আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিমান্তে হত্যকান্ড চলছেই, কথা দিয়ে কথা রাখে না ভারত

My Name is Md E Mahmud, live in Dhaka, Work at Home

তোফাজ্জল হোসেন কামাল : সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র চালাবে না ভারত এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার মাস পেরুনোর আগেই ভারতীয় রেওয়াজ অনুযায়ী নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের ওপর অস্ত্র চালিয়ে হতাহতের ঘটনা অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত ১৩ মার্চ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বিএসএফের মধ্যে পাঁচ দিনব্যাপী সীমান্ত বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতীয় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। তখন বলা হয়েছিল সীমান্তে নিরস্ত্র বেসামরিক বাংলাদেশীদের হত্যা বন্ধে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অথচ সিদ্ধান্ত ঘোষণার ২৬ দিনের মাথায় ৮ এপ্রিল দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দাউদপুর সীমান্তে বিএসএফ গুলী চালিয়ে আবদুর রহিম নামে এক বাংলাদেশীকে গুরতরভাবে আহত করে। এ ঘটনার দু'দিনের মাথায় গত রোববার ১০ এপ্রিল ভোরে নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলীতে তিন বাংলাদেশী হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এ দুটো ঘটনা সাম্প্রতিক। ঘটেছে ভারতীয় সিদ্ধান্ত ঘোষণার ২৬ ও ২৮ দিনের মাথায়। এভাবে একের পর এক হতাহতের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে ভারত। এক একটি ঘটনার পর বাংলাদেশের পক্ষ হতে প্রতিবাদ জানানো হলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সান্ত্বনার বাণীই শুনিয়েছে। দফায় দফায় বলেছে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।

নেয়া হবে বিকল্প ব্যবস্থা। দু'দেশের সংশ্লিষ্টদের যৌথ সীমান্ত বৈঠকেও সীমান্ত হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আশ্বস্ত করার মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। আর এ কার্যকর না করার মধ্যদিয়েই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সীমান্তে হতাহতের ঘটনা অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনা বাড়তে বাড়তে গত ১০ বছরে সীমান্ত হত্যাকান্ডের শিকার নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের সংখ্যা সহস্রে দাঁড়িয়েছে। পিলখানাস্থ বিজিবি (সাবেক বিডিআর) সদর দফতর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিষয়ক যৌথ সম্মেলন গত ৮ মার্চ নয়াদিল্লীতে শুরু হয়।

৫ দিনব্যাপী যৌথ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে ১৩ মার্চ। সম্মেলনে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মহাপরিচালক রামন শ্রীবাস্তবা। ৫ দিনের সীমান্ত সম্মেলন শেষে বিএসএফ ভারতীয় সিদ্ধান্তের কথা যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। তখন বলা হয় প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে ভারত।

প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। সীমান্তে হতাহতের ঘটনা কমিয়ে আনার প্রচেষ্টায় সাফল্য অর্জিত হলে সমগ্র সীমান্তে এ ধরনের অস্ত্র বিএসএফকে দেয়া হবে। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ হতে মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি কিশোরী ফেলানি হত্যাকান্ডের ব্যাপারটি তুলে ধরলে বিএসএফের পক্ষে বলা হয় এ ধরনের ঘটনায় পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। যৌথ সীমান্ত সম্মেলনের আগ পর্যন্তও ঘটেনি বলে উল্লেখ করা হয়। যৌথ সীমান্ত সম্মেলন শেষে ভারতীয় সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর ৮ এপ্রিল দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে।

এর দু'দিন পর নওগাঁর পোরশায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ১০ এপ্রিল রোববার ভোরে নিতপুর সীমান্তের ২২৮/২ আর সীমান্ত পিলারের কাছেই বিএসএফ প্রাণঘাতী অস্ত্র চালায়। এতে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী সানাউল্লাহ (৪০) পিতা ফজলুর রহমান ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ সময় গুলীতে দু'জন আহত হয়। তারা হচ্ছে একই গ্রামের খোশ মোহাম্মদের ছেলে নাজমুল (৩৫) ও মকবুল হোসেনের ছেলে শহিদুল (৩০)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতের ১৮৩ ব্যাটালিয়নের হরিশচন্দ্রপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের উপর প্রাণঘাতী অস্ত্র চালায়। গুলীবিদ্ধ দু'জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত গরু ব্যবসায়ী সানাউল্লাহর লাশ বিএসএফ নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর বিজিবির স্থানীয় ৪৬ ব্যাটালিয়নের পক্ষ হতে কোনো নিন্দা বা প্রতিবাদ জানানো হয়েছে কি না- জানা সম্ভব হয়নি। জানার জন্য ঢাকা থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের টুআইসি মেজর গুলজারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি এড়িযে অন্যদের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

