আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এছাড়া উপায় ছিলোনা সেজুতি_শিপু

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

গেলো রাতে দু’ঘন্টা ধরে পাঁচ পাঁচ বার চেষ্টা করেও আপনার চিন্তাদীপ্ত মন্তব্যের জবাব যথাযথ জায়গায় দিতে পারা গেলোনা । আমার নেটের স্পীড হয়তো কম তাই । অথচ আমার মনে হ’লো উত্তরটি দেয়া জরুরী ।

তাই সরাসরি পোষ্টের চেষ্টা করছি । যদি লেগে যায় !!!! সেজুতি, আপনার জানতে চাওয়ার প্রেক্ষিতে আমার একটি অপত্রস্থ বেশ পুরোনো লেখা তুলে দিলুম । দেখুন, ভাবুন -- একদম শেষে আপনার জন্যে কিছু ভাবনার জিনিষ দিলুম । শ্রদ্ধেয় শফিক রেহমান, সম্পাদক সাপ্তাহিক যায় যায় দিন । অনেকদিন আগে আপনার সম্পাদিত “যায় যায় দিন” এ ছাপানোর জন্যে “ভোট, না ভোট”শিরোনামে একটি লেখা পাঠিয়েছিলাম।

বিষয়বস্তু ছিলো (শিরোনামটি খেয়াল করলেই মূলবক্তব্যটি বোঝা সহজ হবে) যে কোনও ভোট, বিশেষকরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদলের সময়টিতে অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনে প্রদত্ত হলে তা জনগনের আকাঙ্খা পুরনে সহায়ক হয় কিনা কিম্বা তা থেকে আমাদের মতোন দেশের সাধারন মানুষের আদৌ কোনও ফয়দা হাসিল হয় কিনা ইত্যাকার আলোচনা। লেখাটি পাঠানো হয়েছিলো গত (২০০১সালের) জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে। তখন আপনি সম্ভবতঃ ব্যস্ত ছিলেন দেশের এককোটি নব্যতরুনকে একটি সুখপাঠ্য লেখার কাজে। (কেন‘সুখপাঠ্য’শব্দটি বেছে নিলাম তার একটি জবাব হয়তো পাওয়া যাবে এই পুরো লেখাটির মর্মাথে। ) সুতরাং ঐ ক্রান্তিকালে আমার লেখাটি সংগত কারনেই (আপনার কাছে) আপনার পক্ষে ছাপা সম্ভব ছিলোনা।

আমি নিজেও জানতাম, অনেকের পক্ষেই আমার লেখাটি ছাপানো সম্ভব নয় এর বিষয়বস্তুর কারনে। এই কারনটিও এই লেখার মধ্যেই পেয়ে যাবেন । প্রায় প্রতিটি মানুষের অবচেতন মনে ‘ভোট’একটি অবসেশন হয়ে দাঁড়িয়েছে আর এর বাইরে সে যেন অন্য কিছু ভাবতেই পারেনা । লেখাটি ছাপা না হওয়ার এটি একটি গৌণ কারন মাত্র। আমার লেখা ছাপা না হওয়াতে আমি মোটেও দুঃখিত বা হতাশ নই ।

বরং আমার লেখার বিষয়বস্তুর ঠিক বিপরীতে আপনার ঐ ‘এককোটি তরুনের কাছে’ লেখাটি পড়ে আমি নিজেও হাযারো পাঠকের মতো আপনাকে বাহ্বা দিয়েছি । আপনার দেশপ্রেমের তীব্র আকাঙ্খাকে সম্মান জানিয়েছি । সমাজ আর মানুষকে সচেতন করে তুলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আপনার যাবতীয় প্রচেষ্টার সাথে সাথে এ প্রচেষ্টাটুকুকেও বড়ই আন্তরিক মনে হয়েছে । ভেবেছিলাম, প্রকারান্তরে যে সকল কর্ণের জন্যে এই আকুতি আপনার, তা বোধহয় এবার সেইসকল ‘কর্ণকুহরে’প্রবেশ করবে । দেখা গেল তা হয়নি ।

