আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবাই বলেন জনগণ - এই “জনগণ” টা কে ? আস্ক ইয়োরসেল্ফ ।।

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

প্রশ্নটা অনেকদিন থেকেই মাথায় ঘুরছে । আপনিও হয়তো ভাবছেন, আসলে আপনিও জনগণের একজন কিনা । হলেও কোন ধরনের “জনগণ” আপনি, তার একটা হিসেব নিকেশ করা যাক …… নিজেকে বা দেশকে ভালোবাসলে আপনাকে যে এই লেখা পড়তেই হবে ........।

আমরা সবসময়ই জনগণের দোহাই পাড়ি। যে কোনও ইস্যুতেই জনগণ মেনে নেবেনা কিম্বা জনগণ আমাদের পাশেই আছে, এ কথাই বারংবার শোনা যায়। বিশেষ করে রাজনৈতিক ইস্যুগুলোতে বলা হয, সাধারন জনগণ এটা কিছুতেই মেনে নেবেনা। বোঝার সুবিধের জন্যে একটু পেছন থেকেই শুরু করি। এই যেমন, ১৩ই আগষ্ট' ২০০৮ এর দৈনিক জনকন্ঠের উপ-সম্পাদকীয় “জরুরী অবস্থা, না, ক্ষমতার রক্ষাকবচ” এ সাধারন মানুষের প্রসঙ্গে শুভ রহমান লিখেছেন - তারা যে শুধু অবিলম্বে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার ছাড়া কোনও নির্বাচনেই অংশগ্রহন করবে না, তাই নয়, নির্বাচনকে বিরাজনীতিকরনের সকল ধূর্ত কলাকৌশল ঘৃনাভরে ও দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখানই করবে।

আগামীতে .......... নেমে পড়তে চাইছে। কিন্তু সে সময়ের নির্বাচনের বাস্তবতা কি সে কথা বলে ? জরুরী অবস্হার মধ্যেই তো নির্বাচনটি হয়েছে । আমি বুঝে উঠতে পারিনা তাহলে এই “জনগণ” টা কারা, যাদের কথা উপরে লেখা হয়েছে ? আমি যে এই জনগণের মধ্যে নেই , এটা জানি। আমার মতো কয়েক কোটি লোক আছেন যারা শুভ রহমান বা তারই মতো রাজনীতিবিদদের তথাকথিত জনগণের মধ্যে পড়েন না। কারন, এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকেরা কোন অবস্থাতেই সক্রিয় কিম্বা অসক্রিয় ভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত নন।

কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিই তাদের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। এই ধ্রুব সত্যটি জেনেও কেন বারংবার এই কোটি কোটি সাধারন মানুষকে রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত করা হয় ? অবশ্য শুভ রহমান তার অজান্তেই আসল সত্যটি বলে ফেলেছেন – “জরুরী অবস্থার প্রশ্নে ছাড় দিয়ে কারা ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার বাসনায় নির্বাচনে গেল, কারা ক্ষমতাশীনদের রোষানল থেকে বাঁচলো, কারামুক্ত হলো, সাধারন মানুষ তা দেখতে যাবেনা” । সাধারন মানুষের যদি এই মনোভাবই হয়, তবে নির্বাচনকে বিরাজনীতিকরনের সকল ধূর্ত কলাকৌশল ঘৃনাভরে ও দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখান করার মাথাব্যথা জনগণের থাকার কথা নয়। তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভা নির্বাচনে জনগণ সেটাই প্রমান করেছে। আসলেই রাজনীতিবিদদের নিয়ে কোটি কোটি সাধারন মানুষের কোনও মাথাব্যথা নেই।

