার সমর্থক ছাড়া আর কেউ মনে করবেনা যে আমাদের দেশে দলীয় সরকারের অধীনে অন্যান্য শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মতো অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। তবে আমাদের দেশেও যে এক সময় হবেনা তেমনটি নয়। আমারা আশাবাদী কিন্তু এর জন্য আরো সময় দরকার। কিন্তু আমাদের মাননীয় দেশপ্রেমিক (সর্বোচ্চ) প্রধানমন্ত্রী তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধান থেকে রহিত করলেন আর বিরোধীদলকে আবারও সুযোগ করে দিলেন দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার। অথচ আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের অগ্রগতির জন্য একটা স্থিতিশীল পরিস্থিতি যে কতটা জরুরী তা উনি নিশ্চয়ই বুঝেন।

আর বুঝে শুনেই (ভবিষ্যত ক্ষমতার লোভে!!) এত দেশপ্রেম প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। এখন উনাকেই সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক ভাবতে আমার আর কষ্ট হচ্ছে না!!!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।