আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষুদ্রঋণের সার্ভিস চার্জের বিদ্যমান উচ্চহার মৃত্যু যন্ত্রণার শামিল

তৃতীয় বিশ্বের নেতা হওয়ার জন্যে দুটি জিনিশ দরকার : বন্দুক ও কবর। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার দু'দশক আগে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউ-েশন প্রতিষ্ঠা করে। সংস্থাটি কার্যক্রমভেদে বার্ষিক সাড়ে ৪ থেকে ৬ শতাংশ হারে এনজিও বা ক্ষুদ্রঋণ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ সরবরাহ করে থাকে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৬ শতাংশ সুদে তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব। তবে এখানে যে বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে তা হলো ক্ষুদ্রঋণের চাহিদা অনুযায়ী ৬ শতাংশ সুদে তহবিল সংগ্রহের পরিমাণ পর্যাপ্ত কিনা? যদি পর্যাপ্ত না হয় তা হলে অবশ্য সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে স্বল্প মূল্যে তহবিল সরবরাহের জোরালো দাবি উত্থাপন করতে হবে।

অতি উচ্চ হারের সুদে ব্যাংক বীমা কিংবা অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান কিংবা বাজার হতে ঋণ গ্রহণ করে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। কারণ তহবিল সংগ্রহের ব্যয় বা পড়ংঃ ড়ভ ভঁহফ যদি বেশি হয় তাহলে কোনো ক্রমেই ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার কমানো যাবে না। অনেকে তাদের বর্তমান কর্মপরিধি ধরে রাখার জন্য উন্মুক্ত বাজার থেকে ঋণ গ্রহণের ফলে তাদের ক্ষুদ্রঋণের সার্ভিস চার্জও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এখন যে কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন যে আসলে কার প্রয়োজনে উন্মুক্ত বাজার থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে? ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নাম করে উচ্চ হারে ব্যাংক ঋণ নিয়ে ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনা নিজের পায়ে কুড়াল মারা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমার প্রশ্ন হলো, উচ্চ হারের সুদে ব্যাংক ঋণ নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনের নামে কেন ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনা করতে হবে? ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক ব্যয় সর্বাধিক বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।

এই খাতের ব্যয় সংকোচনে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী কর্মকৌশল ও উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো ছাড়া গত্যন্তর নেই। ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক ব্যয় হ্রাসে 'সজাগ' উদ্ভাবনী ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যেমন, কর্মসূচির ক্ষেত্রে যেমন সংস্থাটি উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি কাজে লাগিয়েছে, তেমনি মানব সম্পদ নিয়োগ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করেছে ব্যতিক্রমী কর্মকৌশল। একইভাবে কর্মসূচি ও কর্মএলাকা সমপ্রসারণের ক্ষেত্রে নিয়েছে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত যা ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনা ব্যয় হ্রাসে ব্যাপক অবদান রাখছে।

ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনা ব্যয় হ্রাসে 'সজাগ'এর যে সকল উদ্যোগ ও পদক্ষেপ সফলতা অর্জন করেছে তা এখানে তুলে ধরা হলো_ সজাগ সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সাবধানতার সঙ্গে তার কর্মএলাকা সমপ্রসারণ করে থাকে। কর্মএলাকা বিক্ষিপ্তভাবে সমপ্রসারণ না করে বর্তমান কর্মএলাকার পার্শ্ববর্তী ও সংলগ্ন সমাজ ও গ্রামকে প্রাধান্য দিয়ে কর্মএলাকা সমপ্রসারণ করা হয়। এ ব্যবস্থায় মনিটরিং, সুপারভিশন ও প্রশাসনিক ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়িত কার্যক্রমে নতুন কর্মধারা ও ক্ষেত্র সৃষ্টির লক্ষ্যে মৌলিক উৎপাদনমুখী খাতকে প্রাধান্য দিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতঃপূর্বে কৃষি ও উপকৃষি খাতে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করা হতো।

