সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ!
১.
আমি একাকী প্রশ্ন করি,তারপর কিছুক্ষন সময়ের অপচয়ে উত্তরে ডুবে যাই নিজেই।
তোমার নিরবতা ভঙ্গ করার সাহস আমার ছিলনা কোনোদিন।
আমিতো জানি, উত্তর দেবার মত অকাজে তুমি ফিরবেনা কখনো!
আমি কাঠপোড়া কয়লার গন্ধ পাই,বাতাসে ঘ্রান ভেসে আসে।
ভুট্টার পুড়ে যাওয়া খই,বাগানের সোঁদা মাটি, আনারস পাকা সুবাস।
তেলে পড়া পাঁচফোড়নের , মাছ ভাজার শব্দ
ঝিরঝির করে যে তেল ফুটে চলেছে অনবরত।
তোমাকে প্রশ্ন করি জাগতিক বিষয় গুলো মাড়িয়ে।
তোমার হাতের গ্লোভসে ব্যস্ততা,কলমে ধুলোমাটি।
আমার প্রশ্নগুলো খুব পুরোনো। যেমন সেই কথাটি আদি;
ভালবাসাবাসির মত-
আমাকে ভুলে গেলে কেন!
রোজকার মত আলো বাতাস সব থাকে,
তবু কোনো কোনো দিন নিঃশ্বাস নিতে গিয়ে বুঝি আজ বাতাসের কমতি।
প্রশ্ন করি।
মাতালের মত সারাদিন ডুবে থাকি কাজে;
তুমি উত্তর খুঁজে মরার আগেই তোমাকে বাঁচিয়ে দিতে সন্তুষ্ট হয়ে যাই।
আমি তো জানি আমাকে ভুলে থাকাই এখন তোমার প্রথম কাজ!
২.
কত পথ কত দিকে চলে গেছে!
কালো বেড়ালের থাবার মত গর্ত পথ জুড়ে,
বোশেখের ঝড়ে বৃষ্টিতে মাখামাখি সেসব থাবার গহীন।
কিছু কিছু পথে তোমার পায়ের দাগ।
জারুলের নিচে আমাদের একদিন।
বৃষ্টিতে মুছে যেতে পারে কত কিছু!
জারুল পাতার ডাক,আমাদের প্রেম স্মৃতি-
একদিনের চিহ্ন বহ্নিশিখা স্তুপ হয়ে রয়ে যাবে অমলীন।
দুয়েকটা পথ এক সাথে মিশে গেলেও
আমরাতো জানি বিচ্ছেদেই বেঁচে থাকে প্রেম।
আমি বেঁচে থাকি তুমি ছাড়া প্রতিদিন!
৩.
আমি ভাবিনি এত দ্রুত শিমুল সূর্যটা চোখের আড়ালে চলে যাবে।
আমি যে দিকে যত দূরেই যাই, রাত হলে চাঁদ থাকে,তা না হলে সূর্য!
পুবের রাস্তা আমার এতটা শত্রু কে জানতো হায়!
আমি যাচ্ছিলাম বাধ্যগত তাপখাওয়া ডিমের মত।
পাখি তার পালকের নিচে যেভাবে চায় সেভাবেই ভালবাসতে পারে,
কুসুমে আগলে রাখতে পারে ছোট্টছানার বীজ!
নীল রঙের উপুড় করা কৌটো ছিল সূর্যের কাছাকাছি।
তাই বাগানের কমলাগুলোর রঙীন খোসা লেগে থাকে মেঘের গায়ে।
আগুন জ্বলবে দূরের মাঠে। এমন আগুন আমি আমার মেয়েবেলাতেই দেখেছি।
শকুনের পাখার মত আগুনের পালক। ঝাপটায়,আছড়ায়,
বাতাসে দোল খায়,তাপ ছড়ায় অতীত পুড়িয়ে দিতে।
আমি সামনে যাই বলেই আর সব পেছনে পড়ে থাকে;
সাবানের ফেনায় বুদবুদের মত ভেসে থাকা শিখতে আমার বহুদিন লেগেছে।
এত সহজে ডুবে যাওয়া হবেনা তাই।
আমি এখন ডুবে থাকা শিখছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।