আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের গ্যাস - সংকট নিরসনে গ্যাসের চূলা এবং বিটিভি তে প্রচারিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির ভূমিকা

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে", "এ্যান্টি ব্লগারদের ঘৃণা করুন", "দাঁতভাঙ্গা জবাব দেন", "অশ্লীল মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলুন", "প্রয়োজনে তাদেরকে ব্লক করুন"

রি-পোস্ট : বর্তমান গ্যাস সংকটজনিতঃ পরিস্থিতিতে রি-পোস্ট করা হলো। বাংলাদেশের গ্যাস সংকট নিয়ে এ দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবিগণ অনেক সময় অনেক কথাই বলে থাকেন। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে সবাদপত্র, বেতার, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণ-মাধ্যমে লেখালেখি ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে, বর্তমানে কোথাও কোথাও হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হতে থাকবে। তাই আমি এ বিষয়ে গতানুগতিক কিছু লিখে আপনাদেরকে বিরক্ত করতে চাইনা। উল্লেখ্য, আমি বিশেষ কোন লেখক নই, কিংবা আমার লেখার তেমন কোন দক্ষতাও নেই।

আমি শুধুমাত্র অতীতের একটি অবহেলিত বিষয় উপস্থাপনের চেষ্টা করবো। যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার প্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল কোনটি ? তাহলে কেউ বলবে "জি-সিনেমা", কেউ বলবে "স্টার প্লাস", ... ... ... "ডিসকভারী", "ন্যাশনাল জিওগ্রাফী", "এ্যানিমেল প্ল্যানেট", "স্টার মুভি", "এইচ বি ও", "ই এস পি এন", "চ্যানেল আই", "এ টি এন বাংলা", "একুশে টেলিভিশন", "বাংলাভিশন" ইত্যাদি ইত্যাদি আরোও অনেক চ্যানেল। আশ্চর্যের বিষয় হলো আমরা নিজেদেরকে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী বলে দাবী করলেও কোথাও জনপ্রিয় চ্যানেল হিসাবে "বাংলাদেশ টেলিভিশন" এর নাম শোনা যায় না (কেন শোনা যায় না, আমি সেই বিতর্কে যাবো না, তাছাড়া সেটি আমার লেখার বিষয়বস্তুও নয়)। কিন্তু একটি অনুষ্ঠানের নাম শুনলে ছোট বড় সকলেই আশায় বুক বেঁধে থাকে, কখন সেটি শুরু হবে। আপনারা কি অনুমান করতে পারছেন, সেটি কি ? আমার মনে হয় সকলেই এক কথায় উত্তর দিবেন "ইত্যাদি"।

হ্যাঁ, জনপ্রিয় উপস্থাপক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত এর রচনা ও পরিচালনায় "ইত্যাদি" এমন একটি অনুষ্ঠান, যেটি দেখার জন্য দেশে এবং বিদেশে ছোট-বড় সকলেই সব বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেল বাদ দিয়ে অধীর আগ্রহে বসে থাকে। অনেক বছর আগে এই "ইত্যাদি"র কোন একটি পর্বে হানিফ সংকেত সাহেব এই দেশেরই অল্প শিক্ষিত এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় অশিক্ষিত একজন বিজ্ঞানীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, যিনি সাধারণ গ্যাসের চূলাকে "মোডিফাই" করে বিশেষরূপ দিয়েছিলেন। সাধারণ গ্যাসের চূলায় যেখানে গ্যাসের চূলার "চাবি" অন করলেই গ্যাস বের হয়, সেখানে তাঁর উদ্ভাবিত গ্যাসের চূলার উপরে কোন পাত্র না রাখলে "চাবি" অন করলেও গ্যাস বের হয় না। যার ফলে কেউ বিনা প্রয়োজনে ঘন্টার পর ঘন্টা গ্যাসের চূলা জ্বালিয়ে রাখতে পারবেনা। যদিও এই সমস্যা সমাধানে অনেকেই "সিলিন্ডার গ্যাস" এর ব্যবহারের কথা বলবেন, কিন্তু আমি এই দেশের প্রেক্ষাপটে এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করি এবং অসৎ ব্যবসায়ীরা এর ফাঁয়দা লুটতে পারে।

প্রশ্ন আসতে পারে, কেন আমি অতীতের হারিয়ে যাওয়া বা অবহেলিত এই বিষয়টির কথা উল্লেখ করলাম ? অনেক দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে উল্লেখ করছি, আমরা অকাজে হাজার হাজার টাকা খরচ করি, অথচ একটি মাত্র দিয়াশলাইয়ের কাঠি বাঁচানোর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা গ্যাসের চূলা জ্বালিয়ে রাখি। এটাকে আমি কী বলবো ? আমাদের শিক্ষার অভাব ? আমাদের সচেতনতার অভাব ? অশিক্ষিত লোকের কথা না হয় বাদই দিলাম, বহু শিক্ষিত লোকের বাড়ীতে গেলেও দেখা যায়, বিনা প্রয়োজনে গ্যাসের চূলা জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। তাহলে এর সমাধান কী ? আসলে কথায় বলেনা, "কয়লা ধুলে ময়লা যায় না", তেমনি আমাদের স্বভাবও আমরা বদলাতে পারিনা। তাই আমি বলবো, গ্যাসের সংকট দূর করার জন্য প্রথমেই গ্যাসের অপচয় বন্ধ করতে হবে, আর এর জন্য "ইত্যাদি" তে উপস্থাপিত সেই বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত "গ্যাসের চূলা"র বাস্তব ব্যবহার শুরুর ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোন সাহায্যের আশা করা দূরাশা মাত্র।

তাই আমি বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার প্রতি এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। আর সরকার যদি এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয় এবং তা বাস্তবায়ন করে, তাহলে সে দেশের জন্য অনেক বড় কিছু করলো বলে আমি মনে করি। মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.