আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কে জিতবে?


এ পর্যন্ত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১৯ বার খেলেছে ভারত ও পাকিস্তান। এর মধ্যে পাকিস্তানের জিতেছে ৬৯ বার। ভারত ৪৬ বার। ফল আসেনি ৪টি খেলায়। তবে বিশ্বকাপে পাকিস্তান একবারও জিততে পারেনি ভারতের সঙ্গে।

যদিও চারবার খেলেছে দল দু'টো। মোহালিতে খেলেছে দুবার। দুবারই জিতেছে পাকিস্তান। বিতর্ক ও তিন ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞাসহ নানা সঙ্কটের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপে এসে পরিণত হয় অন্য রকম একটা দলে।

গ্র"প পর্যায়ে হেরেছে একমাত্র নিউজিল্যান্ডের কাছে। তবে সহজেই হারিয়েছে কেনিয়া, কানাডা ও জিম্বাবুয়েকে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে তাদের মাঠে। ছন্দপতন ঘটিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ধারায়। পাকিস্তানের এসব জয়ে ব্যাটসম্যানদের অবদান বলতে গেলে সামান্যই।

কোনো ব্যাটসম্যান সেভাবে রানের মধ্যে নেই। সব চেয়ে বেশি ২১১ রান এসেছে উমর আকমলের ব্যাট থেকে। এছাড়া মিসবাহ উল হক ১৯২, কামরান আকমল ১৮৮, ইউনুস খান ১৭২, মোহাম্মদ হাফিজ ১৭২ ও আব্দুল রাজ্জাক ১০১ রান করেন। পাকিস্তানকে এগিয়ে রেখেছে দলটির বোলিং। ব্যাট হাতে নজর কাড়ার মতো কিছু করতে না পারলেও বল হাতে শহিদ আফ্রিদি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকেই।

১০.৭১ গড়ে এ পর্যন্ত নিয়েছেন ২১ উইকেট। উমর গুল নেন ১৪টি। মোহাম্মদ হাফিজ, আব্দুল রাজ্জাকরাও প্রয়োজনের সময় উইকেট নিচ্ছেন। সেমিফাইনালের চার দলের মধ্যে একমাত্র পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড় শতক হাঁকাতে পারেননি। শুধু মিসবাহ ও ইউনুসের দু'টো করে অর্ধশতক রয়েছে।

পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা মোট ৯টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। পক্ষান্তরে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের রয়েছে ৫টি শতক ও ১০টি অর্ধশতক। উমরের চেয়ে বেশি রান করেছেন ভারতের পাঁচ ব্যাটসম্যান। তাদের মধ্যে শচীন টেন্ডুলকার (৩৭৯ রান), বীরেন্দর শেবাগ (৩৪২), যুবরাজ সিং(৩৪১), গৌতম গম্ভির (২৬৯) ও বিরাট কোহলির (২৩৮) রান উমরের চেয়ে বেশি। তাই খেলায় জিততে হলে ভারতের উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাজঘরে ফেরাতে হবে-সহজ হিসেব উমর গুলের।

তবে কাজটা যে সহজ নয়, তা খুব ভালোভাবেই জানা আছে তার। পাকিস্তানের সহজ হিসেবটা মাথায় আছে ভারতের ব্যাটসম্যানদেরও। উল্টো প্রথম থেকে বোলারদের উপর চড়াও হয়ে পাকিস্তানের পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দেয়ার পরিকল্পনা আঁটছেন তারা। পুরো বিশ্বকাপে নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাটিং করেছেন ভারতীয়রা। সে কারণে গ্র"প পর্বে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে দলটি।

কিন্তু বোলাররা ভালো বল করতে না পারায় স্কোরবোর্ডে বড় রান জমা করেও ইংল্যান্ডের সঙ্গে টাই ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার মানতে হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে। গুলের জবাব হতে পারেন জহির খান। ১৭ উইকেট নিয়ে বল হাতে ধোনিকে সবচেয়ে বেশি নির্ভরতা জোগাচ্ছেন তিনি। ভারতের নিয়মিত স্পিনাররা আলো ছড়াচ্ছেন বিশ্বকাপে। তাদের মধ্যে অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা যুবরাজ সিংয়ের কথা বলতে হয় আলাদা করে।

নিয়েছেন ১১ উইকেট। শক্তির হিসেবে ভারত কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে পাকিস্তানের চেয়ে। বোলিং নিয়ে শুরুতে একটু সমস্যা থাকলেও ধীরে ধীরে ভারতীয় বোলাররা নিজেদের ফিরে পাচ্ছেন। ভারত-পাকিস্তান খেলা মানেই ভারতের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে পাকিস্তানের বোলারদের লড়াই নয়। খেলার ভেতর অনেক ছোট ছোট লড়াই রয়েছে, সে সব লড়াইয়ের ওপরও অনেকটা নির্ভর করছে সেমিফাইনালের ভাগ্য।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।