আর হয়নি বলেই আপনাকে আবারো আমার এই লেখা। আমার ছাপার মুখ দেখতে না পাওয়া লেখাটির বিষয়বস্তু ছিলো, বাংলাদেশের অতীত ও বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি যাবতীয় ‘নৈতিক’প্রেক্ষাপটে সাধারন জনগণের জন্যে ভোটপ্রদান কোনও প্রকার সুফলতা বয়ে এনেছে কিনা কিম্বা আনবে কিনা তার বয়াণ । আর এই ভোট প্রদান করতে গিয়ে ভোটার যে দায়ভার মাথায় তুলে নেন তার বোঝা ভোটার কোনদিন বইতে পেরেছেন কিনা তাও । এই বক্তব্যের কারনেই আপনার পক্ষে সেদিন আমার লেখাটি ছাপতে দেয়া সম্ভব হয়নি । অবশ্য পত্রিকায় লেখা পাঠালেই যে ছাপতে হবে এমন কোনও কথা নেই ।

আপনার কথামতো শতশত তরুন ভোট কর্মে যে পরিবর্তন ঘটিয়েছে তা কেবল মুদ্রার এপিঠটাকে ঘুরিয়ে ঐপিঠ করে দেয়া । আপনার আবেদন ছিলো, একটি পরিবর্তন যা এদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করবে , দেবে নিরাপত্তা , দেবে বাঁচার গ্যারান্টি । আপনার আকুল আবেদন আর কোটি তরুনের তাতে সাড়া দেয়া , এইদু’টি প্রচন্ড শক্তিশালী প্রক্রিয়াও ‘‘আমার ভাই – তোমার ভাই”জাতীয় জনগণের সেবা করতে করতে মৃতপ্রায় মুষ্ঠিমেয় জনহিতৈষী (?) প্রানীদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে । জিতেছে তারা আর ঠকেছেন আপনি আর দরিদ্রজনগণ । যে ঠকা তারা প্রতিবারই ভোটপ্রদান করে ঠকে থাকে ।

আর আমার উক্ত লেখাটির বিষয়বস্তুও ছিলো তাই ই । একজন সত্যনিষ্ঠ আর নির্ভীক শফিক রেহমান নিশ্চয়ই এই জ্বলন্ত সত্যটি অস্বীকার করবেন না ! শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, আপনার মূল্যবোধ আর দেশের প্রতি আপনার কমিটমেন্ট এর উপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখেই বলছি-কেবলমাত্র ভোট প্রদান করে আমাদের অবস্থার সামান্যতমও পরিবর্তন করা যাবেনা । আমার সেই ছাপা না হওয়া লেখাটি থেকে একটি লাইন তুলে ধরে আমি আবারো বলতে চাই - ‘‘শাসকশ্রেনী কোনও দিনই বা কোনমতেই শোষিত জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনা। ” ইদানীং কালের যাযাদি’র লেখায় , তার বিভিন্ন বক্তব্যে জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী যে হতাশা প্রতিনিয়ত ফুঁটে উঠছে তা আমার বক্তব্যকেই দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করছে ধীরে ধীরে । আমার উক্ত লেখায় আমি, এতোদিন ধরে ভোট দিয়ে আমাদের প্রাপ্তির একটা হিসাব দিতে চেষ্টা করেছি ।

প্রাপ্তির এই হিসাবটা বাস্তবে কোনদিনই সুখকর হয়নি , আমার লেখাতে তো বটেই । এর সপক্ষে প্রমানও উপস্থিত করেছি , উদ্ধৃতি দিয়েছি ভদ্রজনের । এমনকি আপনার সেই ঐতিহাসিক লেখাটিতেও আপনি এ কথা স্বীকার করে লিখেছেন , ‘‘১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের পর ৩০বছর পেরিয়ে গিয়েছে । অথচ এখন পর্যন্ত কোনও সরকার তোমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে পারেনি । ......কোন ও নেতাই তোমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি ।

