আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অদ্ভুতুড়ে জার্সি নম্বর!

১ নম্বর জার্সিটার কথা মাথায় এলেই ভেসে ওঠে দলের গোলরক্ষকের কথা। ঠিক যেরকম ৯ নম্বর জার্সিধারীকে ভাবা হয় দলের প্রধান স্ট্রাইকার, ১০ নম্বরকে দলের প্রাণভোমরা। তবে সব সময়ই হিসাবটা এ রকম সাদাসিধে থাকে না। প্রচলিত প্রথা ভেঙে প্রায়ই ‘উল্টাপাল্টা’ জার্সি পরতে দেখা যায় ফুটবলারদের। সম্প্রতি যেমনটা করতে চলেছেন হল্যান্ডের সাবেক তারকা খেলোয়াড় এডগার ডেভিস।

মিডফিল্ডার হওয়া সত্ত্বেও এবার তিনি গায়ে চড়াবেন ১ নম্বর জার্সিটা।
ইংল্যান্ডের ছোট্ট ক্লাব বারনেটে ডেভিসের ভূমিকা বহু বিচিত্র। অ্যাজাক্স, এসি মিলান, বার্সেলোনা, জুভেন্টাসের মতো শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলোতে খেলার পর গত বছর চতুর্থ বিভাগের এ দলটিতে যোগ দিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী ডেভিস। তারপর থেকে তিনি পালন করছেন কোচের দায়িত্ব। একই সঙ্গে অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনীও উঠেছে তাঁরই হাতে।

তিনিই যে দলটির সর্বেসর্বা, সেটা স্পষ্টই বোঝা যায়। এ সুবিধাটা কাজে লাগিয়েই বোধ হয় দলে কিছুটা নতুনত্ব আনতে চাইছেন ডেভিস। নিজের অদ্ভুত এই খেয়ালটি সম্পর্কে তাঁর ভাষ্য, ‘এবারের মৌসুমে এটাই আমার নম্বর। আমি এ ধারাটাই চালু করতে চাই। ’ ডেভিসের এই আবদার মেটানোর জন্য দলের নিয়মিত গোলরক্ষক গ্রাহাম স্টার্ককে পরতে হবে ২৯ নম্বর জার্সি।


ফুটবলে এই অদ্ভুতুড়ে জার্সির খেয়ালটা অবশ্য ডেভিসেরই প্রথম নয়। এর আগেও এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গ্রিক ক্লাব অলিম্পিকোসে খেলার সময় প্লেমেকার প্যান্টেলিস কাফেস পরেছেন ১ নম্বর জার্সি। কখনো হয়তো বাধ্য হয়েও এমন প্রথাবিরোধী জার্সি পরতে হয়েছে কোনো কোনো ফুটবলারকে। ২০০৮ সালে স্ট্রাইকার ডেরেক রিয়োর্ডানকে দেওয়া হয়েছিল ১ নম্বর জার্সি।

কারণ ১০ বা ৯ নম্বর জার্সিটির দখল ইতিমধ্যেই অন্য কারও কাছে ছিল। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।