আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুক অব ফ্যাক্টস

* সেই প্রস্তর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বাস করা গোত্রগুলো মাথাব্যথা কমানোর জন্য মাথায় ফুটো করত। আর তা করা হতো বেশির ভাগ পাথর দিয়ে। মনে করা হতো, এভাবে মাথার ভেতর থাকা অশুভ শক্তিগুলো বের হয়ে যাবে। এই তরিকা কখনো কখনো কাজও করত। ভালো হয়ে যেত রোগীরা।

তারপর তারা বাকিটা জীবন সুস্থভাবেই বেঁচে থাকত । * প্রাচীন ভারতের শল্যবিদদের কাটাছেঁড়ার সেলাইয়ের কাজে সাহায্য করত পিঁপড়ারা। এ জন্য পুরস্কার হিসেবে পিঁপড়াদের অবশ্য প্রাণ দিতে হতো। ব্যাপার হচ্ছে অনেকটা এ রকম_প্রথমে একটি পিঁপড়া নিয়ে কামড় দেয়ানো হতো রোগীর কোনো কাটা জায়গায়। তারপর সে পিঁপড়ার মাথাটা মোচড় দিয়ে ভেঙে রাখা হতো সে আঘাতপ্রাপ্ত জায়গায়।

তারপর আবার নেওয়া হতো আরেকটি পিঁপড়া। এভাবে সেলাইয়ের প্রয়োজনানুযায়ী প্রাণ দিতে হতো পিঁপড়াদের। * ভিক্টোরিয়ান যুগে প্রত্যেক ছেলেমেয়ের আলাদা আলাদা নিমকদান দেওয়া হতো। আর বলা হতো, এ লবণ তাদের বৃদ্ধিতে বেশ কাজে লাগবে। আদতে সে লবণে মেশানো থাকত ব্রোমাইড, যা ছেলেমেয়েদের শান্ত, ভালো মানুষটি হয়ে থাকতে সাহায্য করত।

* প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিষাক্ত গ্যাসের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য গোল্ডফিশ ব্যবহার করা হতো। * প্রায় ১৪০০ বছর আগে চীনারা বারুদ তৈরিতে ব্যবহার করত শূকরের মল। * ১৬ শতকে ম্যালেরিয়ার রোগের পথ্য হিসেবে খাওয়া হতো মাকড়সা। স্বাদ বাড়ানোর জন্য অবশ্য তাতে মেশানো হতো মাখন। * প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অনেক ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছিল।

অবশ্য তা কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে নয়। বারুদ বানানোর জন্য ব্যবহার করা হতো ঘোড়ার চর্বি। আর সে জন্যই হত্যা করা হয়েছিল এত সব ঘোড়া। * প্রাচীন রোমে মৃগী রোগীরা সুস্থ হওয়ার জন্য গোসল করত। তবে সে গোসলে পানির বদলে ব্যবহার করা হতো গ্ল্যাডিয়েটরের রক্ত।

* রোমানরা ছোট ঘা পরিষ্কার করতে ব্যবহার করত ভিনেগারে ভেজানো মাকড়সার জাল। * ৮ শতকে ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ে হুপিং কাশি থেকে মুক্তি পেতে রোগীকে পান করতে হতো এক বাটি পানি। সেই পানিতে থাকত ৯টি ব্যাঙ। তবে ধারণা করা হতো, সেসব ব্যাঙ রোগী দেখে ফেললে সে পানিতে কাজ হবে না। আর তাই বাটিতে সে ব্যাঙগুলো লুকানো থাকত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।