মাথাব্যথা হলো তাদেরই, যারা রাজনীতির সরাসরি বেনিফিসিয়ারী এবং যারা তার উচ্ছিষ্ট ভোগী। এদের যদি সাধারন মানুষের কাতারে ফেলে “গণায়ন” করা হয় তবে একথা যারা বলেন, তাদের উদ্দেশ্য অবশ্যম্ভাবী ভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অবশ্য আমার মতো নিরীহ জনগণ চিরটাকালই এভাবে সুবিধাবাদীদের হাতের ট্রাম্পকার্ড হয়ে থেকেছে। সকল জনগণকে একসাথে গুলিয়ে তাদের কথা না বললে যে হালে পানি পাওয়া যাবেনা এটা সকল সুবিধাবাদীরা ভালো ভাবেই জানেন। শুভ রহমান (তাঁকে আমি শূভবুদ্ধির লোক বলেই জানি) এর মতো অন্যরা কি জানেন না, জনগণের কথা বলা হয় কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর শ্রেনী স্বার্থে ? তাদের কায়েমী স্বার্থ বজায় রাখতে, শাসন ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তাকে তো পাশ করতেই হবে।

সে কারনেই তাদের নির্বাচন না করে উপায় থাকেনা, যেখানে জনগণ ছাড়া সে কাজটি অসম্ভব। তাই জনগণকে তাদের লাগবেই। অথচ সে নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে টানতে হেন কাজ নেই যা তারা করতে পারেন না। ভোটের পালা শেষ হওয়ার পরক্ষনেই কিন্তু সেই জনগণের কথা তাদের একটু ও মনে থাকেনা। শুধুমাত্র এবং একমাত্র নির্বাচনের হালে পানি পেতেই তাদেরকে জনগণের দোহাই পাড়তে হয়।

তারা যে সকল জনগণের দোহাই পাড়েন তারা কি আসলেই বাংলার ষোল কোটি মানুষ, নাকি এর ভগ্নাংশ ? এর মধ্যে আমি এবং আপনিও । একেবারে মোটা দাগ টেনে ব্যাপারটি দেখা যাক্। দেশে মোট জনসংখ্যা বর্তমানে ষোল কোটির অধিক। এর মধ্যে ভোটারের সংখ্যা ৫০% এর কিছু বেশী। অর্থাৎ প্রায় আট কোটি মানুষ ভোট নামক খেলাটিতে সমর্থন না দিয়েও ( যারা অভোটার অর্থাৎ ভোটার নন ) নিজেদের প্রতিনিধিত্বকারী (?) একটা শ্রেনী পেয়ে থাকেন।

আর বাকী আট কোটি ভোটারের সবাই কি ভোট দেন ? না । ভোটারদের ভেতর থেকে গড়ে ৬০ থেকে ৬৫% ভোট দিয়ে থাকেন সর্বোচ্চ । অর্থাৎ প্রায় পাঁচ কোটি লোক ভোট দিয়ে থাকেন । যারা ভোট দেন তারা আবার অনেক ভাগে বিভক্ত। ছোটখাটো দলগুলো বাদ দিলে আমাদের দেশের প্রধান দু’টো দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, যারা পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রীয় শাসনভার গ্রহন করেছেন তাদের প্রত্যেকের ভাগে কতো ভোট আছে ? ছত্রিশ থেকে চল্লিশ শতাংশের মতো।

অর্থাৎ ক্ষমতার মসনদে যারা বসতে পারেন তাদের প্রাপ্ত ভোট সবোর্চ্য প্রায় দু’কোটি । বাকী ভোট দেয়া তিন কোটি বা ততোধিক ভোটারেরই এতে সরাসরি সমর্থন নেই। এর অর্থ, সরাসরি ভোট প্রদান কারী (ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে) এবং ভোট দেননি এমন প্রায় ছয় কোটি ভোটার প্লাস ভোটার হওয়ার অযোগ্য আরো প্রায় আট কোটি ( আঠারো বছরের নীচের জনসংখ্যা) , মোট চোদ্দ কোটি জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন ছাড়াই এক একটি শাসকগোষ্ঠী আমরা পেয়ে থাকি বা পেয়েছি। অর্থাৎ মাত্র দু'কোটি ভোটারের সমর্থনে একটি সরকার ক্ষমতা লাভ করে । গণতন্ত্র যদি সংখ্যাগরিষ্টের মতামতের উপর নির্ভরশীল হয় তবে এই নির্বাচন কোন দিক নির্দেশ করে ? শুভঙ্করের ফাঁকি ? আমরা বসেছিলাম জনগণের হিসেব কষতে ।

