আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেহেদি।

স্বপ্নরা ডানা মেলুক ইচ্ছে মত ..নীল আকাশে.

ভাবছিলাম হাতে মেহেদি পরতে কার না ভালো লাগে! আমার তো দারুন লাগে! নিজে অবশ্য তেমন সুন্দর করে আকতে পারি না আল্পনা গুলো সেদিন কলেজে একটা মেয়ে খুব সুন্দর করে মেহেদি দিয়ে দিলো আমার হাতে..অনেক লাল হয়েছিলো..নিজেই অবাক হয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে থাকতাম ! বাসায় এসে ছোটো বোনটাকে দেখিয়ে ওকেও jelous বানিয়েছি কিন্তু একদম ই ভুলে গেলাম যে মেহেদি আমার জন্য নয়!! এটা হাত দেয়া নিষেদ আছে..আমি যেখানে কাজ করি সেখানে হাতে মেহেদি পরা মানা, চুল ছেরে কাজে আসা মান, কানে দুল থাকবে তবে শুধু একটা এবং তাও খুব ছোট্ট একটা কনো প্রকার ট্যাটু থাকতেই পারবে না তো এইসব মনে করে আমি ভাবছিলাম এখন যদি আমার বস দেখে তো কি বলা যায় পরের দিন কাজে গেলাম এবং অনেক ইচ্ছা ছিলো হাত লুকায়ে রাখবো..দেখতে দিব না..কিন্তু একদম এ মনে ছিলো না সুন্দর করে হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলছিলাম ..একদম ই মনে ছিলো না যে আমি অকাজ একটা করে বসে আছি তো যা হবার তাই হলো..ম্যাডাম আমাকে ডাকলেন আর বললেন :Young lady! come here! What is this? তোমার কাছ থেকে তো এটা আশা করিনি!! মনে মনে বলছিলাম কি বলে!! আমার থেকে যদি আশা না করে এইসব তো কার থেকে করবে!! এই অফিসে আমি একমাএ বাঙালি..আমিই তো এইসব করবো!! যাই হোক..তাকে খুব সুন্দর করে বুঝালাম দেখ..আমাদের একটা Fund Raising Bake Sale ছিলো কলেজে এবং আমরা অন্য স্টুডেন্টের হাতে হেনা আল্পনা করেছি..আর যে টাকা পেয়েছি তা জাপান সাহাজ্যের জন্য রেড ক্রস কে দিয়েছি। সেই জন্য আমার নিজের হাতেও করতে হয়েছিলো!! (এইটি সত্য কথা মিথ্যা নয়) তো এই শুনে তিনি তো হা খুশি..মহত একটা উদ্দেশ্য ছিলো বলে আমাকে আর কিছু বলা হলো না উল্টা বাহবা দিলো.. এটা ছিলো পহেলা বৈশাখের ঠিক এক সপ্তাহ আগে.. ওই দিনের পর আমার আর ম্যাডামের সাথে দেখা হয়নি। তো তিন দিন আগে সবাই আবার বাংলা নব বর্ষের জন্য হাতে মেহেদি পরছিলো কলেগে..সবার পাল্লায় পরে আমিও পরলাম আর হাতে মেহেদি দেয়া শেষ হবার সাথে সাথে মনে পরলো!! হায় হায় আবার কি করলাম এইবার কি বলবো কিছুই মনে থাকে না আমার!! মনে মনে নিজেকে ১০০টা গালি দিলাম কিন্তু হাতে মেহেদিটা রাখলাম আর ভাবলাম যা হবার হবে! তখন দেখে নিব। পহেলা বৈশাখের পর কাজে গেলাম..এবং এইবার ও হাত লুকাতে পারলাম না আমাকে আবার ডাকা হলো আবার জিগ্গেস করলো..দেখি তোমার হাত!.. দেখালাম বলোলো এখনো যায় নি হেনা? চট করে মাথায় বুদ্ধিটা চলে আসলো..বললাম না এখনো যায় নি একটু সময় লাগবে..কেমিকেল তো..আস্তে আস্তে রং আসে আর আস্তে আস্তেই রং যায় সে আমাকে বললো কিন্তু আমার যতদুর মনে পরে গত সপ্তায় রং আরো কম ছিলো! এখন তো দেখি আরো বেশি লাল!! ঘটনা কি?? আবার দিয়েছো?? আমি নিরীহ একটা ফেস বানিয়ে বললাম.. না! না! কি বলছেন! এইকাজ আমি কেমন করে করি!! এর মধ্যে আমার এক co-worker আসলো..সে দেখে বললো..এই মেহেদি গুলো এমন ই হয়..প্রথমে রং হয় অল্প তার পরে হয় বেশি!! তো এই লোকের কথা শুনে আমার বস বিশ্বাস করলেন আমার কথা!! আর সরিও বললেন বিনা দোষে আমাকে Question করার জন্য মনে মনে আমি co-worker কে ১০০টা ধন্যবাদ দিলাম.. আসলে যে সেই মেহেদি চলে গিয়ে আবার নতুন রং লাগিয়েছি এটা এই বিদেশীনি বুঝলো না বোকা বানালাম আর ও একবার যদিও মনে মনে খারপ লাগছিলো কিন্তু আপাতত এই ঠিক মনে হলো এবং খুব ভদ্র মেয়ের মতো রুম থেকে বেরিয়ে এলাম আর তার পর আমার মুখের ইয়াবড়ো হাসিটা কেউ দেখলো না

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।