আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাজাগতিক কবিতা_০২

এখন আমার সময় হয়েছে ফিরে যাওয়ার সময় আমাকে ঠিক দাড় করিয়ে দেবে সেই অতীতে পৃথিবীর মাটিতে পা রাখবো হয়তো এবার যদিও পা নামক প্রাচীন অঙ্গটি অনেক পরিবর্তিত হয়েছে.. যানবাহন এর প্রয়োজন মেটাতে এটাই এখন চলমান ব্যস্ত যন্ত্র! আমার হাতদুটো এবার পৃথিবীর প্রাচীন অথচ চেনা কোন ফুলকে স্পর্শ করবে যদিও এই হাতদুটো এখন ইস্পাতের কয়েকশো ফুট পুরু যন্ত্র অথবা অস্ত্রকে অনায়াসে দ্বিখন্ডিত করতে পারে, তবুও তা দিয়ে আলতো করে ছুয়ে দেব প্রজাপতি। আমি আবার শুনবো সমুদ্রের ঢেউ নামক শূন্য হাহাকারের সুর, বাতাসের অদৃশ্য স্বর্গীয় কলতান.. আমি জানি এসব হাস্যকর কম্পাঙ্কের অপ্রয়োজনীয় শব্দ শোনার জন্য আমার কানদুটো প্রস্তুত নয় মোটেও! তারা লক্ষ মাইলের দূরত্বকে গ্রাহ্য না করে শব্দ শোনে, কম্পাঙ্কের হিসেব ছাড়িয়ে মহাজাগতিক প্রানীদের নিজস্ব শব্দের অনুকম্পাঙ্ক শুনতে সদা প্রস্তুত; তারপরেও তাদের আমি শোনাবো পৃথিবীর নিজস্ব গান, কেন আমার এসব ছেলেমানুষী পাগলামি তা আমি সত্যিই জানিনা। এখন আমাদের নীতিমালা পরিবর্তিত, বিশুদ্ধ এবং উন্নত.. সেখানে শব্দ নিয়ে খেলা করাকে মস্তিষ্কের অপ্রয়োজনীয় কাজ বলে গন্য করা হয়! তাই শব্দ সাজিয়ে কবিতা বানানোর মত দুঃসাহস একটুও নেই মানুষের- আমি তবু নির্ভীক প্রশ্রয় দিয়েছি কবিতা নামক মায়াবী শব্দতরঙ্গকে..খুব বেশী ভালোবেসে। আমার নিঃশ্বাস বুভুক্ষ পতঙ্গের মত ক্ষুধার্ত, আমার দৃষ্টি তৃষ্ণার্ত হয়ে মৃত্যুর খুব কাছাকাছি, অসংখ্য মানবের পৃথিবী এই মুহূর্তে আমার একার.. আমার ফটোসেলের চোখ, যান্ত্রিক পা, ইস্পাতকঠিন বিকৃত হাত, রূপালী মস্তিষ্ক, উন্নততর কান অথবা পরিবর্তিত নীতিমালা- সবকিছু নিয়ে আজ আমি উপভোগ করবো পৃথিবীকে, একমুঠো মাটির স্পর্শ পেতে বিলীন করে দেবো সমগ্র মহাকাশ... পৃথিবীকে উপহার দেবো সেই সুপ্রাচীন ভালোবাসা॥

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।