আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নৈঋত টেস্টিং টেস্টিং সল্ট অ্যাগেইন অ্যালোং উইথ রঙ'স

You either die a hero......or you live long enough to see yourself become the villain গতকাল রাত্রিগত সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার বিখ্যাত গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার সাইটে যাবার জন্যে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। উদ্দেশ্য সাইট দর্শন করে ভার্সিটিতে গিয়ে গ্রুপের সাথে কাজ করবো। যেতে যেতেই রাস্তায় গ্রুপ মেট ফোন দিলো - নৈঋত, আমি আইজ ভার্সিটি জামুনা। তোমারও যাবার দরকার নাই। মেইল মি দ্যাঠ ইনপোর্ফেশন হোয়েন ইউ ওয়ান্ট একটু একটু রাগ লাগলো সব ফাকিবাজ :/ আমি বাদে!!! কত কষ্ট কইরে রইদে পুইরা পুইরা আমি সাইট এনালাইসিস করি আর এরা ঘরে বইসা রানিখেত মুরগির লাহান ঝিমায় ।

আর এতো সকালে বাসায় গেলে আম্মু কইবো, নিশ্চয়ই ভার্সিটির ক্লাস বাঙ্ক করছোস ... সাড়ে দশটায় ফোন দিলাম আমাগো ফিরিও টেস্টিং সল্ট কে ... ভাবছিলাম আইজ ও হেতির হরিক্ষা হেতিরে বেস্ট উইশ জানাই ... ফোন দেয়া মাত্রই আধো ঘুম আধো জাগরনে সে কহিলো -কি নৈঋত বল। আমি- কিরে এখনো ঘুমাস? আইজ তোর পরিক্ষা নাই ... টেস্টিং সল্ট- আমার পরিক্ষা ২৭ তারিখ, শয়তান তুই প্রতিদিন ৯ টার দিকে ফুন্দিয়া আমার ঘুম্ভাঙ্গাস কেন আমি- অহ স্যরি, বুঝতে পারিনাই। এখন থেকে আর ৯ টার দিকে ফুন্দিমু না ... এখন থেকে তোরে ৭ টার দিকে ডাক দিমু টেস্টিং সল্টঃ এই শয়তান...আয় তুই তোর চুল একটা একটা কইরা ছিরুম। আমিঃ আচ্ছা, মাতে। আপ্নে মেকাপ লইতে থাকেন, আমি ১ ঘন্টার মইধ্যে আপ্নের বাসার গলিতে আইতেছি যাই হোক সাইটে গিয়ে ঘুরাঘুরি করছিলাম।

কইত্থেকে এক শালারব্যাটা পিছে লেগে গেলো ... পিছন থেকে তুক্তাক কমেন্ট করতেছিলো। যেখানে ইন্টারভিউ করতেছিলাম হা কইরা দাঁতগুলা এম্নে বাইর কইরা দাড়াইছিলো। আধা ঘন্টা এম্নেই জ্বালাইলো দুয়েকবার ওয়ার্নিং দিলাম। কাম হইলো না ... আমার পেশেন্স লেভেল আবার মাসাল্লাহ ... হাত পাচেক সামনে গিয়ে একটা আস্ত ইট পাইলাম। এরপর দেরি না করে ধাম করে ছুড়ে মারলাম ব্যাটার দিকে ... বেকুব ব্যাটা ভাবছে আমি খালি হুমকিই দিছি।

ছুড়ে মারতে পারবো যে চিন্তাই করে উঠতে পারেনাই একটুও না সইরা গাধার মতই ওই জায়গায় দাড়াইয়া আছে। ফলাফল অঝোরে রক্তপাত ফ্রম কপাল ... মাইরা আমিও বেকুব হইএ গেছি রক্ত দেখে একটু নার্ভাস হয়ে গেছিলাম কিন্তু ভাব দেখালাম না যে আমি নার্ভাস । একটু পর লোক জড়ো হতে লাগলো কইত্থিকা দুইটা পুলিশ ও দৌড়ে আস্লো ... ব্যাটা তো রক্তপাত হইতে হইতে বইসা পড়লো। পুলিশ দুইটা এসে বলে, আরেহ, একটা মেয়ে একটা পুরুষের মাথা ফাটাইয়া দিছে (ভাবে মনে হল, পুরা পুরুষ জাতির বলাৎকার হইয়া গেছে ) আর একটা ছেলে যখন রাস্তায় কোন একা মেয়ে পেলেই টিজ করে তখন আপনাদের ইজ্জত কই যায় ...এ রিয়াল ম্যান নেভার টিজ এ গার্ল যাই হোক এক পুলিশ ওই ব্যাটাকে নিয়ে স্টিচ দিতে নিয়ে গেলো আরেক পুলিশের পিছে পিছে আমি থানায় গেলাম। ...থানায় তখনো ওসি সাহেব আসেন নাই।