এরপর ল্যান্ডফোনে সংশ্লিষ্ট ৪৬ ব্যাটালিয়নে যোগাযোগ করা হলে দীর্ঘক্ষণ পর ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের (সিও) ল্যান্ডফোনে সংযোগ দেয়া হলে ওই কর্মকর্তার সহকারী হাবিলদার করনিক আতাউর রহমান কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে দেননি। এক পর্যায়ে সিও'র নাম জানতে চাইলেও বলা হয়নি। অনুমতি নিয়ে পরে জানানো হবে বলে জানিয়ে ল্যান্ডফোন সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। পিলখানা বিজিবি সদর দফতরে যোগাযোগ করা হলে জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এ সময় বিজিবির মহাপরিচালক বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, ওনাদের সাথে কথা বলে কি হবে।

কথা বলার দরকার নেই। বিএসএফের যত ঘটনা : ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (এএসএফ) গত ১০ বছরে প্রায় সাড়ে ৯শ' বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। কখনও ধানক্ষেতে গুলী করে কৃষককে মেরেছে। কখনও নৌকার মাঝিকে কিংবা পাথর কোয়ারির শ্রমিককে। শিশু-কিশোর-নারীরাও বিএসএফের নির্বিচার হত্যাকান্ড থেকে রেহাই পায়নি।

আর গরু ব্যবসায়ীরা প্রায়ই রাতের অন্ধকারে হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কখনও এসব হত্যাকান্ডের জোরালো প্রতিবাদ করেনি। সরকার কখনও বলছে এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বলা হচ্ছে, এসব ঘটনা দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। যেমনটি ঘটেছে গত জানুয়ারিতে ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানীকে খুব কাছ থেকে ঠান্ডামাথায় গুলী করে হত্যার পর।

কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা কিশোরী ফেলানীর লাশ বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের বিবেককে নাড়া দিলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, এটি একটি আকস্মিক ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা, যা প্রতিবেশী দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলেনি। ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সীমান্তের পর ভারত বাংলাদেশ সীমান্তেই কেবল নির্বিচারে এভাবে বেসামরিক মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটছে। ফেলানী হত্যার পর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে খবর হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার প্রতিবাদ জানিয়েছে। শুধু ফেলানী নয়, এভাবে গত ১০ বছরে সীমান্তে ৯২২ জন বাংলাদেশীকে হত্যার রেকর্ড রয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে।

রয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে নির্যাতনের রেকর্ড। বিএসএফের হাতে হত্যাকান্ডের প্রতিটি ঘটনার বিস্তারিত লোমহর্ষক বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় পত্রিকায়। সরকারও মাঝেমধ্যে মৃদু গলায় এসবের প্রতিবাদ করেছে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তুলেছে সীমান্ত হত্যাকান্ডের এসব ঘটনা। কিন্তু ভারত এতে কর্ণপাত করেনি।

গত ৭ জানুয়ারি প্রত্যুষে ১৫ বছরের বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানীকে কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ খুব কাছ থেকে ঠান্ডামাথায় গুলী করে হত্যা করে তার লাশ ৫ ঘণ্টা ঝুলে রেখেছিল। দু'দিন পর লাশ ফেরত দিলেও বাংলাদেশ সরকার আর দশটি সীমান্ত হত্যাকান্ডের মতো এটাকে চাপা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় পত্রিকার সৌজন্যে ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশের ছবি প্রকাশের পর বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় নাড়া দিয়েছে এ ঘটনা। সরকারও ১০ দিনের মাথায় অনেকটা বাধ্য হয়ে ভারতীয় দূতকে ডেকে এর মৃদু প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু ফেলানীর মা-বাবাসহ দেশবাসী এ হত্যাকান্ডের বিচার চেয়েছে।