সেটা এবার দেখা যাক । এ তো গেল নির্বাচন কালীন হিসাব। আসলে নির্বাচনী হিসাবটি বাদ দিলে দেখা যাবে, জনগণের এ সংখ্যা আরো আরো কম। সাধারন সময়ে এক একটি রাজনৈতিক দলের পেছনে তাদের সক্রিয় অথবা আধানিস্ক্রিয় কর্মী ছাড়া আর কারো থাকার কথা নয়। প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে একটি দল যে পরিমান ভোট পায় তার ১০০% ই কি দলের লোকজনদের ? না ।

এদের ৯০% ই কোনও ভাবেই সরাসরি দলের লোক নন । এরা সাধারন সমর্থনকারী এবং অন্যদলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ গোষ্ঠী । তার অর্থ দাড়াচ্ছে এই – দলগুলির নেতারা তাদের পেছনে থাকা যে “জনগণ’এর কথা বলেন তাদের সংখ্যা মাত্র লাখ খানেক বা কিছু বেশী । এখন যে “জনগণ” এর কথা রাজনৈতিক বক্তারা উঠতে বসতে বলেন, তারা আসলে কারা ? এতো সেই শেয়ালের কুমীরছানা দেখানোর খেল। তাদের কর্মীরাই কি কেবলমাত্র জনগণ ? বাকী পনের- ষোল কোটি মানুষ তাহলে কাদের জনগণ ? এতে সন্দেহ নেই যে, শুভ রহমান এর মতো লোকেরা পত্রিকায় কলাম লেখেন; মানুষের শুভবুদ্ধি উদয়ের জন্যে।

অতি সাধারন মানুষ এ ভাবেই লেখাটিকে দেখে। এই পত্রকাররা নিজেদের বিবেকের তাড়নায় এক একটি সমস্যা বা অবস্থার বিশ্লেষন করেন। কিন্তু একথাটি বিশ্লেষন করেন না যে, তার এই বক্তব্যটি আসলে কাদের পক্ষে যাচ্ছে, যদি না তিনি জ্ঞানপাপী হন। জনগণের যে রূপটির কথা সবাই বলেন তার ধরন কি ? পিছনের দিকে তাকানো যাক । এক-ইলেভেন যে অবস্থার প্রেক্ষাপটে এসেছিল, সে অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের আপামর সাধারন মানুষ উদগ্রীব হয়ে ছিল বিগত কয়েক দশক।

কিন্তু সে অবস্থা পাল্টানোর ক্ষমতা তাদের হাতে কোনদিনই ছিলোনা বলেই এক-ইলেভেন এর পথ ধরে যোগ্য কিম্বা অযোগ্য যে সরকারই এসেছে তাকে তারা সাদরে মেনে নিয়েছে বলবোনা, বলবো- সাদরে বরন করে নিয়েছিলেন। এই দিবালোকের মতো সত্যটি একমাত্র তারাই অস্বীকার করবেন, যারা এই গরীব দেশটির অসহায় জনগণের সম্পত্তির একটি ফুটো পয়সা হলেও চেটেপুটে খেয়েছেন এবং ভবিষ্যতের জন্যেও সে আশা পুষে রেখেছেন। অথচ গণতন্ত্রের ধূয়া তুলে সুবিধাবাদীরা শুরু থেকেই এর বিরূদ্ধে বিষোদ্গার করতে লেগেছিলেন। এরা কারা ? এরা নিশ্চয়ই সাধারন মানুষ নন ? এদের গণতন্ত্র পূজাঁর নমুনা হলো - কেবলমাত্র কাটাতারের বেড়ার এপাশে থেকে দূর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত দলীয় নেত্রীদের মুক্তির দাবীতে ফলমূল আর মালা নিয়ে সোচ্চার হওয়া। আর সুযোগ পেলেই শুধুমাত্র দূর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত ছেলেপুলেদের সাফাই গাওয়া।

