আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইভটিজিং এবং প্রেমঃ কোনটি নির্যাতন আর কোনটি নয়।দুটি সত্য ঘটনা পড়ার পর মন্তব্য করুন।

বালক জানে না তো কতটা পথ গেলে, ফেরার পথ আর থাকে না কোনো কালে...

যেহেতু আগেই বলছি সত্য ঘটনা কাজেই পাত্র পাত্রির নাম, ভার্সিটির নাম এসব বলবনা । শধু এই টুকু জেনে রাখি যে এটি বাংলাদেশের প্রথম দিককার ভার্সিটিগুলোর একটি এবং অবশ্যই পাবলিক ভার্সিটি । আমি সত্য নামদাম প্রকাশ করতাম কিন্তু এতে পাত্র পাত্রীরা হেয় হবে বলে তাদের বিশ্বাস। আমি জানিনা কেন মেয়েরা এই ঘটনা গুলো চেপে রাখে। এই জায়গায় বলে রাখি ঘটনার শিকার সবাই আমার বন্ধু।

ঘটনা-১(ইভটিজিং) ঘটনার দিন সন্ধার ঘন্টাখানেক পরে আমার ফ্রেন্ড শিমু আমাকে কল করে। আমি স্বাভাবিক ভাবেই কল রিসিভ করে হতভম্ভ হয়ে যাই । ঐ পাশ থেকে অনবরত গালি ভেসে আসছে। আমি অনেক কষ্ট করে শিমু কে শান্ত করলাম । কিন্তু এতে গালিগালাজ থামলো বটে কিন্তু কান্না থামলোনা।

আমি বল্লাম কি হয়ছে। আমি যতবার বলি কান্না তত বেড়ে যায় । আমি দমক দিয়ে বললাম ,কি হয়ছে বল। আবার কান্না। আমি পড়লাম মহাযন্ত্রনায় ।

এর চেয়ে গালিগালাজই ভাল ছিল। কান্নার ফাকে ফাকে আমি যা বুঝতে পারলাম তা হলো-শিমু আর ওর দুই বান্ধবীর আজ হলে ফিরতে ফিরতে সন্ধার মত হয়ে যায় । তারা যখন হলে ফিরে তখন রাস্তার পাশথেকে কয়েকটা বখাটে ছেলে নানান অশালীন কথা বলেছে, চুমু খেতে চেয়েছে। আমি বললাম ,আশেপাশে কেউ ছিলনা? ও বল্লো, ছিল। আমি হতভম্ভ হয়ে গেলাম ।

রাস্তায় এতগুলা লোকের সামনে কয়েকটা ছেলে মেয়েদের কে প্রকাশ্যে চুমু খেতে চাইলেও আজ কাল কেঊ কিছু বলেনা নাকি? মেয়েদের সেন্টিমেন্ট আমি কমই বুঝি। হয়তো এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু আমার বন্ধটি বেশ অনেক দিন আমার সাথে কথা বলেনি শুধু আমি ছেলে বলে। পরে খোজ নিয়ে জেনেছি সে লুকিয়ে লুকিয়ে বেশ কিছু দিন কেদেছে। বুঝলাম ছেলেগুলো হয়ত আরো এমন কিছু বলেছে যা সে আমাকে কেন কাঊকেই বলতে পারেনি ।

ঘটনা ২(প্রেম) আমার মেয়ে বন্ধুদের মধ্যে মিলি প্রেম করে। তার ইয়ারের এক ছেলের সাথে । ঐ দিন ফোনে কথা বলার সময় টের পাই মিলির মন খুব খারাপ, কথা বলছে কিন্তু কেমন যেন কান্না কান্না ভাব । আমি জিজ্ঞাস করলাম কি হয়েছে ও বলতে চায় না । আমি ও জোরাজুরি করলাম না ।

কিছুক্ষন পর নিজ থেকেই বল্লো যা তা এরকম,সে তার প্রেমিক প্রবর ছেলেটিকে অনেক ভালবাসে, কিন্তু ছেলেটি তার উপর নানান টর্চার করে। আমি জানতে চাইলাম, কি রকম? মিলি বলল,ছেলেটি ওকে কারো সাথে কথা বলতে দেয়না । মেলামেশা করতে দেয় না ভাল ভাবে। মোবাইল ফোন ওয়েটিং পাইলে গালিগালাজ করে। এই রকম যদিও হওয়া উচিত না কিন্তুহয়।

তাই আমি বল্লাম ঠিক হয়ে যাবে ধীরেধীরে। কিন্তু তার পরও যা বলল তাতে আমি অবাক হয়ে গেলাম। ওকে নাকি ভার্সিটি থেকে বের হয়ে দেয়না । কোন ছুটি ছাটাতে বাড়িতে যেতে দেয় না । ও পাচ মাস যাবত বাড়ি যেতে পারছেনা ,বাড়ি যেতে চাইলে ছেলেটি বলে, বাড়িতে নাকি মিলির আরেক জন প্রেমিক আছে।

মিলিকে ভয় দেখায় ,তুমি বাড়িতে গেলে আমি পড়াশুনা করবনা ,খাবোনা ইত্যাদি। বলতে বলতে ও কেদে দিল। আমি চুপ করে মোবাইল রেখে দিলাম। মানে হলঃ ভালবেসে যদি সুখ নাহি তবে কেন মিছে এ ভালবাসা। ।

শুধু কি এ যন্ত্রনাটুকু পাওয়ার জন্যই। এটা কি নির্যাতন নয়?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.