” এই যে না পারার কারন, তাতো নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয় ? ‘ফর মি, বাই মি’র গনতন্ত্রে এটাই একমাত্র ফলাফল । এই সত্যটি জেনেও আপনি ঐ রকম একটি লেখা লিখেছেন অনেক আশা নিয়ে । কিন্তু সবই গুড়ে বালি । আপনার ৩০বছরের দেখা সত্যকে পাশ কাটিয়ে আপনারই নিজ লেখনীতে যে আশার আলো ফুটবে বলে আপনি প্রত্যাশা করেছিলেন তা ‘ফর মি, বাই মি’র গনতন্ত্রের যাতাকলে পড়ে গুড়োগুড়ো হয়ে গেছে । আমাদের ষ্টাইলের গনতন্ত্রে এটাই একমাত্র ভাবে অবশ্যম্ভাবী ।

কারন, লক্ষলক্ষ গৃহহীন মানুষের গৃহসংস্থানের জন্যে যে সংসদ ও জনপ্রতিনিধিদের কোনও মাথাব্যথা নেই বরং দরিদ্র জনগনের কোটিকোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি ব্যক্তি বিশেষদের বরাদ্দ দেয়ার জন্যে আইন পাশের মহাউল্লাস করা হয় (এইক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তির নগদ মূল্যের সাথে আইনটি পাশ ও পাশ পূর্ব আলোচনার জন্যে ব্যয়িত সময়ের সংসদ চলার খরচ যোগ হবে ) সেখানে এরকম লেখা আপনাকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর লিখতে হবে । প্রার্থনা যদি হয়, আপনি শতায়ু হোন; তবে সেক্ষেত্রেও আপনাকে সম্ভবতঃ আরো পাঁচ ছয়টি লেখা লিখতে হবে। এবং প্রতিবারেই সরল অংকের মতোই ফলাফলটি হবে- ‘‘শূণ্য”। যেমন আপনার পত্রিকার বর্ষ: ১৯ ,সংখ্যা: ৩১ এ আপনারই সুযোগ্য কলামিষ্ট জনাব মাহতাব কায়সার লিখেছেন-‘সাধারন ভোটাররা যে বিপুল আশা নিয়ে ভোট দিয়েছিলেন তার বহুকিছুই তারা পুরন করতে পারেনি । এতে অনেক ভোটারই ক্ষুব্ধ হয়েছে......’ ।

তিনি আরো লিখেছেন, বাস্তব অবস্থা দেখে তারা শুধু হতাশই হচ্ছেনা, বরং আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এই যে ‘আতঙ্কিত’হবার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া, এটা তো হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর শ্রেনী স্বার্থে | তাদের কায়েমী সুবিধা বজায় রাখতে শাসন ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তাকে তো পাশ করতেই হবে । সেকারনে একটা হুলস্থুল জাতীয় আবহাওয়া তৈরীর মধ্যে দিয়েই তারা নেমে পড়েন ভোটযুদ্ধে । আর আমরাই সে ভোট যুদ্ধের আয়োজক এবং অংশগ্রহনকারী । নিজের পায়ে নিজে কুড়োল মারার এমন নজির আর দ্বিতীয়টি নেই ।

এভাবেই আমরা মূর্খ জনগণ নিজেরা বেগার খেটেখুটে রাজমুকুটটি তাদের মাথায় তুলে দিয়ে, তাদের শাসকের আসনে বসিয়ে পাসের ‘সার্টিফিকেট’টি তাদেরই হাতে তুলে দিই । মূল কথায় আসি – না ভোট প্রসঙ্গ । এখন বলতে পারেন , এজন্যে কয়টি নির্বাচন প্রতিহত করতে হবে ভোট না দিয়ে , লাগবে কয় বছর ? আপনার কথাতেই বলি, ত্রিশ বছরেও যখন আমরা কিছুই পাইনি তখন আরো দশটি বছর না হয় দেখলাম । এ সময়ের মধ্যে দু’টি নির্বাচন ঠেকাতে পারলেই হবে । আসলে কি এতো সময় লাগবে ? লাগবে না ।