অথচ সরকার এ নিয়ে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। ভারতীয় আইনে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার অপরাধে শাস্তি যেখানে মাত্র ৩ মাস কারাদন্ড সেখানে নিাপ একটি শিশুকে (আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে হলে শিশুর সংজ্ঞায় পড়ে) হত্যার বিচার চাইতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফেলানী নয়, এ যেন ঝুলে ছিল বাংলাদেশ। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের মানুষকে বিনা কারণে প্রকাশ্যে গুলী করে হত্যার পরও এর বিচার তো দূরের কথা জোর গলায় আমাদের সরকার প্রতিবাদ পর্যন্ত কেন করেনি। ঘটনার ১০ দিন পর খোদ ভারত ও বাংলাদেশের দু'একটি পত্রিকায় এ নিয়ে হৈ চৈ শুরু হলে সরকার নামমাত্র প্রতিবাদ করে।

সংশ্লিষ্ট খুনি বিএসএফ সদস্যদের প্রত্যাহারের মধ্যেই বিষয়টি চাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সম্পর্ক যেখানে খুবই হৃদ্যতাপূর্ণও বন্ধুত্বপূর্ণ বলে দাবি করা হয়, সেখানে সীমান্তে এভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কেন এভাবে চাপা পড়ে যাবে? মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেসমারিক লোক খুন হচ্ছে। পাখির মতো গুলী করে মানুষ মারছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বা বিএসএফ। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন ও মানবাধিকারের কোনো তোয়াক্কা করছে না তারা। কখনও কখনও সীমান্ত অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকেও মানুষ খুন করছে বিএসএফ।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১০ সালে বিএসএফ সীমান্তে ৭৪ বাংলাদেশী নাগরিক খুন করেছে। পৃথিবীর অন্য কোনো সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের সীমান্তরক্ষীর হাতে এত নাগরিক খুন হওয়ার নজির নেই। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের সীমান্ত রয়েছে। এ তিন দেশের সীমান্তেও বিএসএফ এত খুন করে না। বাংলাদেশ সীমান্তেই তারা প্রতিনিয়ত খুন করছে।

বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানের মতে, সীমান্ত অতিক্রম করছে বলে কাউকে মেরে ফেলার বিধান পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। সীমান্ত অতিক্রমের অপরাধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজ নিজ দেশের আইনের হাতে ন্যস্ত করাই হচ্ছে বিধান। আইন অনুযায়ী আদালত অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে দন্ড দেবেন। দেখামাত্রই গুলী করে মেরে ফেলা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বাংলাদেশী নাগরিক বিএসএফের হাতে খুনের রেকর্ড গত ১০ বছরে ৯২২ জন ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ববর্তী ১০ বছরে ৯২২ জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে বলে রেকর্ড রয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হাতে।

এছাড়া গত ক'মাসও রেকর্ডে স্থান পায়নি এমন ঘটনা মিলে প্রায় সাড়ে ৯শ' বাংলাদেশী হত্যা করেছে বিএসএফ। এর মধ্যে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের অনুসন্ধান অনুযায়ী গত এক বছরে বিএসএফের হাতে খুন হওয়া ৭৪ বাংলাদেশী নাগরিকের মধ্যে ২৪ জনকে নির্যাতন এবং ৫০ জনকে গুলী করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ২০১০ সালে আরও ৭২ জন বিএসএফের হাতে আহত হয়েছেন। বিএসএফের হাতে আহত ৭২ জনেরমধ্যে ৩২ জন নির্যাতিত ও ৪০ জন গুলীবিদ্ধ হন। একই সময়ে ৪৩ জন বাংলাদেশী বিএসএফের হাতে অপহৃত হয়েছেন।

সিলেটের জৈন্তা সীমান্তে দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশী ভূমি। এ নিয়ে কয়েক দফা উত্তেজনা দেখা দেয় জৈন্তা সীমান্তে। এ সময় বিএসএফ গুলী করলেও বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীদের গুলী ছুঁড়তে নিষেধাজ্ঞা ছিল ওপর থেকে। অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, ২০০৯ সালে ৯৮ জন, ২০০৮ সালে ৬২ জন, ২০০৭ সালে ১২০ জন, ২০০৬ সালে ১৪৬ জন, ২০০৫ সলে ১০৪ জন, ২০০৪ সালে ৭৬ জন, ২০০৩ সালে ৪৩ জন, ২০০২ সালে ১০৫ জন, ২০০১ সালে ৯৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক সীমান্তে খুন হয়েছেন বিএসএফের হাতে। অর্থাৎ গত ১০ বছরে ৯২২ জন নাগরিক বিএসএফের হাতে খুন হয়েছেন।

Free natural health advice http://www.advice-health.com

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.