আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের ঈমানি জোশ এবং পাকিস্তানিদের বিদায়

যে মুখ নিয়ত পালায়......। ।

লেখাটা শুরু করতে হচ্ছে একটি ঘটনা দিয়ে। তখন টি টুয়েন্টি ফাইনাল (২০০৭)চলছে। আমি হোস্টেলে।

টানটান উত্তেজনা চারদিকে। উত্তেজনায় উত্তেজিত হয়ে আমরা খেলা দেখছি। হোস্টেলের বেশীরভাগ ভদ্রলোকই পাকিস্তানের সাপোর্টার। আমি কখনই পাক সাপোর্টার হতে পারি না,তাই ওই খেলায় ইন্ডিয়া। সবমিলিয়ে ইন্ডিয়ার সাপোর্টার পাওয়া গেল চারজন।

এর মাঝে একটা পিচ্চি। খেলা শুরু পরই শুরু হল পাকি সাপোর্টারদের কথাবার্তা। দুনিয়ার যাবতীয় প্রেম তাদের এই পাকিস্তানের জন্য। মিসবাহ একটা চার মারে তো চিৎকার চেচামেচিতে মনে হয় ভেঙে পড়বে ছাঁদ অথবা ঘৃনায় ভেঙে পড়বে আকাশ। ওইদিন পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত হেরেছিল এবং পাক সাপোর্টারদের চোখের কোনে জমা হয়েছিল জল।

গড়িয়েও পরেছিল কারো কারো। এবার ২০১১ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে একটু আগে ইন্ডিয়ার কাছে হারল পাকিস্তান। এবারো নিশ্চয়ই পাকি সাপোর্টার রা কাদছেন। কান্না ভাল জিনিস। কাদলে চোখ পরিষ্কার হয়।

দেখা যায় বাঙলাদেশে অধিকাংশ মানুষই পাক সাপোর্টার। এমনকি শিক্ষিত শ্রেনীর ও অনেক। অবাক হতে হয় এই পাকি প্রেম দেখে। দেশের মানুষ কত উদার। কত শক্ত তাদের ঈমানী জোশ! ১৯৪৭ এ দেশবিভাগের পর জন্ম নেয়া পাকিস্তান মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই বলে যখন পূর্ববাঙলার মুসলমানদের লাত্থি দিত তখন বাঙালী মুসলমানরা ঈমানের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে সহ্য করত।

হাজার হোক মুসলমান ভাইয়ের লাত্থি। অবশেষে যখন দেখা গেল মুসলমান ভাইয়েরা ভাই ভাই বলে লাত্থির পর লাত্থি দিয়েই চলেছে তখন হুশ হল। আন্দোলন হল। পাকিস্তানি জেনারেল ঘোষনা দিল মাটি চাই মানুষ নয়। শুরু হল নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ধর্ষন।

ত্রিশলক্ষ শহীদ এবং দু লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আসল স্বাধীনতা। বাঙালী মুসলমান হল স্বাধীন। কিন্তু আফসোস বাঙালী বিপ্লব করে সাধারনত ব্যর্থ হয় আর সফল হলে ভূলে যযায় কেন বিপ্লব করেছিল। হুমায়ুন আজাদের কথাটাই সত্যি হল। স্বাধীন বাঙালী মুসলমানেরা এখন ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা দেখে।

বিশ্বকাপেও তাদের ঈমানি জোশ। তারা পাকি সাপোর্টার। কারন পাকিরা মুসলমান ভাই। তাদের কথা খেলার মধ্যে রাজনীতি টানা ঠিক না। মুক্তিযুদ্ধ কি রাজনীতির বিষয়? মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের অস্তিত্বের বিষয়।

পাকিস্তানিরা আমাদের দেশের মানুষ চায় নি। মাটি চেয়েছিল। যারা এদেশের ত্রিশ লক্ষ মানুষ মেরেছে,লক্ষ লক্ষ ধর্ষন করেছে তারা আজ ক্রিকেট খেলছে বলে সাপোর্ট দেয়া হয়। অবস্থা এমন যেন মনে হয়, ক্রিকেট খেললেই সাত খুন মাফ। কারো মা বোনকে ধর্ষন করার পর ধর্ষন কারীরা যদি ক্রিকেট ভাল খেলে তারা এই ধর্ষনকারীদের সাপোর্ট দিবে? এদের ছেলেপেলেরা ক্রিকেট খেললেই কি ভূলে যাবে তার মা বোন একদিন এদের পূর্বপুরুষদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছিল? পাকিস্তান ভাল খেললে আমি বলি ভাল খেলেছে।

কিন্তু কখনোই পাকিস্তানকে সাপোর্ট করি না। এমনকি স্বপ্নেও না। কয়েকটি ছবিঃ আমি একটা পাকিস্তানি ছেলে কে বলতে দেখেছিলাম এই ছবিগুলো নাকী ফেক। বলেছিল, এগুলো তোমরা অভিনয় করেছ। তারপর ছবি তুলে প্রচার করেছ।

ইন্ডিয়ার বুদ্ধিতে। মাকসুদের একটি গান। আমি কিছু বাঙালীর মৃত্যুদন্ডের দাবী তুলতে চাই। একাত্তরে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ-একরামুল হক শামীম

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।