কারন কোনও অনির্বাচিত বা জন-সমর্থনহীন সরকারের (রাজনৈতিক বা সামরিক)পক্ষেই বেশীদিন মসনদ আগলে থাকা সম্ভব নয় । উদাহরন দেবেন এই বলে যে, সামরিক সরকার গুলো তো অনেক বছর ক্ষমতায় থেকে গেলো । ভালো করে ভেবে দেখুন কেন সেটি সম্ভব হয়েছে । হয়েছে, কারন এক শ্রেনীর লেজুড়বৃত্তিকারী ক্ষমতালোভী লোক উর্দিপড়া ব্যক্তিটিকে রাজনীতিতে নামতে সাহায্য করেছে এবং যেনতেন প্রকারে একটি “ভোট নাটক” মঞ্চস্থ করে তার মসনদ পাকা করে দিয়েছে আর নিজেরা হালুয়া-রুটির ভাগ নিয়েছে । অর্থাৎ এক্ষেত্রেও “ভোট” একটি মারাত্মক এবং একমাত্র সহায়ক এর ভুমিকা নিয়েছে ।

এরাই যদি জানতেন ভোটের মাঠে গুটি কয়েক কাক-পক্ষী বাদে আর কোনও কাক-পক্ষী উড়বেনা তখন গদি বাঁচাতেন কি করে ?সোজা কথায় ভোট হলো একটি সার্টিফিকেট যা না থাকলে কোনও হাটে বিকানো যাবেনা । এখন প্রশ্ন হতে পারে, ভোট প্রতিহত করা যাবে কি ভাবে ! কেউ না কেউ তো ভোট দিতে যাবেই । ঠিক । কিন্তু কারা যাবে ? যারা যাবে তারা কেবলমাত্র স্ব স্ব রাজনৈতিকদলের কর্মীরা এবং প্রার্থীদের আত্মীয়েরা । এরা সংখ্যায় কতো ? সর্বোচ্য ১০% ।

তাহলে যেখানে ৩৫ থেকে ৪০% ভোটারের উপস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ পড়ে যায় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে সেখানে এই ১০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি কি কোনও তথাকথিত বিজয়ীকে বৈধতা দেবে ? তাছাড়া একজন বিজয়ীকে তো ঐ ১০ শতাংশের কমপক্ষে ৫১ ভাগ পেতে হবে । সমগ্র ভোটারের সংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যা কি তাকে বৈধতা দেয়ার জন্যে যথেষ্ট ?যেখানে ৯০% ভোটারই ভোট প্রদানে বিরত ? বলবেন, এরপরেও তারাই গায়ের জোরে থাকবে । যদিও ইতিহাস সে কথা বলেনা । তাহলেও ভেবে দেখুন, গায়ের জোরে থেকে গেলে আমাদের যে দফারফা । এক্ষেত্রে আমাদের শ্বান্তনা শুধু মাত্র এই যে, তাদের কৃতকর্মের দায়ভার আমাদের নয় ।

আমাদের যে দফারফা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ একটি কাজ । আর নির্বাচিত সরকারের কাছে আমরা কি এই দফারফা অবস্থা থেকে ভালো আছি, না ছিলাম কোনওকালে ? এই ক্ষেত্রে আমাদের কোনও শ্বান্তনাই নেই কারন ভোটটি দিয়ে সরকারের সব কাজকে তো আমরা বৈধতা দিয়ে দিয়েছি সুতরাং আমরাও তার জন্যে দায়ী । এখানে আমি একটি মেসেজ ই দিতে চাচ্ছি, “ ইট ইজ দ্য আলটিমেট রেজাল্টস দ্যাট কাউন্টস” । আমার আগের ছাপা না হওয়া লেখাটি আর এই লেখাটির পরেও মেঘনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে । ঘোলা জল আর তার তান্ডব যে দিনে দিনে বাড়ছে তা আমরা সবাই যেমন দেখতে পাচ্ছি দেখতে পাচ্ছেন আপনিও ।

