আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কত তামাশা দেখব ??

দুনিয়াতে ভাল আর খারাপ বলতে কিছু নাই আছে বোকা আর চালাক

শেয়ার নিয়া কম তামাশা দেখতেছিনা। এহন আবার নতুন তামাশা শুরু অইছে। যে তদন্ত করছিলো এহন হের পিছনেই লাগছে। কয়দিন বাদে পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদরেই দুর্নীতিবাজ বানাইয়া দিবো। সবাই তার অতীতের চুরি থাকলেও বা না থাকলে বানাইয়া লইয়া তার গুষ্টি উদ্ধার করবো আসেন ভাই আমরাও তার বদনাম শুরু করি কারন আমাগো ডিজিঠাল চরকার অইতে আমগোরে আগাইয়া তাহন লাগবো।

নিউজটা এহানে Click This Link " পিছু হটলেন ইব্রাহিম খালেদ Fri, Apr 15th, 2011 11:13 pm BdST Dial 2000 from your GP mobile for latest news ঢাকা, এপ্রিল ১৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সরকারের ভেতর ও বাইরে থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ দাবি করেছেন, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে জড়িতদের বিচার কেবল সেনা শাসনেই সম্ভব- এমন কথা তিনি বলেননি। বিবিসি বাংলা বিভাগকে শুক্রবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ব্যাংকার বলেন, বৃহস্পতিবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি যা বলেছেন, তা ঠিকভাবে উদ্ধৃত করা হয়নি। "আমি যেটা বলেছিলাম, সেটা আমি বলি। আমি বলেছিলাম, আমাদের তদন্তের ব্যাপারে না, বিচার ব্যবস্থার ব্যাপারে। " ইব্রাহিম খালেদ বলে চলেন, "সাধারণত গণতান্ত্রিক দেশের যে বিচার ব্যবস্থা সেখানে যথেষ্ট শক্ত তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আদালতে যেতে হয়।

তা নইলে মামলায় জেতা খুব মুশকিল হয়। "মার্শাল ল' তে সেটা না। মার্শাল ল' তে তথ্য প্রমাণ লাগে না, একটা শাস্তি দিয়ে দেওয়া যায়। এটার সঙ্গে আমাদের তদন্ত প্রতিবেদনের কোনো সম্পর্কই ছিলো না। তদন্তের কথা এখানে আসে না।

" বৃহস্পতিবার খালেদ টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনকে বলেছিলেন, "যদি মনে করেন যে, ধরে ধরে শাস্তি দিলে হবে। ধরে শাস্তি দেওয়া তো এতো সোজা না। আদালত আছে। আদালত তো সব সময় আসামির পক্ষে। কোর্ট কখনো নালিশকারীর পক্ষে থাকে না।

" কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খালেদ আরো বলেন, এ ধরনের অপরাধের বিচার সেনা শাসনের সময়ই দ্রুত সম্ভব হয়। "এটা মার্শাল ল' তে হয়। ধরে এনে, বিচার করে শাস্তি দেওয়া যায়। এটা তো ডেমোক্রেসিতে হয় না। " এদিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন মুখপাত্র জানান, বাংলাভিশনে প্রচারিত ওই খবর দেখে তা থেকে ইব্রাহিম খালেদের বক্তব্য হুবহু তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদে।

বাংলাভিশনের সান্ধ্য বুলেটিনের রেকর্ডও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে আছে। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে চার সদ্যসের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে তিন শতাধিক পৃষ্ঠা প্রতিবেদনটি জমা দেয়। মূলত শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সরকারের ভেতর ও বাইরে থেকে তদন্ত প্রতিবেদনটি অনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার দাবি উঠলেও সরকার এখনো তা করেনি।

তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ওই প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছে এবং তা ওয়েবসাইটে 'প্রকাশ' করা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তদন্ত কমিটির এই প্রতিবেদন আগেই প্রত্যাখান করেছিল। শুক্রবার ইব্রাহিম খালেদের ওই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার পাশাপাশি তার ওই বক্তব্যের পেছনের কারণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি শুক্রবার রাজধানীতে এক সমাবেশে বলেন, "ইব্রাহিম খালেদরা কার স্বার্থ চরিতার্থ করতে মার্শাল ল' তে বিচারের কথা বলছেন, জানি না। আমরা বিশ্বাস করি, ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অর্থ লুণ্ঠনকারীদের বিচার সামরিক শাসনে নয়, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় করা সম্ভব।

" খালেদের বক্তব্যের সমালোচনা এসেছে সরকারের ভেতর থেকেও। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, যেহেতু মার্শল ল' কোনো আইন নয়, সেহেতু এর আওতায় কারো বিচার করাও সম্ভব নয়। "মার্শাল ল'র কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এটি হলো সামরিক শাসকের শাসন, এ ব্যবস্থায় তার ইচ্ছাতেই রাষ্ট্র চলে। " আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় কোনো অপরাধের বিচারের জন্য সামরিক আইনের কথা বলা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার কারণ তদন্তে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিদ্যমান আইনেই দোষী ব্যক্তিদের বিচার সম্ভব বলেও মত দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন অবশ্য মনে করেন, ইব্রাহিম খালেদ হতাশা থেকেই পুঁজিবাজারে অস্থিরতার জন্য দায়ীদের সামরিক আইনে শাস্তির কথা বলেছেন। তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মেনন এও বলেছেন, মার্শাল ল' তো অন্যায় আইন। বিচারের জন্য মার্শাল ল'র কথা বলার কোনো মানে হয় না। ইব্রাহিম খালেদ দোষীদের বিচার নিয়ে যা বলেছেন, সেই বক্তব্যকে 'উস্কানিমূলক' ও 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে উল্লেখ করেছেন দেশের দুই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক বলেন, "উনি (ইব্রাহিম খালেদ) সামরিক শাসন নিয়ে যেটা বলেছেন, সেটা তো পুরো জুডিশিয়াল সিস্টেমের ওপর উনার লো কনফিডেন্স শো করছে। একজন রেসপনসিবল সিটিজেনের কাছ থেকে কখোনোই এ রকম বক্তব্য আশা করা যায় না। "তার জানা উচিৎ, একটি সভ্য সমাজে মার্শাল ল' বলে কিছু থাকতে পারে না। " এ প্রসঙ্গে পঞ্চম সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ও আদালতের পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, "আদালত পরিষ্কার রায় দিয়েছে, সামরিক শাসন পুরোপুরি অবৈধ। " সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "তার এ বক্তব্য উস্কানিমূলক, কেননা সামরিক শাসন অবৈধ, অসাংবিধানিক।

" বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসআই/এমএইচসি/কেএমএস/জেকে/১২৪৬ ঘ. "

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।