আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একুশের চোখে, বাংলার চোখ, ধর্মের চোখে ভেজাল-হারাম-জাল

ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো

একুশের চোখে গতকাল তিলোত্তমা নগরী ঢাকার নামাজি রোজাদার সম্ভ্রান্ত মুসলিম ব্রাদারদের সুপারশপে কেনা ইফতার আর সিস্টারদের কসমেটিকসের যে জাল-ভেজালের সংবাদ প্রচারিত হইসে তা ফেবু মাধ্যমে ব্যাপকহারে ছড়াইসে। সুপার শপে রেবের যে অভিযান সেইটা তীব্র বর্ণবাদে দুষ্ট। কেন শুধু ঢাকায়, কেন চট্টগ্রামে না, কেন মফস্বলে এমন অভিযান হয় না জনাব? কারণ লোকবল নাই। ঢাকাই কন্ট্রোল করতে পারেন না। আমাদের আছে চকচকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সেইখানে কেউ যায় না অভিযোগ করতে। আরে মিয়া যে কঠিন নাম দিসো, এইটার কাম কি সেইটা আম পাবলিক বুঝতে বুঝতে আর খুইজা পাইতেই খবর হইয়া যাইবো। লোকে বিএসটিআই সিল না থাকলেও গা করবে না। আর খাবারের ব্যাপারে শুয়োর ছাড়া সবই হালাল। আর টুপি পড়া ভদ্রলোকে মুরগি বেচলে সেইটা খারাপ বলবে কে? পচা ইফতার বিক্রি শেষে উনারেই তো দেখবেন তারাবিহ পড়তে গেসেন, রহমত নাজাত চাইতেছেন খোদার কাছে।

তাইলে সমস্যাটা আসলে কোথায়? রেব+মেজিস্ট্রেট অভিযান কইরা মোট সাড়ে ছয় কোটি জরিমানা তুলসে দুই বছরে। লাভ হয় নাই কিসুই। যেমন স্টাইলে চলতেছিল তেমনি চলতেছে। সেইসব দোকানে বড়লোকের বড়পোলাদের ভিড় কমে নাই। টাকার অংকে দুই বছরে সাড়ে ছয় কোটি কিছুই না।

এরথেকে ১০০ গুন রাজস্ব আয় শুধু হালাল বোর্ড বানায়ে করা যায়। ইংরাজি তর্জমা কইরা বিদেশের আদলে 'ভোক্তা অধিকার' না ফলায়ে যেইটা মানুষের জন্য সহজবোধ্য, যেইটা মানুষ সহজে বুঝতে পারবে এবং ফলো করতে চাইবে তেমন নাম দিতে হবে। যেমন- হালাল বোর্ড। এরা হালাল সার্টিফিকেট দিবে। দেশের আলেম সমাজের শীর্ষ ব্যক্তিরা বোর্ডে থাকবেন, সাথে ডাক্তার, ফুড ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ীরা।

বিএসটিআই সিলের চেয়ে হালাল সিলে লোকের নজর কাড়বে। তাই নিজেদের পন্যে হালাল সিল নিতে উত্পাদনকারী, বিক্রেতারা ভিড় করবে, চোরাই মালের কদর কমবে। হালাল সারটিফাইড খাবারের দোকান থাকবে যাদের দোকানের সামনে সেই সিল দেয়া থাকবে নিচে তারিখ, কবে শেষ হালাল বোর্ডের সনদ নেয়া হইসে। সনদ পাইতে হইলে হালাল নিরীক্ষণ টিম আসবে, ঘুরে দেখবে কিচেন। এক দোকানে হালাল সাইন দেখে বেশি ক্রেতা আসলে অন্যরা নিজে থেকেই বোর্ডে লাইন দিবে সনদ নিতে।

অভিযান চালায়ে কেউ হাতেনাতে মরা মুরগি, ফরমালিন দেয়া ফল বেচতে দেখলে সামনে নন-হালাল সিল দিয়ে যাবে বোর্ড। এরপরে আর ব্যবসা করা লাগবে না সেই দোকানের। নিজে থেকেই তারা মান বাড়াইতে তত্পর হবে। হালালের যে সেন্স, মানে শুয়োর ছাড়া অনেক কিছুই যে হারাম হইতে পারে, সেইটা ছড়াইতে মসজিদে মসজিদে বয়ান দরকার আছে। টিভিতে অরস্যালাইন, শিশুকে টিকা দিনের মতো প্রচারণা দরকার পড়বে।

কিন্তু এইটা হইতে পারে সরকারের রাজস্ব আয় আর গুণগত মান কন্ট্রোলের একটা হাতিয়ার। এইখানে উপকার শুধু জরিমানার টাকায় না, আসল উপকার হইতেছে পাবলিকরে ভালো জিনিস খাওয়ার, ব্যবহার করার একটা সুযোগ কইরা দেওয়া। পাবলিক হেলথের উন্নতি মানে দেশের উন্নতি

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।