আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পথের পাঁচালী!! পড়ে ফেলুন!! একদম পস্তাবেন না!!! ১০০০০০০০০০% মানিব্যাক গ্যারান্টি!!!

বয়স বাড়ছে মনের ,পেকে যাচ্ছে চোখ। FANTASY আর REALITY কোনটাকেই আমার কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। ধারণা টা বোধকরি আমার একার নয়, তা না হলে কি মানুষ এতো বই পড়ে, মুভি দেখে। বই পড়ার শখ আমার ছোটবেলা থেকেই, কিন্তু প্রাপ্তিযোগের অভাবে সেই তালিকা টা এখনো ঠিক সমৃদ্ধ হয়ে উঠেনি। তাই বলে পাঠক হিসাবে আমি মন্দ নই।

আমার নাওয়া খাওয়া ভুলে বই পড়া দেখতে পেলে স্বর্গবাসী লেখকগণও স্বর্গ ফেলে নতুন বই লেখায় হাত দিতেন না তা আপনি হলফ করে বলতে পারবেন না । এবার আসল কথায় আসি। আসলে যে দুঃসাহস আজ করতে যাচ্ছি তা যে কিভাবে বলবো তা ভেবে না পেয়েই শুরুতে দুটি বাজে কথা। আজকে আমি পথের পাঁচালী নিয়ে লিখতে বসছি ( কানে ধরে নিয়েছি ভাইয়েরা…অল্প বয়স তাই সাহসটাও বেয়াড়া… ভুল হলে মাফ চাই) । পথের পাঁচালী বিভূতি বাবুর অমর সৃষ্টি।

আমার মনের ভেতর তা নতুন জীবন পেল এই তো কিছুদিন আগে। মানে কিছুদিন আগেই পড়ে শেষ করলাম বই টা। কিন্তু এই নতুন জন্মে বই টা বাচঁবে অনেকদিন তা জানানোর জন্যই কী –বোর্ড নিয়ে বসা এবং প্রথমবারের মত সামু তে সিরিয়াসলি লিখা। উদ্দেশ্য বইটি নিয়ে আলোচনা নয় বরং শুধুই মুগ্ধতা প্রকাশ। কেন এতদিন পড়ি নাই এটা??? এত ভালো একটা বই যার প্রশংসা শুনেছি সবসময় আবার যা কিনা আমার শেলফবন্দী ছিল অনেকদিন তা কেন পড়ি নাই এতদিন ? উত্তর টা বাংলা ছবির “বাবা কেন চাকর?” ,”বন্ধু কেন শত্রু?” ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরের মত কঠিন নয় বরং জলের মত সোজা।

বাংলাদেশী হইয়া গর্ব করি ঠিকই কিন্তু বাংলা ভাষাটাই এখনো ঠিক আয়ত্তে আনতে পারি নাই। দুর্বোধ্য সংস্কৃত শব্দের ভারে বোঝাই বাংলাভাষা যা নাকি প্রকৃ্ত সাধুজনের ভাষা তা আমার মত “আইছি খাইছি” টাইপ নিতান্ত অভদ্রজনের কাছে এমন ই অমৃত যাতে অরুচি তো বটেই কখনো চেখে দেখার খায়েশও হয় না পাছে বদহজম হয়ে না যায়। তারপরও যখন বহু কষ্টে খাওয়া শুরু করলাম তারপর হজমের চিন্তা আর করি নাই। সতিকারের স্বাদের জিনিস এটা, না খাইলে আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। শুরুর সহজ প্রশ্নের উত্তর টাও অনেক কঠিন হয়ে উঠতে থাকে মনের মাঝে ।

কি যে মিস করতেছিলাম এতদিন !! খাওয়া শেষে এমনই তৃপ্ত ঢেকুড় তুললাম যার ফল এই তো আপনাদের বিরক্তি মানে এই লেখাটা আর কি !! চলুন যাই নিশ্চিন্দিপুর!! ভালোলাগা গ্যারান্টেড !!! নিশ্চিন্দিপুর অপুদের গ্রাম। কে জানে নাকি আমারই গ্রাম। আর দশটা সাধারণ গ্রামের থেকে এ গ্রামটা কে আলাদা করার চেষ্টা করলে লাভ কিছু হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু অপু আর দূর্গার চোখে এই গ্রাম দেখার যে অবর্ণণীয় অনুভূতি তা ব্যক্ত করার ভাষা আমার জানা নাই। একটি দরিদ্র পরিবারের সাধারণ সুখ দুঃখ, প্রতিদিনের নীরস জীবন এ যে অদ্ভুত রোমান্টিসিজম থাকতে পারে তা আমার ভাবনার বাইরে ছিল।

শরৎচন্দ্রের অনেক উপন্যাসে আছে গ্রাম, আছে মানুষ, আছে সুখ, আছে চোখে জল আনা কষ্ট,আছে শাণিত সংলাপ আর দ্বন্দময় সব চরিত্র কিন্তু এই রোমান্টিসিজম গ্রামকে ঘিরে তা যে অনন্য। জানুন আমাকে!! জানুন নিজেকে!! ফিরে চলুন নিজের ছোটবেলায়!! টাইম মেশিন Ready!! পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এখানে কার কথা লিখা হচ্ছে ? অপুর কথা!! নাহ!! এ কথা আমার , এ গল্প তো আমার ছোটবেলায়। আপনি কি ভাবছেন আমি গ্রামের ছেলে!! উহু! একেবারেই নয় ভাই, আমি এই ইট কাঠে ভরা নগরের ডিজুইস যুগের পোলাপাইন!! এখানেই পথের পাঁচালীর সার্থকতা। এ তো শুধু গ্রামের গল্প নয় , এটা যে একটা ছেলের বড় হওয়ার গল্প, বাস্তব কে চেনার গল্প। এ গল্প সকলের ভিতরের, এ গল্প কষ্ট চেনার গল্প, এ গল্প তো টিকে থাকার গল্প।

পড়ে ফেলুন এখনি!! ঠকবেন না ভাই!! বি. দ্রঃ পথের পাঁচালীর সিকুয়েল অপরাজিত পড়ে শেষ করেছি। হয়তো আবারো কলম তুলে নিয়ে আপনাদের বিরক্ত করতে চলেছি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।