আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ ২৬ এপ্রিল, মঙ্গলবার।

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা

আজ ২৬ এপ্রিল, মঙ্গলবার। সকালে ক্লাস ছিলনা। তাই অনেকক্ষন ঘুমালাম। বেলা ১১টায় উঠে পত্রিকা দেখে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম ১২ টায়। কাতারে আসার পর আমার খাবারের সময়টা যেন ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়েছে।

সকালের নাস্তা সারি সাতটায়, দুপুরের খাবার ১২ টায় আর রাতের খাবার সারতে হয় ৮ টায়। এর বাইরে আর খাওয়ার সুযোগ নেই। তবে এ তিন বেলায় যে পরিমাণ খাবার দেয়া হয় তা অনেক অনেক। সব মিলিয়ে কোনো কোনো বেলায় তা দশ প্রকার ছাড়িয়ে যায়। কাতার ইউনিভার্সিটি যেভাবে আপ্যায়ন করছে, মনের ভেতর থেকে তাদের জন্য কৃতজ্ঞতা।

এখন আবহাওয়া ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গরম সামনে এগুচ্ছে ধীর পায়ে। এ গরম পৌঁছবে ৫২-৫৫ ডিগ্রী পর্যন্ত। তবে থাকার রুম, বাস, ক্লাসরুম, করিডোরসহ সবকিছু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকায় গরমের অনুভব অনুভূত হয়না। আর মাত্র ৪৫ দিন পর দেশে যাব।

দিন ঘনিয়ে আসছে, মনের ভেতর বাজছে আনন্দের সুর। একটু পর ক্লাস আছে। গালফ হিস্টোরীর এ ক্লাসের শিক্ষক ডক্টর ইব্রাহীম আশ শারআ জর্ডানের নাগরিক। ইতিহাসের এদিক ওদিক নিয়ে তার খোঁচালো ও রসাত্মক মন্তব্য আমাদেরকে পুলকিত করে। আদব কায়দার ব্যাপারে সাংঘাতিক পর্যায়ের সচেতন তিনি।

ক্লাসরুমে প্রবেশের পর কোন ছাত্র কথা বলা তো দূরের কথা, মোবাইলটাও হাতে রাখা যাবে না। ফিসফিস শুনলেই কান ও চোখ সতর্ক হয়ে যায় তার। এমনকি লেকচার শেষ, তবু ছাত্ররা তার সামনে পরস্পরে কথা বলতে পারবেনা। রুম থেকে বেরিয়ে তারপর যা করার করতে পারো। অঙ্গভঙ্গিও তার আকর্ষণীয়।

সবকিছুতেই দারুণ গোছালো এই ডক্টর মন্তব্য করার সময় কাউকে পরোয়া করেননা। সচেতন আর সতর্ক না হলে তার ক্লাসে বসে থাকা কঠিন। এ ভয়ে অনেক কাতারী তার সাবজেক্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে। সময় হয়ে আসছে। এখন যেতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।