আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পঞ্চায়েতে জয়ী মমতার তৃণমূল

চলতি মাসে পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট হয়। সোমবার এর ফল ঘোষণা করা হয়। তবে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ করেছে প্রধান বিরোধী জোট বামফ্রন্ট।
ভোটের ফলে দেখা গেছে, রাজ্যের ১৭টি জেলার মধ্যে ১২টিতেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে জয় পেয়েছে বা জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীরা।
পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের জয় তাদের ধারণাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭০ শতাংশের বেশি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬০ শতাংশের বেশি আসন পেয়েছে তারা।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২২৫টির ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৩টিতে জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। প্রধান বিরোধী জোট বামফ্রন্ট পেয়েছে ৫১টি। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে উঠেছে মাত্র ১৯টি আসন।


বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে সারদা গ্রুপের অর্থ কেলেঙ্কারি, মমতার অতিকথন এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার অভিযোগ এনে প্রচারণা চালানো হলেও গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে স্পষ্ট ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।
সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট এর আগে ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৩টি জেলায় এগিয়ে থাকলেও এবার আর তা হয়নি। বিশেষত রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। তবে উত্তরের কয়েকটি জেলায় এবার তারা ভালো করেছে। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট ভেঙে যাওয়ায় ত্রিমুখী লড়াইয়ের সুবিধা পেয়েছে তারা।


জলপাইগুড়ি জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বামফ্রন্ট। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতিতেও এগিয়ে রয়েছে তারা। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, মালদা ও উত্তর দিনাজপুরেও ভালো অবস্থানে তারা।
নদীয়ায় তৃণমূল ও বামফ্রন্টের মধ্যে দেখা গেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও পঞ্চায়েত সমিতিতে এগিয়ে বামফ্রন্ট।

 
তবে দক্ষিণের জেলাগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে তৃণমূল। এ অঞ্চলের ১০টি জেলার মধ্যে নয়টিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তারা।
আন্দোলনের মাধ্যমে সিঙ্গুরে কারখানা স্থাপন থেকে টাটাকে ফিরিয়ে দিয়ে কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা তৃণমূল কংগ্রেস এবারো ওই এলাকায় জয় পেয়েছে। হুগলির সিঙ্গুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে তারা।
মমতা এ নির্বাচনকে দেখছেন ‘কোয়ার্টার ফাইনাল’ হিসেবে।

তার কাছে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ভারতের পার্লামেন্ট নির্বাচন ‘সেমি ফাইনাল’। আর ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভা নির্বাচনকে তিনি দেখছেন চূড়ান্ত লড়াই হিসেবে।
তৃণমূল নেত্রী এ জয় জনগণের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন।
“পঞ্চায়েত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে। আমি এ জয় রাজ্যের গ্রামীণ জনগণের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি।

এটা মা, মাটি ও মানুষের জয়,” বলেন তিনি।
অন্যদিকে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন।
পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের কাজে লাগিয়ে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস ভোট গণনায় কারচুপি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত ১১ জুলাই থেকে পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। এ সময় নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ হারায় অন্তত ২৪ জন মানুষ।


তবে ভোট গণনায় এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.