উভয় ক্ষেত্রেই “জনগণ মেনে নেবে না” কিম্বা “জনগণ অমুকের মুক্তি চায়”এই ধুঁয়া তুলে জনগণকে টেনে আনা হযেছে। কেন ? কারন শুভ রহমানের কথামতোই দূর্নীতিবাজরা কারামুক্ত হলো কিনা তা নিয়ে সাধারন মানুষের কোনও মাথাব্যথা নেই। তারপরেও কথায় কথায় জনগণকে টেনে আনা হয় কেন ? জনগণ প্রতিবাদ করেনা বলে ? নাকি জনগণ নিজেরাই জানেনা তারা জনগণ পদবাচ্য কিনা , কিম্বা আসলেই জনগণ কিনা ?সব দূর্নীতিবাজদের বাদ দিয়ে কেবলমাত্র দুএকজন টপ-দূর্নীতিবাজদের মুক্তি চাওয়া হবে রাজপথে নেমে, এই প্রক্রিয়াটি কোন গণতন্ত্রের সঙ্গায় পড়ে ? দলের বাকী লোকদের আলাদা চোখে দেখা হবে কেন ? এই কাজটি করে , যারা কাজটি করছেন, তারা কি বুঝতে পারছেন না যে তারা গণতন্ত্রের একশো মাইলের মধ্যে দিয়েও হাটছেন না ? এই শ্রেনীর লোকের মুখে গণতন্ত্রের কথা, জনগণের কথা শুনতে তো আমরা রাজী নই। আবারো পেছনে যাচ্ছি ব্যাপারটি ভালোভাবে বোঝার জন্যে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যর্থ বলে একশ্রেনীর লোক চেঁচিয়ে গেছেন।

তারা এই ব্যর্থতার পেছনের আসল কারনটি কিন্ত বলেননি। যা বলছেন তা হলো এই- নির্বাচিত সরকার নেই বলে এই অবন্থা। গোয়েবলস্ ষ্টাইলে প্রচারিত এই অসত্য কথাটি কি, যে জনগণের দোহাই তারা পাড়ছেন, তারা মেনে নিয়েছেন ? জনগণ এতো বোকা নয়। সে সময়ের দ্রব্যমূল্যের ফাঁস গলায় নিয়েও কিন্তু তারা পথে নামেনি, একটিও আঙ্গুল তোলেনি। সব কষ্ট সহ্য করে গেছে ।

বলবেন, জরুরী অবস্থার কথা। কিন্তু এই জরুরী অবস্থার মধ্যেও সুবিধাবাদীরা কিন্তু দল বেঁধে এসে কাটাতারের পেছনে দাঁড়িয়ে উচু গলায় চেচিয়েছেন। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারীর দল বীরদর্পে শো-ডাউন করছেন কেবলমাত্র জামিনে মুক্ত হওয়া ধীকৃত রাজাকার সর্দারকে নিয়ে। তাহলে যে জনগণের দোহাই পারা হয় সেই বিশাল জনগনের রাস্তায় নামতে বাঁধা ছিলো কোথায় ? বাঁধা ছিলোনা। তারা এই কাজটি করেননি এই জন্যে যে, তারা আর গত তেত্রিশ বছর ধরে গণতন্ত্র- গণতন্ত্র বলে চেচিয়ে মুখে ফেনা তোলা লোকজনদের আর দেখতে চাননি বলে।

