আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাদেন কি সত্যিই মারা গেছে?



ওসামা বিন লাদেন মারা গেছেন কিনা এ নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে। কয়েকটি যুক্তি দেখাই অনেকেরই তা-ই মনে হবে। লাদেনের মৃতদেহ হিসেবে যে ছবিটি প্রচার করা হচ্ছে একটু লক্ষ করলে দেখবেন সে ছবিটি লাদের আগের হাস্যোজ্জ্বল ছবির একটি বিকৃত রূপ। হাস্যোজ্জ্বল ছবিটিতে লাদেন এর দাঁত, মুখের অংশ মৃত্যুর সময়ের ছবিতেও একই রকম। মৃত্যুর সময় মানুষের চেহারায় মৃত্যুর যে ছাপ পড়ে মুখ,দাঁতের অংশে সে ছাপটি নেই।

অথচ এ অংশেই মানুষের মৃত্যুর ছাপটি বেশি থাকে। অনেকের মুখ হা হয়ে থাকে। অনেকের জিহ্বা বের হয়ে যায়-ইত্যাদী। বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে মাথায় গুলি লেগে লাদেন মারা গেছেন। কিন্তু ছবিতে সেটি বোঝা যায় না।

মনে হয় গুলি তার চোখে লেগেছে। হাস্যোজ্জ্বল আগের ছবিটি আর মৃত্যুর পরের ছবিটি পাশাপাশি রাখলে মনে হয় হাস্যোজ্জ্বল ছবিটিকে শুধু কম্পিউটারে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। লাদেনের হাস্যোজ্জ্বল এ ছবিটি ১৯৯৮ সালের। ২০০৯ সালে প্রকাশিত ছবিতে লাদেনের চেহারায় আগের তুলনায় বয়সের ছাপ পড়েছে। আগের ছবির তুলনায় পরের ছবিতে তার গাল ভরাট।

কিন্তু মৃত্যুর পর প্রকাশিত ছবি দেখে মনে হচ্ছে ১৯৯৮ সালের লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৯ বা তার পরের লাদেনকে নয়। যদি ছবির চাতুরির মাধ্যমে লাদেনকে হত্যার বিষয়টি প্রচার করা হয়েও থাকে তবে পরের সময়ের লাদেনের ছবি বিকৃত করা হলো না কেন? এর একটি উত্তর হতে পারে, ১৯৯৮ সালে তোলা তার ছবিটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। ২০০৯ এর ছবিটি এতটা প্রচার পায়নি। সামপ্রতিক সময়ে আল কায়দার সেকেন্ড ইন কমান্ড জাওয়াহিরি বেশি সরব ছিলেন।

লাদেন ছিলেন তুলনামূলক অনেক নিরব। শ্রীলঙ্কার গেরিলা নেতা প্রভাকরনের মৃত্যুর পরও সে সত্যিই মারা গেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু এ প্রশ্নের বিশ্বাসযোগ্য উত্তর তৈরী করে শ্রীলঙ্কা সরকার। নিহত ভেলপুলস্নাই প্রভাকরনের যে ছবি তারা প্রচার করে তাতে স্পষ্টই মৃত্যুর বিষয়টি বোঝা যায়। তারা মুখে যেমন বলেছিলো প্রভাকরনের মাথায় গুলি লেগেছে তেমনি ছবিতে সে গুলির বিষয়টি বোঝাও গেছে।

কিন্তু নিহত লাদেনের ছবি দেখে তা বোঝা যায় না। অন্যদিকে লাদেনের মৃত্যুর পর তার লাশ কি হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন লাশ তাদের হেফাজতে আছে। নিউইয়র্ক টাইমস এর প্রতিবেদনে মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, লাশ সাগরে সমাহিত করা হয়েছে। এ সমাহিত করা কি পদ্ধতিতে করা হয়েছে তা বলা হয়নি।

এ ধরনের আলোচিত ব্যাক্তির মৃত্যুর পর তার মৃত্যু নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে। সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুর পর তার লাশ, সাদ্দাম হোসেনের ছেলেদের মৃত্যুর পর তাদের লাশ সংরৰন করে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরীর পরই এসবের সৎকার করা হয়েছে। সত্যিই যদি লাদেনকে তারা হত্যা করে থাকে তবে এ ৰেত্রে তা করা হলো না কেন? পাকিস্থানী ক্যন্টনমেন্টের একেবারে ভিতরে হামলা চালিয়ে লাদেনকে হত্যা করা হয়। সেখানে একটি হেলিকপ্টারও বিধ্বসত্দ হয়। সে বিধ্বস্থ হেলিকপ্টারটি কোথায়? সেটির ভিডিও ফুটেজ টিভিতে কেউ কি দেখেছেন? হামলা হলো ।

নিহত হলো। হেলিকপ্টার বিধ্বস্থ হলো। অথচ লাশ নেই। বিধ্বস্থ হেলিকপ্টার নেই। প্রত্যৰদর্শীর বর্ননা নেই।

এ যেন র্রেবের ক্রসফায়ার। #

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।