আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাক দিয়া যাই, কে কে যাবি আয়

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র নতুন প্রজন্মের উপনিবেশী আগ্রাসন বিরোধী সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে খবর পৌছে দিচ্ছি। জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী চুক্তি বানচাল করতে রাজপথে লড়াইয়ের আহবান পৌছে দিচ্ছি। আমাদের এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করার লড়াইয়ের আহবান পৌছে দিচ্ছি। ইতিহাসের পাতায় বিশ্বাসঘাতক না, বরং সময়ের সংগ্রামী নায়কের খাতায় নাম লেখানোর লড়াইয়ের আহবান পৌছে দিচ্ছি। বাঁচা মরার লড়াইয়ের খবর পৌছে দিচ্ছি।

তোরা কে কে যাবি আয়, পূর্বপুরুষের সংগ্রামী ঐতিহ্যের পতাকা হাতে তুলে ভবিষ্যত প্রজন্মের চেতনায় জায়গা করে নিতে কে কে যাবি আয়। "জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী অসম চুক্তি বিরোধী ব্লগার ও অনলাইন কমিউনিটি" নামের ব্যানারে আমরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। সরকারের কাছে আমরা পরিস্কারভাবে আমাদের অবস্থান জানিয়ে দিতে চাই, পৌছে দিতে চাই হুশিয়ারি। আমরা বলতে চাই আমরাই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি। যুদ্ধাপরাধ বিরোধী চেতনায় সান দিয়ে নতুন প্রজন্মের মাঝে ব্যাপক জনমত আমরাই গড়ে তুলেছি।

আমাদের প্রতিবাদেই মেহেরজান বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারকে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, নতুন প্রজন্ম এই চুক্তির বিপক্ষে, আর আমরা ব্লগাররা এই চুক্তির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। কানসাট, ফুলবাড়ি আর শনিরয়াখড়ার আন্দোলন সংগ্রাম এক সময় চার দলীয় জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিনত হয়েছিল। এই চুক্তি বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম যদি সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে পরিণত হয় তবে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। আমরা পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, এই চুক্তি আপনারা বাতিল করুন, নয়তো নিজ ভূমি আর প্রাকৃতিক সম্পদের ন্যাজ্য মালিকানা ছিনিয়ে নিতে আমরা সরাসরি আপনাদের বিপক্ষে দাঁড়াতে বাধ্য হবো, যার পরিমান আপনাদের জন্য ভালো হবেনা।

তথাকথিত দেশপ্রেমিক নয়া উপনিবেশের দালালদের বিরুদ্ধে ব্লগার এবং অনলাইন একটিভিস্টদের আহবান জানাচ্ছি। আমরা আগামি ২ জুলাই বিকাল ৪টায় টিএসসিতে একাট্টা হচ্ছি। টিএসসি থেকে এরপর আমরা মিছিল করে শাহবাগের সংস্কৃতি মঞ্চের কর্মসূচিতে যোগ দেবো। এর মাঝে আমরা নিজেরা আলাদা একটা সমাবেশ করে সরকারের কাছে আমাদের দাবি এবং জাতীয় কমিটির কাছে আমাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে দেবো এবং প্রেসনোট প্রকাশ করবো। সমাবেশ শেষে আমরা জাতীয় কমিটির সাথে মতবিনিময় করবো।

এরপর আমরা ৩ জুলাই হরতালে আমাদের কর্মসূচী ঘোষনা করবো। নতুন প্রজন্মের উপনিবেশী আগ্রাসন বিরোধী সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বাঁচা মরার লড়াইয়ের খবর পৌছে দিচ্ছি। তোরা কে কে যাবি আয়। আপডেটঃ প্রচলিত কায়দায় শ্রেফ স্লোগান এবং মিছিলের মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরবোনা। দরকার মাফিক স্লোগান এবং মিছিলের প্রয়োজন আছে বটে।

কিন্তু আমরা আরো প্রতিবাদ জানাবো গানে, বক্তিতায়, কবিতায়, নাটকে। ২ তারিখ বিকালে এবং ৩ তারিখ হরতাল চলাকালিন সময়ে আমরা শাহবাগে সংস্কৃতি মঞ্চের সাথে যুগ্নভাবে অবস্থান নেবো এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে নানান উপায়ে আমাদের অধিকার এবং দাবি তুলে ধরবো। সরকার বাধ্য না করলে আমরা শান্তিপূর্ণ পন্থাতেই আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবো। আর সবাইকে আরেকবার আহবান জানাচ্ছি যে আপনাদের যে বিরাট এবং বিপুল সমর্থন এখানে জানাচ্ছেন তার প্রতিফলন যদি রাজপথে ঘটে তবে আমাদের দাবি আমরা অবশ্যই আদায় করতে পারবো। তাই আবারো বলছি যে প্রত্যেকে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করুন এই সংগ্রাম সফল করার জন্য।

যারা দৈহিক ভাবে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তারা নিজ নিজ এলাকায় অথবা নিজের পরিচিত গন্ডির মাঝে অন্তত এই চুক্তির বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলুন। এছাড়াও যারা ঢাকার বাইরে আছেন তারা প্রতি জেলার কর্মসূচীর সাথে নিজেদের যুক্ত করার চেষ্টা করুন। আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করতে চাইলে ফোন দিন ০১৯১৪৩১৯৫৪৬ নম্বরে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।