মৌসুমী ও কৃষিঋণ প্রবর্তনের মাধ্যমে এবং এ ক্ষেত্রে গতানুগতিক সাপ্তাহিক কিস্তির পরিবর্তে এক কিস্তিতে প্রদত্ত ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়। মানব সম্পদ নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের প্রাধান্য প্রদান অর্থাৎ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্থানীয়ভাবে লভ্য কর্মীদের নিয়োগ করা হয়। এতে একদিকে সংশ্লিষ্ট কর্মী বা কর্মীদের যেমন কর্মএলাকা ও মানুষ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকে, অপরদিকে স্থানীয় জনগণও তাদের উপর পুরোপুরি আস্থা বা ভরসা রাখতে পারে। ফলে বকেয়া পড়ার আশঙ্কা কম থাকে এবং তহবিলের অপচয় রোধ হয়। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের মাঝে পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠাসহ মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

সজাগ গওঝ এবং অওঝ-এর ক্ষেত্রে টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা খরচ হ্রাসের উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে। যাই হোক উপযোগী ও টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনা ব্যয় অবশ্যই হ্রাস করতে হবে। ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনায় ব্যয় বহুল প্রযুক্তি এবং বিলাসবহুল সরঞ্জমাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। কারণ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য বিমোচন এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম অবশ্যই সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং আর্থিকভাবে টেকসই এমন অবস্থান থেকে পরিচালিত হতে হবে।

ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সার্ভিস চার্জ নির্ধারণে সব শেষে যে বিষয়টি অত্যরু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা হলো 'উদ্বৃত্ত'। কতো উদ্বৃত্ত হলে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে টেকসই কিংবা ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে সেটা অবশ্য আপেক্ষিক বিষয়। কারণ উদ্বৃত্ত যতো বেশি হবে, কার্যক্রমও ততবেশি টেকসই হবে এমনটিই সকলের ধারণা। আর এ উদ্বৃত্ত বাড়ানোর লক্ষ্যেই মূলত সার্ভিস চার্জের হার বৃদ্ধি করা হয়। যদিও উদ্বৃত্ত এবং মুনাফার মধ্যে তত্ত্বগতভাবে পার্থক্য আছে, তবে মুনাফার সঙ্গে লাভ ও লোভের বিষয়টি যেভাবে জড়িত, উদ্বৃত্তের সঙ্গে সেভাবে জড়িত নয়।

ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে মুনাফা এবং উদ্বৃত্তের তফাৎ এখানেই। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা এবং একে টেকসই করতে হলে উদ্বৃত্ত থাকতেই হবে। তবে বছর শেষে এই উদ্বৃত্তের হার কতো হওয়া উচিত অভিজ্ঞতার আলোকে তা নির্ধারণ করে দেয়া দরকার। মোদ্দা কথা, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে আর্থিকভাবে লোভনীয় কার্যক্রম হিসেবে গণ্য করার কোনো সুযোগ নেই। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সকল পর্যায়ের কর্মীদের সাধারণ ও সহজসরল জীবনযাত্রার অঙ্গীকার একান্ত অপরিহার্য বলে আমি মনে করি।

স্মরণ রাখা দরকার যে ক্ষুদ্রঋণ কোনোভাবেই ঢ়ৎড়ভরঃ সধশরহম াবহঃঁৎব কিংবা মুনাফা অর্জনকারী উদ্যোগ নয়। এর শক্তিশালী একটি সামাজিক দিক আছে। কাজেই এ কার্যক্রমের উদ্যোক্তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টিকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে। দারিদ্র্য নিয়ে ব্যবসার যে অভিযোগ এনজিওদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হচ্ছে, সে বিষয়ে এনজিওদেরকেই কালবিলম্ব না করে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। কারণ এনজিওরাই দরিদ্রদের কাছে জামানতবিহীন মূলধন পেঁৗছে দেয়ার উদ্ভাবনী কর্মকৌশলের প্রবক্তা এবং উদ্যোক্তা।

অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম টেকসই অবস্থানে পৌঁছেছে। কেবল সার্ভিস চার্জের হারের কারণে এনজিওদের যুগান্তকারী এ অর্জন আজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। কাজেই এ সংকট উত্তরণের পথ এনজিওদেরকেই বাৎলাতে হবে। প্রয়োজনে সাময়িক ক্ষতি মেনে নিয়ে হলেও এ সংকট উত্তরণ করতে হবে। পরিশেষে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে অতি সমপ্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা প্রবাহের উপর আমার মতামত প্রদান করেই আজকের এ লেখার সমাপ্তি টানবো।

