আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেতের ফলের মতো ম্লান চোখ

আমি কিচ্ছু জানিনা.....

সেই বেইলি ব্রীজ, ছটফটানো রাত কাটিয়ে ব্যস্ত-সমস্ত হয়ে যার উপর এসে দাঁড়াতাম। দাঁড়িয়ে প্রতীক্ষা করতাম তোমার। তুমি কি চলে গেছ? নাকি গাধার-বাচ্চা স্যরটা আজ পড়াবেনা বলে দিয়েছে? নাকি আজ..... আমার সব বিপরীত ভাবনার মাঝখানে বিপুল সম্রাজ্ঞীর মত তোমাকে দেখা যেত ব্রীজের অপর প্রান্তে। সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া, দিক্-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা। সব যেন থেমে গেছে, আমার হাত-পা সহ পুরোটা পৃথিবী।

শুধু বুকের ভিতর ছোট্ট যন্ত্রটা যেন হাতুড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। আর থেমে নেই তোমার দুটি শুভ্র পা। তোমার অবনত দৃষ্টিতে ওটা কি হাসির রেখা? সেকি আমার জন্যে? সেকি আমারই জন্যে!.... ঘুম হোতনা। ছটফটানো রাত শেষে আবার বেইলী ব্রীজ। সেই বেইলী ব্রীজের প্রভাব হৃদয়ের উপর শেষ হয়েছে নিশ্চিত জেনে তোমার কান্না-ভেজা চোখকে নিরাবেগে উপেক্ষা করেছি।

ভেবেছি জীবনের হিসাবে অতীতের জের না টানাই ভাল। তাতে গোলমাল বড্ড বাড়ে। কিন্তু, রানী আমার, কিন্তুটা কোথায় জান? হিসাবের খাতাটা যে আমাদের হাতে থাকেনা। তাই গোলমাল বাধে, বারবারই বাধে। নাটকের নতুন পর্ব।

স্থান- পুরানো সেই বেইলী ব্রীজ। সময়- সকাল নয়, সন্ধ্যাবেলা। না, তোমার জন্যে প্রতীক্ষা করিনি, তবু তুমি এসেছিলে। স্থান-কালের সীমা ডিঙিয়ে সেই ষোড়শী সম্রাজ্ঞীর মত তুমি এসেছিলে। এসেছিলে, কিন্তু আর যাওনি।

রয়ে গেছ আমার সাথে অফিসে, আড্ডায়, আমার ঘরে-বাইরে, সবখানে, সবসময়। এ ঘরে আমি একা। সদাহাস্যময়ী আমার বউটা ওপাশে চা করছে। খুব ইচ্ছা করছে, ওর সামনে গিয়ে বলি- আমি নিরন্তর তোমার সাথে প্রতারণা করে চলছি। আমাকে তুমি ক্ষমা কর।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।