আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি বিদেশের 'গুপ্তচর' এবং কনোকো-ফিলিপস'র সাথে চুক্তি 'দূরদর্শী ও সাহসী'

নিম্নোক্ত সংবাদ দুটোর ব্যাপারে আমি আর কোন মন্তব্য করলাম না; শুধু শেয়ার করলাম। হয়ত এ পোস্টটি সময়ের সাক্ষী হতেই জন্মেছে। তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি বিদেশের 'গুপ্তচর'! তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিকে বিদেশের 'গুপ্তচর' ও 'এজেন্ট' বলে আখ্যা দিলেন বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার জাতীয় সংসদে ২০১১-১২ সালের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জাতীয় কমিটির নামে বিদেশের 'গুপ্তচর' ও 'এজেন্টরা' দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।

হরতালের নামে ভয়তাল ডাকছে। " বঙ্গোপসাগরের দুটি ব্লকের গ্যাস উত্তোলনে কনকো-ফিলিপসের সঙ্গে সরকারের চুক্তির বিরোধিতা করায় ওই কমিটির সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন- "সরকার যখন গ্যাসের সংকট মোকাবেলায় গ্যাস উত্তোলনের পদক্ষেপ নিয়েছে তখন কোথাকার কোন 'মনু' 'আনু' মুহাম্মদরা জাতীয় কমিটির নামে কিছু টোকাই নিয়ে তেল-গ্যাস রক্ষা করতে চাইছে। জাতি কী তাদের 'ম্যান্ডেট' দিয়েছে?" কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদের কঠোর সমালোচনা করে হাছান বলেন, "কিছু মানুষ আছেন যারা যে কোনো ভাবে সবসময় আলোচনায় থাকতে চায়। দেশের বুকে ছুরি মেরে আলোচনায় থাকতে চায়। উনি (আনু মুহাম্মদ) অর্থনীতির অধ্যাপক হয়ে তেল-গ্যাস উত্তোলনের টেকনিক্যাল (কারিগরি) বিষয় কী বুঝবেন?" প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরের দুটি ব্লকের গ্যাস উত্তোলনে কনকো-ফিলিপসের সঙ্গে সরকারের চুক্তির বিরোধিতা করছে তেল-গ্যাস খনিজ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

এর অংশ হিসেবে আগামী ৩ জুলাই ঢাকায় অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করেছে সংগঠনটি। কনোকো-ফিলিপস'র সাথে চুক্তি 'দূরদর্শী ও সাহসী'! সমুদ্র বক্ষের খনিজ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বহুজাতিক কোম্পানি কনোকো-ফিলিপস'র সাথে সম্পাদিত চুক্তি 'দূরদর্শী' ও 'সাহসী' বলে মনে করছে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ রোববার ৪৬তম বৈঠকের পর কমিটির সভাপতি এবিএম গোলাম মোস্তফা শীর্ষ নিউজ ডটকমকে এ তথ্য জানান। তবে কমিটির বিরোধী দলীয় সদস্য (চিফ হুইপ) জয়নুল আবদিন ফারুক এ চুক্তিকে 'দেশের স্বার্থ-বিরোধী' আখ্যা দিয়ে কমিটির দেয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। গোলাম মোস্তফা জানান, বৈঠকে কনোকো-ফিলিপস'র সাথে সম্পাদিত চুক্তির ব্যাপারে জ্বালানি বিভাগের সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়।

এ সময় জানানো হয়, 'ওই চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলিত সমস্ত গ্যাস বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য থাকবে কনোকো-ফিলিপস। ' এছাড়াও ওই চুক্তির অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে বৈঠকে এটিকে 'দূরদর্শী' আখ্যা দেয়া হয়। গোলাম মোস্তফা বলেন, 'চুক্তি নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারা এ ব্যাপারে কিছু না জেনে-বুঝেই এমনটা করছে। ' সভাপতি দাবি করেন, প্রায় ১৫ বছর পর কোন কোম্পানিকে সমুদ্রবক্ষের খনিজ অনুসন্ধান ও উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'সাহসী' পদক্ষেপ। এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা বসে থাকলেও ভারত-মিয়ানমার তো আর বসে থাকবে না।

' এদিকে কমিটির সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, 'কনোকো-ফিলিপস'র সাথে সম্পাদিত ওই চুক্তি নিঃসন্দেহে দেশের স্বার্থ-বিরোধী। বিদেশিদের হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্রেই এ চুক্তি করা হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, 'আমি কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ওই বিতর্কিত চুক্তিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী দলীয় সদস্যের অনুপস্থিতিতে কমিটি ওই চুক্তিকে এভাবে 'দূরদর্শী' বা 'সাহসী' বলতে পারেনা। তাই আমি কমিটির ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি।

' ফারুকের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে গোলাম মোস্তফা বলেন, 'এটা সত্য যে তাঁর (জয়নুল আবদিন ফারুক) অনুপস্থিতিতেই এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি তো বৈঠক শেষ না করেই চলে গেছেন। ' বি : দ্র : দুটো সংবাদ'ই শীর্ষ নিউজ ডটকম'র ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।