আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'সাকা অসুস্থতার ভান করেছেন'



কারাগার থেকে আদালতে নেওয়ার সময় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী অসুস্থতার 'ভান' করেছেন বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার সালাউদ্দিনকে মঙ্গলবার কারাগার থেকে পুরনো হাইকোর্ট ভবনে স্থাপিত ট্রাইব্যুনালে আনতে দেরি হওয়ায় শুনানি শুরু হয় ঘণ্টাখানেক দেরিতে। সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও তিনি পৌঁছান ১১টার পর। সালাউদ্দিনকে প্রিজন ভ্যান থেকে এজলাসে নেওয়া হয় কোলে করে। কাঠগড়ায় কয়েকটি চেয়ার পরপর সাজিয়ে তাকে শুইয়ে রাখা হয়।

শুনানি শেষে আদালতের আদেশে বল হয়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী অসুস্থ হিসাবে 'পোজ' দিয়েছেন। আদালতে তিনি খুবই উচ্চস্বরে বক্তব্য দিয়েছেন; চিৎকার করেছেন। এতে আদালতের মনে হয়েছে, তিনি অসুস্থতার ভান করছেন। কারণ অসুস্থ ব্যক্তি এতো জোরে কথা বলতে পারেন না। আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু সাংবাদিকদের বলেন, "সাকা চৌধুরীকে নিয়ে বিভিন্ন কথা প্রচলিত রয়েছে।

আজ তিনি আদালতে উদ্ধত আচরণ দেখিয়েছেন। তিনি আদালতের প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধাও দেখাননি। " আদালতের আদেশে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আটক রেখে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তাকে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি তার বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন আগামী ১৯ জুন দাখিল করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল। সাকা চৌধুরীকে দেরিতে আদালতে হাজির করা নিয়ে ট্রাইব্যুনাল অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে আসামিদের যথাসময়ে হাজির করার ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিআইজি প্রিজনকে নির্দেশ দেয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সাকা চৌধুরীর কোনো নিয়োজিত আইনজীবী নেই। তারপরও পর্যবেক্ষক হিসাবে ১০-১৫ জন আইনজীবীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিসিটিভিতে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক আইনজীবী প্রবেশ করতে চাচ্ছেন। আসন স্বল্পতার কারণে সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া সম্ভব নয়- এ কথা জানানোর পরও তারা সবাই প্রবেশ করতে চেয়েছেন। "ভবিষ্যতে এটা করা হলে নিয়োজিত আইনজীবী ব্যতীত অন্যদের আদালতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

" আদেশের পর প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের বলেন, "সাকা চৌধুরী আদালতে বিশেষ ভঙ্গিতে বক্তব্য দিয়েছেন। তার আচার-আচরণ ছিল পরিকল্পিত। এটা তার অভ্যাসগত বিষয়। " অবশ্য সাকা চৌধুরীর পুত্রবধূ অ্যাডভোকেট দানিয়া খোন্দকার সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, উচ্চস্বরে কথা বললেই একজন অসুস্থ মানুষ সুস্থ হয়ে যায় না। দানিয়া বলেন, "আদালতে তিনি শরীরে নির্যাতনের দাগ দেখিয়েছেন।

নির্যাতনের ভয়েই তিনি সেফ হোমে যেতে চাইছিলেন না। "


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।