আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কল্পনাবিলাসী ও অহংকারী ভারতীয়দের বাস্তবতার একটি ক্ষুদ্রাংশ!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
ভারতের হরিয়ানায় কৃষকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে তামাশা বৃষ্টিতে ফসলের তিপূরণ হিসেবে দেয়া হয়েছে মাত্র দুই রুপি থেকে ছয় রুপি। তিগ্রস্ত প্রত্যেক কৃষককে তিপূরণ হিসেবে সরকারের প থেকে যে পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়েছে তাতে অপমানিত বোধ করছেন তারা। সম্প্রতি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। বিবিসি। ২০১১ সালে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যায় হরিয়ানার ঝাজ্জর জেলার কৃষকদের ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।

এরপর তির পরিমাণ নিরূপণ করে কৃষকদের তিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যসরকার। তিপূরণের চেক কৃষকদের হাতে এসে পৌঁছলে তারা দেখতে পান, কেউ পেয়েছেন ছয় রুপি, কেউবা দুই রুপি। কেউবা এর মাঝামাঝি কোনো সংখ্যা। এটি কেমন তিপূরণ হলো তা নিয়ে বিস্মিত হয়ে পড়েন তারা। কাছের শহরে গিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতেই এর চেয়ে বেশি খরচ পড়ে।

আবার কোনো কোনো কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টই নেই। ব্যাংক হিসাব খুলতেই এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থ প্রয়োজন। তাই সরকারের প থেকে দেয়া এই তিপূরণ নিয়ে অত্যন্ত ুব্ধ হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। রাজ্যের বিরোধী দল এই তিপূরণকে কৃষকদের সাথে করা ‘নির্মম তামাশা’ বলে অভিহিত করেছে। কিন্তু নিজ সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেই বিবেচনা করছে রাজ্যসরকার।

তিপূরণ দেয়ার েেত্র সরকারের অবস্থান স্বচ্ছ ও নিরপে বলেও দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। Click This Link *********** কথায় বলে মুরোদ নেই দুই আনা সেই হয় শেয়ানা। অনেক ভারতীয়দের দেখলে মনে হয় দুনিয়ার সব কিছুই যেন তারা আবিস্কার ও তৈরি করছে। তাদের দাবী গোটা বিশ্বের ব্যাবসা বাণিজ্যে তাদেরই জমিদারী। তাদের ভাবখানা দেখে মনে হয় যে অর্থনৈতিক পরাশক্তি জার্মানী, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামনে কিছুই না।

তাদের কথার তেজে ও উপরের ফিটফাটে তাদের সাথে আলাপে পেরে উঠা যায় না। কিন্তু তারা ভুলে যায় খালি কলসি বাজে বেশী। ভারতের ৮০% জনগণের দৈনিক আয় মাত্র ২০ রুপি! ভারতে প্রতি বছর হাজার হাজার কৃষক আত্নহত্যা করে। অথচ বাংলাদেশের মত ভারতেও এই মেহনতী কৃষকরাই সেই দেশের খাদ্যশস্য সহ বিভিন্ন ব্যাবসা-বাণিজ্যতে বিশাল অবদান রাখে। কিন্তু ভারতের শিল্পপতিরাতো বটেই সেই দেশের সরকারও দরিদ্র কৃষকদের সাথে বিদ্রুপ করে।

তাই দেখা যায় মাত্র ২রুপি ক্ষতিপুরণ সাহায্যর জন্য ৬ রুপি ব্যায় করে একাউন্ট খুলতে হবে। এই ভাবে কি মানুষ বেচে থাকতে পারে? ভুখা-নাঙ্গা, বাসস্থান ও স্যানিটেশন সমস্যায় প্রায় ৮০ কোটির উপর মানুষ জর্জরিত হলেও তাদের আকাশ কুসুম স্বপ্নের কোন কমতি নেই। ব্যাবসা-বাণিজ্যের সুত্রে নিউইয়র্কের নাসডাক এক্সচেঞ্জে ভারতীয় বেশ কয়েকটি কোম্পানীর প্রভাব আছে। এই কারণেই গত বছর ১৫ই আগষ্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নাসডাকের আউটার ডিসপ্লেতে একটা সেলিব্রেট করে। আর যায় কোথায় বহু ভারতীয়র কাছে এ যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত।

তারা আর কাউকে গ্রাহ্যই করতে চায়না। রয়টার্স, বিবিসি, সিএনন সহ মার্কিন কর্পোরেটও বাণিজ্যর জন্য ভারতের দূরাবস্থা তেমন তুলে ধরে না। ভারতে যে দরিদ্রতা, র্দূনীতি, অব্যাবস্থাপনা ও নোংরামী তার চেয়ে শ্রীলংকার অবস্থা হাজার গুণে ভাল। কিন্তু লংকানরা এই সকল অথর্ব ভারতীয়দের মত বেকুব নয়। লংকানরা যেখানে বাস্তবভিত্তিক ও দেশপ্রেমিক এই বিষয়টা আমাদের দেশের আওয়ামীলীগারদের নেই।

তাই বিগত ৪২ বছরে স্রেফ আশ্বাসের প্রেক্ষিতেই ভারতকে নিয়ে আনন্দে আটখানা। এই কারণেই হাসিনার দ্বিতীয় মেয়াদেও ভারত হতে উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি নাই। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষতি করে ভারতকে একতরফা সুবিধা দিতে গোপন চুক্তিতেও দেড়ী করে না তারা।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।