আমি কিছুক্ষণ বসে রইলাম। একটু পর প্রতিদিনকার খোজ নেয়ার রুটিন হিসেবে শিহাব ফোন দিলো- আপু তুমি কই? ওরে ডিটেইল বললাম। ও বলে ভাগ্য ভালো তুমি পোলা হউ নাই নইলে বাংলাদেশের প্রত্যেক থানায় তোমার নামে একাধিক মামলা থাকতো ... মেজাজ খারাপ করে ফোন রেখে দিলাম। আব্বুরে ফোন দিতে গেলাম দেখি আমার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স গড়ের মাঠ হইয়া খা-খা করতেছে ... একটু পর ওসি আস্লো উনার রুমে ডাক পড়লো । পুরা ভাবের সহিত উনার রুমে গেলাম।

সালমান খান ওয়ান্টেড এ গানি ভাইয়ের সামনে যেম্নে যায় অম্নে ... ওসি সাহেব ভীষণ ভালা লোক ... উনার কাহিনী নিয়ে আরেকদিন লেখা হবে। কিছুক্ষন বসলাম ওসি সাহেব আরো কয়েকজনের সাথে কথা বলল। তারপর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন-"কাহিনী বর্ননা করেন, মাতা। কি কারনে আপনি এই যুবকের মাথায় ইষ্টক ছুড়িয়া মারিয়াছেন " আমি পুরা ঘটনা বললাম ততক্ষণে ওই ব্যাটা মাথায় বিশাল ব্যান্ডেজ নিয়া আমার বিরুদ্ধে এফ.আই.আর করতে আসছে ...(এফ. আই. আর ই তো মনে হয় ) ... ওসি সাহেব এবার উনারে ডাকল তারপর বললেন -"এই অবলা নারী তোমাকে কেন আঘাত করিয়াছে বালক। সবিস্তারে বর্ননা কর দেকিনি?" ওই ব্যাটা নিরব।

তারপর ওসি সাব এস. আই কে দিয়ে একখানা মোটা স্ট্যাম্প এর মত লাঠি লইয়া উহার পশ্চাদ্দেশে ধরাম ধরাম আওয়াজ তুলিয়া দিয়া শ্রীঘরে প্রেরন করিলেন ... তারপর আমার ইন্টারভ্যু নিলেন। কই থাকেন আম্মাজান, আফনের গেরামের কই, আব্বায় কি করে। তারপর আমি উনার ইন্টারভ্যু নিলাম। (আমার সাইটে থানা ডিজাইন করতে হবে তার ডিটেইল ইন্টারভ্যু আর কি রথও দেখলাম কলাও বেচলাম ) ... থানায় ৩ ঘন্টা বন্দি থাকার পর আমার মুক্তি মিলিল। দৌড়ে সঙ্কুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস চালিত বাহন ধরিয়া ছুটিয়া গেলাম টেস্টিং সল্টের পানে ... তার মাঝে রাস্তা থেকে দুইখানা ছোটখাটো সাইজের গদা কিনিয়া লইলাম ।

যাহার ওপর লেখা ছিল "প্রাণ ললিপপ" আর একখানা মুক্তা খচিত অলঙ্কার। টেস্টিং সল্টের জন্যে না বিত্তিয়াপুর আম্মুর জন্যে কাল ছিল মাম্নির জন্মদিবস মাম্নির গিফট মাম্নিকে দিয়া টেস্টিং সল্টরে ফোন দিলাম। উনি উসাইন বোল্টের লাহান দৌড়ে এসে গলির মোড়ে চলে আসলেন। উনাকে একখানা 'প্রাণ মিনি গদা' দিলাম। সে কি খুশি !!!! গদা নিয়া আশেপাশের জনগণকে পিটাইতে শুরু করলো।

