আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দু'মেয়ে সাবা ও ফারাহকে হত্যার জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছেন এক অসহায় বাবা!

সন্তানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। নিজের জীবনের বিনিময়েও সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে চান বাবা-মা। আর সেই বাবাই যদি সন্তানের মৃত্যু কামনা করেন, তাহলে নিশ্চয়ই এর পেছনে কতটা বেদনা থাকে তা বলা বাহুল্য। এমনই এক বাবা ভারতের পাটনার চা বিক্রেতা মোহাম্মদ। তিনি জোড়া লাগানো দু'মেয়ে সাবা ও ফারাহ শাকিলের জন্য সরকারের কাছে অনুমোদিত হত্যার (মার্সি কিলিং) প্রার্থনা করছেন।

মেয়ে দুটির অসহনীয় দুর্ভোগ দেখেই তিনি এ প্রার্থনা করেন। ১৫ বছর আগে জন্ম নেন সাবা ও ফারাহ। মাথা জোড়া লাগানো সন্তান দেখে হতাশায় ভেঙে পড়েন বাবা-মা ও স্বজনরা। এ অবস্থাতেই বেড়ে ওঠে সাবা ও ফারাহ। ৫ বছর আগে আবুধাবির বাদশা শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহান এ শিশু দুটির আলাদা করার জন্য অপারেশনের খরচ বহন করার প্রস্তাব দেন।

সে অনুযায়ী দিলি্লর এপোলো হাসপাতালে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। মার্কিন জোড়া মানব বিশেষজ্ঞ বেঞ্জামিন কার্সনের নেতৃত্বে একদল ডাক্তার তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এতে দেখা গেছে, তাদের মস্তিষ্কের প্রধান রক্তনালি একটি। ফারাহর দুটি ও সাবার একটি কিডনি আছে। তাদের আলাদা করতে হলে ৫/৬টি অপারেশন করতে হবে।

সময় লাগবে ৯ মাসের বেশি। অপারেশন করলে একটি বা দুটি শিশুই মারা যাওয়ার আশঙ্কা আছে। মোহাম্মদের ৮ সদস্যের পরিবারকে মাসে ৬ হাজার টাকা করে দেন জনৈক শাকিল। তিনি বলেন, ফারাহর কিডনি সমস্যা আছে। দ্রুত তার রক্ত চাপ বেড়ে যায়।

কমছে ওজনও। শাকিল বলেন, মেয়ে দুটি ব্যথায় ছটফট করে। তারাও অন্যদের মতো বাঁচতে চায়। আমরা চাই সরকার তাদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করুক। নতুবা তাদের মার্সি কিলিংয়ের অনুমতি দিক।

একই কথা বললেন মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ওদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। অসহায়ভাবে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। বাবা হিসেবে আমি কিছুই করতে পারছি না। আমি চাই ওদের যন্ত্রণার অবসান।

হয় সরকার তাদের চিকিৎসার খরচ বহন করুক, না হলে মার্সি কিলিংয়ের অনুমতি দিক।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।