আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা ধরে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের মাছ

বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম) ভারত ও মিয়ানমারের জেলেরা অবৈধভাবে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে কোটি কোটি টাকার মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের জেলেরা। এ ছাড়া ওই দুই দেশের জেলেরা হামলা চালিয়ে দেশীয় জেলেদের জাল ও ট্রলার ধ্বংস করে দিচ্ছে। হামলায় অনেকে আহতও হচ্ছেন। এতে একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে, ভিনদেশি জেলেদের অত্যাচারে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে মাছধরা ছেড়ে দিচ্ছেন অনেক জেলে।

জেলেরা জানান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমার এক থেকে দেড় শ কিলোমিটার ভেতর ঢুকে বড় বড় ফিশিং ও ট্রলিং ট্রলার দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও মা-চিংড়ি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিন, চালানার বয়া, গুলির ধার ও সোনারচর এলাকায় বেশি মাছ ধরা পড়ায় বিদেশি জেলেদের লক্ষ্য ওই সব এলাকা। তারা দেশীয় জেলেদের পাতা জালের ওপর দিয়ে তাদের বড় ট্রলার চালিয়ে দিয়ে জাল কেটে দেয়। এতে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হন জেলেরা। এমনকি তাদের ট্রলারের ধাক্কায় বাংলাদেশি জেলেদের ছোট ট্রলারগুলো দুমড়েমুচড়ে বা ডুবে যায়।

ট্রলার-মালিকেরা জানান, জেলেরা প্রতিরোধ করতে গেলে অন্য দেশের জেলেরা তাদের বড় ট্রলার থেকে গরম পানি ছিটিয়ে দেয়। সম্প্রতি এমন ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন জেলে আহত হয়েছেন। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়ার জেলে আবছার উদ্দিন বলেন, ‘অবৈধভাবে ঢোকা ভারত ও শ্রীলঙ্কার জেলেদের মোটা সুতার জাল ও বড় বড় ট্রলারের সামনে আমরা টিকতে পারি না। আমাদের লাখ লাখ টাকার জাল কেটে ট্রলার ডুবিয়ে দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এসব অভিযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

’ শাহপরীর দ্বীপ মৎস্য সমিতির সভাপতি মো আয়ুব জানান, নিজেদের জলসীমায় অন্য দেশের জেলেদের নির্যাতনে সাগর ছেড়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন উপকূলের শত শত জেলে। এলাকার জেলেরা বেকার হয়ে পড়ছেন। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের কিছু ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় ঢোকে স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, নৌবাহিনীর টহলজাহাজ প্রতিদিন মিয়ানমারের পাঁচ থেকে সাতটি ট্রলার তাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের লে. কমান্ডার এম কিবরিয়া হক বলেন, পর্যাপ্ত টহলযানের অভাবে সব সময় অনুপ্রবেশকারী জেলেদের প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না। fish_3.jpg] আসুন আমরা আমাদের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করি, আশাকরি আমাদের মৎস্য সম্পদ অদি দপ্তর এই সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

সুত্রঃ  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.