আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রমজান মাসের (হুজুরদের,ভিক্ষুকদের,ব্যাসায়িদের) ধান্দাবাজি

কামরুল কেমিস্ট

রমজান মাস একটি পবিত্র মাস। আর সেই পবত্রতা নিয়েই আলোকপাত। হুজুরদের ধান্দাবাজিঃ এই রমজান মাসে হুজুরদের থাকে মহা ব্যস্থতা। দু হাত ভরে কামিয়ে নেন তারা । আল্লার অশেষ রহমত তাদের উপর বর্ষিত হয় এই রমজান মাসে।

কয়েক দফায় অনুমোদিত চাদাবাজি করেন তারা। একই মসজিদের উন্নয়ন করার জন্যে কয়েক গ্রুপ আসেন একের পর এক। ভালই কামাই হয়। সহজ সরল বাঙালি সওয়াব লাভের আশায় দেদারসে দান করেন, হুজুরদের পকেট ভরতি হয়। আর ঘুষখোর বাঙালি পাপ মোচনের আশায় দফায় দফায় দান করেন।

দুর্নীতি বাজ বাঙালি পয়সা হালাল করার জন্যে মুঠো ভরতি দান করেন। হারাম পয়সা হালাল করার জন্যে রমজান এর চেয়ে উপযুক্ত আর কোন মাস নেই। এই সময় এলাকার এতিম খানার সংখ্যা বেড়ে যায়। নাম না জানা এতিম খানা লাইম লাইতে আসে আর অস্তিত্ব হীন এতিম খানা থাকে ব্যাপক। প্রচুর পয়সা তুলে তারা এতিম দের জন্যে।

যদি ও সত্যিকারের এতিমরা হয়ত সেই প্রাচুর্যের সংবাদ পায় না। মাইকিং ধান্দাবাজিঃ তারপর এলাকার নতুন উৎপাত হয় মাইকিং ধান্দাবাজি দিয়ে। সবার ই এখন মোবাইল ফোন আছে, আর সেই ফোনে এলারম থাকা সত্যেও এই ধান্দাবাজ রা মাইকিং করে সারামাস। বিশেষ সওয়াবের কাজ করে । আর শেষ রমজানের দিকে চাদার কাগজখানি বাসায় দিয়ে যায়।

তাদের চাঁদাবাজির ধরন ও অনুমোদিত। রমজান মাস শেষে এই ধান্দাবাজ রা লাখপতি হয়ে যায়। ভিক্ষুকদের ধান্দাবাজিঃ রমজান মাসে হটাত করে ভিক্ষুক দের সংখ্যা বেড়ে যায়। নতুন নতুন ভিক্ষুকে এলাকা ছেয়ে যায়। সব ভিক্কুক খুব ভাল মানুষ হয়ে যায়।

প্রচুর পয়সার বিনিময়ে দেদারসে অন্যের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যে দোয়া করে যায়। যারা নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করতে পারে না তারা অন্যের ভাগ্য পরিবর্তন এর জন্যে দোয়া করে। লোকজন খুশি হয়। খুশি হয়ে দান করে। এই এক মাসের কামাই দিয়ে আরও তিনমাস এরা বিড়ি(!!!) খায়।

এই ভিক্ষুক রা জীবনে একবেলা হয়ত নামাজ পরেনি, কিন্তু রোজার মাসে তারা পিরানে পীর হয়। সম্মান পায়। ব্যাসায়িদের ধান্দাবাজিঃ উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় বিভিন্ন অনুস্থানের সময় তারা জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয় বেশি বিক্রির আশায়। বিশেষ করে খ্রিস্তান দের বড়দিনের অনুস্থানে নানা ছাড়ের মহা উৎসব চলে। লোকজন ও প্রচুর কেনাকাটা করে।

আর আমাদের দেশে দেখা যায় এর বিপরীত চিত্র। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহ সকল পন্যের দাম বেড়ে যায় এই রোজার মাসে। এই দাম বাড়ার প্রভাব পড়ে না উচ্চ শ্রেণির উপর, কারন তারা জানে রোজার মাসে সবকিছুর দাম বাড়বে, তাই আগেই সব কিনে রাখে। কিন্তু এই দাম বাড়ার হাত থেকে দিনমজুররা রক্ষা পায় না। দিন আনে দিন খায় মানুষেরা এই যাঁতাকলে পড়ে নিষ্পেষিত হয়।

আর সারা মাস চরম হারে ব্যবসা করে পরিপূর্ণ ঈদ করে ব্যবসায়ীরা। বেশীরভাগ কাপরের ব্যবসায়ীদের নজর থাকে রমজানের ঈদের উপর। সারা বছরের ব্যবসাটা এই সময়ে করে নেন তারা। মানুষ ঠকানোর সব রকম বুদ্দি নিয়ে পসরা সাজান তারা। সত্যিই মহান রমজান মাস!!!


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।