আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনের ব্যথা : লিখার দরকার ছিল না, কিন্তু না লিখে পারলাম না।

মাতৃগর্ভে শিশুর প্রথম পদাঘাত মাতৃত্বের প্রথম স্বাদ

আলাপ আলোচনা আর লেখালেখিতে সমাজের তেমন কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। সমাজটা যেন আলোচনা প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। গণমাধ্যমগুলোতে নানাবিধ অন্যায় অনাচার নিয়ে যেভাবে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে তার তেমন কোন প্রভাব ও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই যেন অত্যাচারী হয়ে উঠার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। শুধু টাকা, আর ধন-সম্পদ, আর আধিপত্যবাদে বিশ্বাসী হয়ে উঠেছে।

আর তা অর্জনে উন্মাদ হয়ে গেছে। ভালো-মন্দকে আলাদা করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। এ অবস্থায় সমাজের ভবিষ্যৎ ভাবতে গেলে শংকিত না হয়ে পারা যায় না। আমরা যেভাবে জীবনটাকে পাড়ি দিচ্ছি, আমাদের সন্তানদের বা আরো সামনের প্রজন্মের জীবনধারা কেমন হবে ! অফিস আদালতে শুধু ঘুষ ঘুষ আর ঘুষ। চারিদিকে অন্যায় আর অনাচারের জয় জয়কার।

খুন, ধর্ষণের মহামারী। মাত্র পাঁচ টাকার দেনা-পাওনার হিসেব নিয়ে পাওনাদারকে খুন করার ঘটনা আমার বাসস্থানের কাছাকাছিই সংঘটিত হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীতে মামলা আর মামলা। স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর ফাঁসির সংবাদ এখন পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই চোখে পড়ছে। কোন অনাচারের প্রতিবাদ যদি কেউ খুবই নম্র ও ভদ্র ভাষায় করতে গেলেও প্রতিবাদীকে জীবন দিতে হচ্ছে-খুবই অল্প বয়সের বখাটেদের হাতে।

ওরা যেন বখাটে হয়েই মায়ের পেট থেকে জন্ম লাভ করেছে। বখাটে হওয়ার একটা বয়স হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যে বয়সের ছেলেদের বখাটে বা নারী উত্তক্তকারী হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাদের অধিকাংশই শিশু বয়স (১৮ বছর) পাড় করেনি। সেই হিসেবে শিশুরাই আজ নারী উত্তক্তকারীতে পরিণত হয়ে গেছে। ভাবুন সমাজটার অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

পিতা ধর্ষণ করছেন নিজ ঔরসজাত কন্যাকে। এ কয়েকটি খবর পত্রিকায় পড়েছি। শাশুড়ি নিজের কন্যার জামায়ের সাথে.....। পুত্র খুন করছে পিতাকে। অনেক মা খুন হচ্ছেন নিজের পেটে ধরা পুত্রের হাতে।

ঘুষ একদম ওপেন। সবাই জানে ওনি ঘুষ খাচ্চেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বাধা দিচ্ছেন না। ভাগ নিচ্ছেন ঘুষের। সরকারের অনেক কর্মচারী মাসিক বেতন পেতেও ঘুষ দিতে বাধ্য থাকছেন।

না দিলে একমাসের বেতন অন্য মাসে। ঘুষখোরের বস্ কে জানালে বলেন, কাজের ভিড় । পড়ে আসুন। ঘুষ দিলে কোন ভিড় থাকে না। সঙ্গে সঙ্গে কাজ।

কোথায় যাবে বলুন ? একদম নায্য পাওনা পাওয়ার অধিকার নেই-এই সমাজে। রাজনীতিকদের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে তারা দিনরাত মিথ্যা কথা বলছেন। চোর-বাটাপারদের আশ্রয় দিচ্ছেন আর সৎজন তাদের পক্ষে না থাকলেই তাঁদের দমন-পীড়ণ করছেন। ওনাদের কাছে খুনিরা সাধু আর সাধুরা হয়ে যাচ্ছে খুনি। দিনরাত টেলিভিশন আর পত্র-পত্রিকায় এতো আলোচনা হচ্ছে- তাতেও তাদের বিন্দু মাত্র পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

বরং ওনারা যেন অন্যায়ের পক্ষে ঝলসে উঠেছেন। সবাই মিলে দেশ আর সমাজটাকে যেন গিলে খেতে চান। ভালো যদি দু'এক জন থাকেন তবে- পালান। আর পালানোর যদি কোন জায়গা না পান তবে চিকিৎষা একটাই বাকি। তা হলো আত্নহত্যা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.