আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজমির শরীফ জেয়ারত!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!



কিছুদিন আগের ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় ফিরছিলাম। তখনও শহরের সীমানায় ঢুকিনি। রাস্তায় একটা ব্যানারে চোখ আটকে গেল। দেখি বড় করে লেখা : আজমির শরীফ জেয়ারত।

একটা এজেন্সি আজমির শরীফ জেয়ারত করার জন্য প্যাকেজ দিচ্ছে। দেখি থাকা, খাওয়া, যাতায়াত নিয়ে খরচ কত তা নিয়ে অল্প তথ্য দেয়া হয়েছে। টাকার অঙ্কটা মনে নেই। কাজটা হাস্যকর মনে হল। কারণ আজমির শরীফ জেয়ারত পুণ্যের কাজ তা কোথাও বলা নেই।

যেখানে হজ করা আমাদের জন্য ফরয সেখানে হজের জন্য টাকা খরচ না করে কিছু মানুষ মাজার জেয়ারতের জন্য টাকা খরচ করতে বসে আছে। অজ্ঞতা মানুষকে দিয়ে যে কত কিছু করাতে পারে? আজমির শরীফ নিয়ে মানুষ কি করে তার একটু নমুনা যারা জানেন না তাদের জন্য দিলাম। সেখানে কিছু মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পাওয়া যায়। দেখতে অনেকটা বাদামের মত। রঙ সাদা।

ওগুলো এখানে আনলে দেখি মানুষ অনেক ভক্তি করে খায়। বলে,"আজমির শরীফের তবারুক"। তাবিজ বাধার জন্য যে সুতো ব্যবহার করা হয়, সেই রকম লাল রঙের সুতো নিয়ে আসে। সেগুলো নিয়েও কম ভক্তি হয় না। আমার দেখা আরো একটা ঘটনা শেয়ার না করে পারলাম না।

কোনো একটা মাজারের ওরশ নিয়ে পোস্টার দেখি। সামনে গিয়ে লক্ষ্য করি ওরশের দিনে কী কী হবে তার তালিকা দেয়া আছে। তার মধ্যে হল 'মাজারের গোসল শরীফ'। অবস্থা বুঝুন। একটা কবরকে ধুয়ে পরিষ্কার করা হবে।

এটা তাদের কাছে অনেক সওয়াবের কাজ। এই কাজের যে কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই তা একটা বাচ্চাও বোঝে। বোঝে না খালি মাজারজীবি কিছু লোক। মাজার নিয়ে বেশী কিছু লেখা আর নাই লিখলাম। "লালসালু" উপন্যাসটা যদি পড়ে থাকেন তবে আপনারা নিশ্চয় জানেন মাজারওয়ালারা কী কী করতে পারে।

ইসলামের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কাজের মধ্যে আল্লাহর আদেশ মানার মাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। আর এইসব লোকেরা খালি নিজেদের বানানো নিয়মকানুন নিয়ে ব্যবসা করতে বসে আছে। আসল ইসলামের কোনো নামগন্ধ নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।