২০০৬ সালে মহান সংসদে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইন পাশ করা হয়। উক্ত আইনের বলে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এমআরএ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম আইন বাস্তরায়নের লক্ষ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিধিবিধান নির্ধারণ করেছে যা আগামী ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে প্রয়োগ করা হবে। বিধিমালা প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে এমআরএ কিছুটা নমনীয় থাকবে এবং ভুলভ্রান্তি সংশোধনের সুযোগ থাকবে এটাই আমাদের বিশ্বাস। ক্ষুদ্রঋণ আইন ও বিধিমালা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে অধিকতর সুশৃঙ্খল কার্যক্রম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে অবশ্যই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

কিন্তু ইতোমধ্যে বিশেষ করে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বড়ো বড়ো সংগঠনগুলো যে আপত্তি জানিয়ে আসছে সে বিষয়ে এমআরএ কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা দরকার। এমআরএ'র কিছু কিছু সিদ্ধান্তে কোনো কোনো বড়ো সংগঠন আপাত দৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা থাকলেও সার্বিকভাবে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি লাভবান হবে বলে আমার ধারণা। ঋণ প্রদানকালে সব ধরনের কর্তন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে ঋণ দেয়ার পরের সপ্তাহ থেকে কিস্তি আদায়ের বিদ্যমান পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে অবশ্যই। কারণ ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে প্রাপ্ত মূলধন যতো বেশি সময় ঋণগ্রহণকারীদের কাছে থাকবে তারা ততোই লাভবান হবে।

ফ্লাটরেট কিংবা ডিক্লাইন মেথড-এর যে কোনোটিই প্রয়োগ করা হোক না কেন, কার্যকরী সুদের হার যেন কোনোভাবেই ২৭ শতাংশের বেশি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আমার মতে, ২৭ শতাংশ সার্ভিস চার্জ এমনিতেই অনেক বেশি। তারপরও কারা ২৭ শতাংশ সার্ভিস চার্জের বিষয়ে আপত্তি তুলছে তাদেরকে চিহ্নিত করা দরকার। যারা উচ্চ সুদের হারে ব্যাংক লোন নিয়ে ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনা করছে, প্রতি বছর নির্দিষ্ট হারে রাইট অফ করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে, সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের এ সকল ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধিসহ অগ্রহণযোগ্য প্র্যাকটিস কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে তুলনামূলকভাবে ছোট এবং স্থানীয় পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনকারী সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ক্ষুদ্রঋণ বাস্তবায়নে তাদের যোগ্য করে গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

কারণ একজন ঋণগ্রহীতাকে তার প্রাপ্ত ঋণের জন্য যদি বছরে ২৭ শতাংশ সার্ভিস চার্জ গুনতে হয় তাহলে প্রাপ্ত মূলধন ব্যবহার করে তাকে অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ লাভ করতেই হবে। এনজিওদের কাছ থেকে যারা ঋণ গ্রহণ করে থাকে তাদের কর্মদক্ষতার মান কোন্ পর্যায়ে তা অবশ্যই আমাদের অজানা নয়। তাহলে নিজেদের কাছেই প্রশ্ন করা দরকার যে এ পর্যায়ের মানুষগুলো কি প্রাপ্ত তহবিল বা মূলধন ব্যবহার করে আসলে কতোটা মুনাফা করতে পারছে। যদি তাদের মুনাফা ২৭ শতাংশের দ্বিগুণ না হয়, তাহলে কোন্ নৈতিকতার বলে আমরা ২৭ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করছি? অন্যের সমালোচনার কারণে নয়, বরং নিজের বিবেকের কাছেই বারবার দংশিত হচ্ছি ক্ষদ্রঋণের এই অতিরিক্ত ও অসহনীয় সার্ভিস চার্জের কারণে। এটা আমার কাছে এমন পর্যায়ে পেঁৗছেছে যা মৃত্যুযন্ত্রণার সামিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমি এ যন্ত্রণার অবসান চাই। সে সঙ্গে স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে এনজিও পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণের কার্যকরী সুদের হার ২০ শতাংশের ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.