আমার সকালের পিডাপিডির কথা শুনে টেস্টিং সল্ট যেনো কালকে আম্রে ভয় পাচ্ছিলো . শুরু হল আমাদের ম্যারাথন হাটা ... প্রথমে বেইলি স্টার, তারপর ফরচুন শপিং কমপ্লেক্স। ওইখানে আমার একখানা জামা পছন্দ হয়। ওইটা কিনে দুইজন মার্কেট চক্কর দিলাম প্রায় ২ ঘন্টার মত। তারপর আড়ং আড়ং এ এতোক্ষন ছিলাম আর এতো কাহিনী করছিলাম। নেক্সট টাইমে আড়ং এ গেলে আমাগো দুইডারে টাইম বাইন্ধা দিবো তাড়াতাড়ি বাইর হবার জন্যে ... এরপর রিকশা নিয়ে গেলাম ভিকারুন্নিসার সামনে ওখান থেকে হাটতে হাটতে হাটতে হাটতে চলে গেলাম রমনা পার্কে তখন সুয্যি ডুবি ডুবি করছিলো দুইজন হাটতে হাটতে এক জায়গায় বসে সুর্যাস্ত দেখলাম।

তারপর বের হয়ে বেইলি স্টারের সামনে আসতেই চলে এলো আরেক *রঙ । এটা ছেলে রঙ। ওকে আগে থেকেই ডেকেছিল টেস্টিং সল্ট...তিনজন আবার বেইলি স্টার চক্কর দিলাম এরপর মিশন আরেক রঙের বাড়ি ... উজ্ঞা মাইয়া রঙ ...ও আমাকে দেখেই "তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সানাম"এর কাজলের ন্যায় দৌড়ে এসে জড়াইয়া ধরলো। এদের আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ। ওর বাড়িতে গিয়া আমরা বিশাল আড্ডা মারলাম কখন যে ৯ টা বেজে গেলো টেরই পেলাম না ... বাড়ি যাইবার উদ্দেশ্যে প্রস্থান করিলাম।

*রঙ- টেস্টিং সল্টের স্পেশাল বাডি গ্রুপ রঙ। সবাইকে রঙে অ্যাড করা যায় না। রঙ হইএ যোগ্যতা লাগে ইভেন ওরা এখনো আমারে কুনো রঙ দেই নাই ... সেই জন্যে আমি স্বেচ্ছা প্রনোদিত হইয়া প্যালেট হইয়া গেছি ... সব রঙ তো একসাথেই প্যালেটেই থাকে ...আমি সবাইকে গুছাইয়া রাখবো... আর হ্যাঁ আমি এখন রঙ দের একজন। কেউ আমারে কিছু কইলে ফাডাইয়া দিমু..আই হ্যাভ মাই রঙস...আর আমি ছাইড়া দিলেও রঙরা তারে ছাড়বে না টেস্টিং সল্টের পুনঃবিশ্লেষণঃ এইডারে নিয়া কিছু কইতাম না। একটা মানুষের যেই গুন থাকলে সে সুইট হার্ট হতে পারে, ওর সবই আছে।

আই'ম সো প্রাউড টু হ্যাভ মাই টেস্টিং সল্ট ... যখন আমরা দু'জন বি এফ সি তে বসছিলাম ও আমাকে খাইয়ে দিচ্ছিলো আমিও ওকে খাইয়ে দিচ্ছিলাম ... আই লাব আউয়ার প্রেন্ডশিপ...Friendship Never Dies It only Grows with time The time is now or never to fit the missing piece To take this song together, You make me feel complete We fall into the future, And through the looking glass The light shines over our heads and so it comes to pass To go beyond the surface, To reach into your soul, This love is not demanding, My heart has told me so I hold on to my hero with faith enough to find, The power to imagine will keep this love alive Lets make the headlines loud and true, I wanna tell the world I'm givin it all to you Lets make the headlines loud and clear The best things suddenly happen when you are here If i lost my way you'd carry me home Take me all the way to heaven never leave me alone, And its just like everything matters when you are near matters when you are near And it feels so good every bells gonna ring Thsi love is alive and its making me sing I could fly, wanna cry, want the whole world to know, We are together, come on baby lets go And words yet to be spoken Will fall upon the page Spelling out true devotion Is all we need to say Let's make the headlines, loud and true (Say you love me and I'll say I love you too) I wanna tell the world I'm giving it all to you Just remember what simple words can do Let's make the headlines, loud and clear All that I have I give to you my friend The best things suddenly happen when you are here Just remember friendship never ends And if I lost my way you'd carry me home Take me all the way to heaven, never leave me alone (everything) And it's just like everything matters when you are near (matters when you're near Say you love me and I'll say I love you too Let's make the headline true this time Just remember what simple words can do There's no hiding from this magical state of mind I feel loved with you, I feel loved with you And if I lost my way you'd carry me home I know, you take me, all the way to heaven Take me all the way to heaven, never leave me alone (everything) And it's just like everything matters when you are near (matters when you're near Everything matters, it really matters 'Cause I'm giving it all Yeah I'm giving it all to you ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।