তেত্রিশ বছরের রাজনীতির ধরন তাদের বোঝা হয়ে গেছে বলে। যে রাজনীতি দেশকে শুধু পেছনে ঠেলেছে আর কদর্য মানসিকতার জন্ম দিয়েছে। নইলে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে লিখতে হতো না - “ বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসাবে না মানলেও যাকে স্বাধীনতার একজন প্রধান স্থপতি বলে বিএনপি স্বীকার করে, তার মর্মন্তুদ মৃত্যু দিবসে ( যে দিবসে তিনি পরিবারের অধিকাংশ সদস্য সহ বর্বর ঘাতকদের হাতে প্রান দিয়েছেন ) তারই নেত্রীর পর্বতসম কেক কেটে ঘটা করে জন্মদিন পালন করার বিকৃত মানসিকতা…” ইত্যাদি ,ইত্যাদি । দোষটি কি রাজনীতির ? মোটেও নয়। রাজনীতির মধ্যে দিয়েই তো একটি দেশের জনগণ গণতন্ত্রের চর্চ্চা করে, এগিয়ে যায় সমৃদ্ধির দিকে।

একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় তাদের আশা-আকাঙ্খা পূর্ণতা পায় এই রাজনীতির কল্যানেই। রাজনীতি তো দেশ নামের মটরগাড়ীটির ষ্টিয়ারিং। গাড়ীকে সোজা পথে চালানোই তো ষ্টিয়ারিং এর কাজ। কিন্তু ষ্টিয়ারিংটি যদি আহাম্মক ও নির্বোধ ড্রাইভারের হাতে থাকে তবে যাত্রী সহ গাড়ীটি তো ব্রীজ ভেঙ্গে নদীতে পড়বেই। নিহত যাত্রীদের লাশ দেখে পথচারীরাও দুঃখ পেতেই পারেন।

ড্রাইভিং এর নিয়ম-কানুন ভাঙ্গা আনাড়ী ড্রাইভারটিকে কিন্তু পথচারীরা শাস্তি দিতে পারেননা। সে ক্ষমতাই তাদের নেই। কারন তাতে আইন নিজের হাতে তোলা হয়েছে এই অভিযোগে জনগণকেই ভুগতে হবে। জনগণ শুধুমাত্র ঐ পথচারীদের মতোই। কেবল দুঃখই পেতে পারেন।

কেবল ভোট ছাড়া যে জনগণের আর কোনও ক্ষমতাই নেই, রাষ্ট্র চালাতে কিম্বা নীতি নির্দ্ধারনে যে জনগণ অপাংতেয়ই থাকেন সারা বছর, সে জনগণকে কেন কথায় কথায় টেনে আনা হয় ? যে সংবিধান জনগণের জন্যেই প্রনীত সেই সংবিধান সংশোধনে জনগনের মতামত (গণভোট)নেয়ার নাকি বিধান নেই । তাহলে কেন সেই জনগণেরই দোহাই পারা হয় রাজনৈতিক দলগুলোর দাবী আদায়ের (বিপদে পড়লেই) জন্যে ? আর এই দাবীগুলোর ধরন কি ? অমুক নেতার মুক্তি চাই, অমুকের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর… ইত্যাকার ব্যক্তি বিশেষ সংক্রান্ত আবদার জাতীয় দাবী আর তার সাথে নিরীহ জনগণকে টেনে এনে জিগির তোলা –“ ……জনগণ মেনে নেবেনা…” । আপনি নিজে কি এই জনগণের মধ্যে পড়েন ? আপনি কি সংসদে বসে কারো নামে “গণভবন” লিখে দেয়ার জন্যে আবেদন করেছিলেন ? কিম্বা কাউকে বাড়ী ছাড়তে বলায় ক্রোধান্বিত হয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন ? তাহলে আপনি কেমন “জনগণ” ? আমি যে এই জনগণের মধ্যে পড়িনা, তা আমি জানি । তাহলে আমাকে ধরে কেন টান দিচ্ছেন ওনারা ? ভালো করে ভেবে বলুন তো, আপনিও কি তাহলে সেই “জনগণ” ???????

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.