আপনার কি মনে হয়না, সেই জলের তোড়ে আমরা সবাই গলা পর্য্যন্ত ডুবে গেছি । আর ক’দিন বাকী সবটুকু তলিয়ে যেতে ? এবার সেজুতী আপনাকে বলি, গণতান্ত্রিক পথে শর্টকাটের রাস্তা এছাড়া আর নেই । প্রথমে যদি একটি নির্বাচনে ৩০% ভোটার উপস্থিত হয় তবে হয়তো একটি নড়বড়ে সরকার গঠিত হবে । শুরু থেকে তো করবেনই তারপরে না হয় দুবছরের মাথাতেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হৈচৈ জুড়ে দেবেন নতুন করে নির্বাচন দিতে । এই সরকার টালবাহানা করে আরো একটি বছর থাকবেন তারপরে আন্তর্জাতিক চাপ (অর্থ সাহায্য বন্ধ, পুরানো ঋনের সুদ ফেরত, পীসকিপিং ফোর্সে লোক পাঠানো বন্ধের হুমকি ইত্যাদি) সইতে না পেরে অন্তর্বতী একটি নির্বাচন ডাকবেন ।

যার অর্থ আমরা দুটো বছর আগে বেঁচে গেলুম । পরবর্তী নির্বাচনে যদি আবারো একই চিত্র দেখা যায় তাহলে কি হবে ? এবার নতুন সরকার গঠনে হিমশিম খেতে হবে । আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের চাপ বাড়াবেন আরো । আন্তর্জাতিক রাজনীতির রেখাচিত্র আপনার জানা থাকলে আপনি সব বুঝতে পারবেন । এখন যদি এই ডামাডোলে সামরিক সরকার এসে যায় তবে তার স্থায়ীত্বকাল কতো ?বেশী না ।

বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির ধারার প্রেক্ষাপটে বুদ্ধিমান কেউ এ ঝুঁকি নেবেনা । যদি নেয় ও বেশীদিন টিকতে পারবেনা । তাকে আবার নির্বাচিত কারো না কারো হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবেই । এখানে তার আয়ুষ্কাল বড়জোড় এক বা দু’বছর । এর পূনরাবৃত্তি চলবে ।

তাহলে কি হতে পারে ? রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা তখন বুঝে যাবে হালে পানি পাওয়া যাবেনা আর । খেল খতম । দেশ তো আর সরকার বিহীন চলতে পারেনা দীর্ঘকাল । তখন বাধ্য হয়েই জনগণ যারা ভোটদানে বিরত ছিলো এতোদিন তারা ভালো মানুষগুলোকে টেনে এনে ক্ষমতা তুলে দেবে, যে ভালোমানুষের জন্যে আমরা আকুল হয়ে আছি । অথবা মন্দ মানুষগুলো সব দেখেশুনে এবং ঠেকে ভালো হতে চেষ্টা করবে ।

আপনার কথামতো শাপমুক্ত হবে । একই সাথে আমরাও । আর এর বাইরে আরো একটি খুবই শর্টকাট আছে । য়্যু জাষ্ট হ্যাভ টু ইরেজ আ টেন থাউজ্যান্ড পিপল সিম্পলি ফ্রম দ্য ফেস অব দ্য কান্ট্রি । কিন্তু এটি একটি অসম্ভব এবং একাধারে অবাস্তব পথ ।

যদি আপনি গণতন্ত্রকেই চান তবে আমার মনে হয় যা বললুম তাছাড়া আমাদের নিস্কৃতি নেই কোনওকালে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.