আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্থলপথে বাংলাদেশ-ভারত টেলিলিংক চালু হচ্ছে!!!! নিজের পাছায় কাপর নাই, অন্যরে পরাই জামদানি!!

ব-দ্বীপ মানে বদ্‌ দের দ্বীপ না কিন্তু। দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না। যদিও বাংলাদেশের অবস্থা দেখে ভুল বোঝা স্বাভাবিক।

আজকে প্রথম আলোতে এই নিউজটা পরলাম। দেখলাম নিজেদের আত্নসন্মানবোধ না থাকলে, নিজের স্বার্থের কাছে দেশের স্বার্থ ছোট হলে আমরা কি না করতে পারি।

প্রথম আলো অনুযায়ী "ভারতের সঙ্গে ফাইবার অপটিক লিংকে যুক্ত হতে বিটিসিএল ও ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) মধ্যে ২০০৯ সালের ৯ নভেম্বর একটি চুক্তি হয়। এর আওতায় ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা সীমান্ত পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপন করা হয়েছে। আর ভারতের কেবল কলকাতা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর সীমান্তে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএসএনএল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগে পিছিয়ে থাকা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়। বাংলাদেশ ও ভারত টেলি-ট্রানজিটের প্রাথমিক পদক্ষেপ এটি।

এর মাধ্যমে বিটিসিএলের ফাইবার অপটিক ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবার প্রসার ঘটানো হবে। " আর আমাদের দেশের রাজাকারে কথা ---" এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব সুনীল কান্তি বোস প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি। কারণ, ভারত সরকার তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করতে চায় বাংলাদেশের কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে। এ জন্য ভারত বাংলাদেশকে অপটিক ফাইবারের ভাড়া পরিশোধ করবে, যা দিয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি হবে। আর বিএসএনএলের সঙ্গে বিটিসিএলের ফাইবার অপটিক সংযোগ শুধু ভয়েস পাঠানোর কাজে ব্যবহার করা হবে" কি মজা খালি পয়সার ছরাছরি।

বাংলাদেশ হইব সিঙ্গাপুর। কিন্তু অনেক লাভের মধ্যে একটা লাভ (কিন্তু কার লাভ)---- "মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে ফাইবার অপটিক সংযোগ চালু হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এ দেশের বাজার ধরতে প্রথমেই কম দামে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করবে। এর ফলে লাভজনক সরকারি কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) পক্ষে ব্যবসা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। " এখন দেখেন আরেকদল রাজাকারে বক্তব্য "তবে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ বিএসসিসিএলের প্রতিযোগিতাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, বিটিসিএলের খরচে তৈরি অবকাঠামো ব্যবহার করে বিএসসিসিএল ব্যবসা করছে।

এ অবকাঠামো তৈরি ও সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হতে বাংলাদেশের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এখন এ ক্ষেত্রে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী বিএসসিসিএলের নেই। তবে প্রতিযোগিতা শুরু হলে সাধারণ মানুষ সুলভে আরও ভালো সেবা পাবে। " বাহ খুব ভাল, আমরা এখানে অব্যাবহৃত রাখছি ব্যান্ডউইথ, ফলে সাধারন মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারি না উচ্চ মুল্যের কারনে, আর ওদিকে সকল মনযোগ কিভাবে খাল কেটে কুমির আনা যায়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা বাড়ানোর জন্য কি বিদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী আনতে হবে? দেশে কত হাউকাউ, দেশপ্রেম, স্বাধিনতা, কতকিছু।

কিন্তু একটা সামান্য চুক্তি করতে গেলেই আমাদের দেশ প্রেম কই যেন উধাও হইয়া যায়। তখন আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মনে থাকে না, একাত্তরের কথা মনে থাকে না। সেটা ভারতের সাথে চুক্তিই হোক বা অন্য দেশের সাথেই হোক। (সব শেষে একটা লাভ নিয়া সন্তুস্ট থাকতে পারেন যে এতে করে ভারতের সাথে আমাদের প্রতি মিনিট কথা বলার মুল্য কমে আসবে ) প্রথম আলোর লিঙ্ক


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।